আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দার্জিলিং (Land of the Celestial Thunderbolt) ফটো স্টোরি – part 2


প্রথম পর্ব রাস্তার পাশের হোটেলের খোলা জানালা থেকে দেখা অদ্ভুত সুন্দর এই দৃশ্য যেনো শিল্পীর কল্পনাকেও হার মানায়. কয়েক হাজার ফুট উপরে একটা ছোট টিনের ঘরে বসে বৃষ্টির এই অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করার মজা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না. আমাদের গাড়ির টায়ার পানচার হয়ে গেছিলো এক জায়গায়. driver আমাদের নামিয়ে চাকা বদলাতে লাগলো, আমরা পাশের এক হোটেলে যেয়ে বসলাম. তখনো একটু একটু বৃষ্টি হচ্ছিলো. পাহাড় থেকে বৃষ্টির পানিতে চমত্কার ঝরনা তৈরী হয়েছিল. সবাই ব্যস্ত হয়ে গেলো সেই ঝর্নার ছবি তোলার জন্য খোলা জানালা দিয়ে. এখানে একটা কথা না বললেই না. শিলিগুরি থেকে দার্জিলিং যেতে সময় কোনভাবেই ৪ ঘন্টার কমে হয় না. কিন্তু ওরা কখনই এটা শিকার করে না. ওরা বলে যে ২.৫ ঘন্টায় যাওয়া যায়. কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা অন্যরকম. এই দেরি হওয়ার একটা অন্যতম কারণ হলো গাড়ির চাকা পানচার হয়ে যাওয়া. এটা হবেই. আমরা যখন দার্জিলিং থেকে শিলিগুরি আসি তখনো এমন হয়েছে. আমাদের যাওয়ার সময় পানচার হয়েছে ৩ বার আর আসার সময় হয়েছে একবার. যাওয়ার সময় শেষবার যখন পানচার হলো তখন driver এর কাছে spare চাকা ছিলো না, অন্য গারি থামিয়ে তারপর সেই গাড়ির চাকা নিয়েছে আমাদের driver. একটু আগে বৃষ্টি শেষ হয়েছে. পুরা প্রকৃতি একদম পরিষ্কার হয়ে গেছে. যতদুর তাকাই শুধুই পাহাড় আর পাহাড়, এর ফাকে ফাকে মেঘের খেলা. সত্যি মাথা খারাপ হওয়ার মতো দৃশ্য. না দেখলে শুধু ছবিতে তা বুঝানো যাবে না. এটা ঘুম এর পরেই আরেকটা station. ৪৮৬৪ ফুট উপরে. বৃষ্টি শেষের পরিষ্কার রাস্তা. ঘুম ৭০০৪ ফিট উপরে। দার্জিলিং এ সবসময়ই মেঘের খেলা দেখা যায়. এই খেলা এত সুন্দর যে সারাদিন দেখলেও কোনো ক্লান্তি আসে না. এই মেখের খেলা দেখে আমার প্রায়ই মনে হয়েছে কেন আমাদের দেশে এমন একটা জায়গা নাই? এই দার্জেলিংটা যদি বাংলাদেশের সাথে থাকত তাহলে কি মজাই না হতো! আমার একটা personal observation এর কথা বলি. দার্জিলিং এর মেয়েরা খুবই পরিশ্রমী. কিন্তু যাদের বয়স একটু বেশি, তারা মোটামুটি সবাই একটু মোটা. এটা কেন আমি বুঝি না. পাহাড়ি এলাকা, পরিশ্রম করে বেচে থাকতে হয় কিন্তু তারপরও বয়স হয়ে গেলে সব মেয়েরা একটু মোটা হয়ে যায়. হয়তো কোনো scientific কারণ আছে. আমি এক বয়স্ক মহিলাকে দেখছিলাম পা ভেঙ্গে গেছে, ক্রাচে ভর করে হাটছিলো, অসম্ভব মনের জোর আর পরিশ্রমী না হলে আমরা এমন চিন্তাও করতে পারবো না. এই মেঘ একটু পরেই রাস্তার উপর উঠে এসেছিলো. মেঘ মামারা রাস্তার উপর উঠার পায়তাড়া করতেছিলো. শেষ পর্যন্ত মেঘ মামারা রাস্তায় উঠে গেলো, সব গারি হেড light জালিয়ে দিলো আর একটু পর পর হর্ন দিতে লাগলো. যাই হোক, ৪ ঘন্টার জার্নি শেষ করে আমরা পৌছে গেলাম দার্জিলিং এর একদম হার্ট গান্ধী রোডে. আমাদের হোটেল ছিলো sweet home. এক কথায় বলতে গেলে পুরাই faul একটা হোটেল. কিন্তু কিছু করার নাই. এই হোটেলের সাথেই আমাদের travel agent prime tourism এর চুক্তি. তাই আমাদের সবাইকে এখানেই থাকতে হলো. অনেক ঝগরা ঝাটি হলো রুম নিয়া. কারো রুম ভালো কারো খারাপ. যাদের খারাপ তারা খালি মারা বাকি রাখসিলো আমাদের গাইড ইমনকে. যাই হোক, সৌভাগ্য বশত আমি পেলাম সবচে ভালো রুমটা. রাতের খাওয়া খেয়েই দিলাম ঘুম, প্রচন্ড tired ছিলাম। গতকাল রাত ৯ টায় রওনা দিছিলাম আর আজকে রাত ৮ টায় পৌছাইছি দার্জিলিং। সকালে উঠে কি দৃশ্য অপেক্ষা করছিলো আমার জন্য তখনো জানতাম না. পরের পর্বে সেই ছবি দিবো. চলবে………… প্রথম পর্ব ভাল resolution এর ছবি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।