আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দার্জিলিং ভ্রমনের একথা সেকথা.......দার্জিলিং শহর....



১ম পর্ব দার্জিলিং ভ্রমনের একথা সেকথা.......টয় ট্রেন.... তা দার্জিলিং এ তো নামলাম-এবার খুঁজতে হবে মাথা গোজার ঠাই মানে হোটেল। এই শহর সম্পর্কে তেমন কোনো ধারনাও ছিল না তাই কেমন যেন সব কিছু গুলায় ফেলছিলাম। হালকা ঠান্ডা বাতাস অবশ্য তেমন কিছু ভাববার সময় দেয় নাই। দার্জিলিং এ হোটেল বুকিং না দেওয়া থাকলে দালালের সাহায্য ছাড়া কোনো হোটেল পাওয়া যায় না। দালালের সাহায্য না নিলেও দালাল আপনার পিছু ছাড়বে না।

আপনার পিছু পিছু হোটেলে যাবে আর সেখানে যাওয়া মাত্রই রূমের ভাড়া দিন হিসেবে ২০০ রূপি বেড়ে যাবে কমপক্ষে। যার কারনে বুকিং না দিয়া গেলে দালালের সাহায্যে রূম নিবেন এক রাতের জন্য। পরে নিজে খুজে ভালো অন্য কোন হোটেলে উঠবেন পরের দিন। ( আমি পুরা ধরা খাইছিলাম ) যাই হোক আমার মাথায় শুধু ঘুরঘুর করছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা কাঞ্চনজঙ্ঘা... রিসেপশনে বললাম তোমাদের কোন রূম থেকে কি কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়? বলল ঠিক আছে তোমাকে সেই রকম রূম দিচ্ছি। রূমে ঢুকে আমি খুজি কাঞ্চনজঙ্ঘা জানালা দিয়া কুয়াশা ঘেরা মেঘ ছাড়া কিছুই দেখি না/#. যাই হোক রূম থেকে ফ্রেশ হয়ে শহর দেখি মনে করে বাইরে এসেই খেলাম ঠান্ডা বাতাসের ঝাপটা।

ঝাপটা খেয়েই একটু ভচকায় গেলাম। ভচকানির সাথে সাথে মনে হলো এখানকার চা তো বিশ্ব বিখ্যাত আগে চা খেতে হবে। অনেক খুজে পেতে চায়ের দোকান বের করলাম। এটাকে দোকান না বলে বলা যায় টং। খুব ভালো না হলেও খারাপ ছিল না চা টা।

চা শেষ করে দোকানীকে বললাম আচ্ছা "মল" ( সত্যজিতের কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখে একটা শব্দই মনে ছিল )। দোকানী পাহাড়ি আর বাংলা মিলিয়ে কি যেন বলল কিছুই বুঝি নাই...শুধু বুঝলাম জায়গাটা কাছেই কোথাও হবে। উদ্দেশ্য বিহীন ভাবে হাটতে হাটতে এক সময় পৌছে গেলাম মল এ। বিশাল চত্তর। অনেকটা গোল চত্তরের সমান।

এক দিকে সারি সারি দোকান আর অন্য দিকে খাদ রেলিং দিয়ে আটকানো। সারি সারি বেন্চ গুলিতে বসে আছে সব বুড়াবুড়িরা। দেখে মনে হলো এই শহরটা বোধ হয় বুড়াবুড়ির জন্যই। এই মল ই হচ্ছে এখানকার প্রানকেন্দ্র। আমার জান ছুটছে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার জন্য।

যাকেই বলি কোথায় কাঞ্চনজঙ্ঘা সেই বলে ঐ দিকে ... আর আমি তাকায় দেখি শুধু কুয়াশা ঘেরা মেঘ আমি কোডাইকানাল যেয়ে যত মজা পেয়েছিলাম দার্জিলিং এ এসে কেমন জানি বোরিং লাগছিল। যাই হোক কিছু সময় মল এ কাটিয়ে রাতের খাবার খেয়ে ফিরে আসলাম রূমে। সারা দিনের মজাই ছিল টয় ট্রেনের ভ্রমন। ( কাঞ্চনজঙ্ঘা আর মলের কিছু ছবি। ছবিগুলি গুগল থেকে ধার করা )


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।