দার্জিলিং একবার গিয়েছি। সেই ২০০৩ সালে। তখন আমরা জার্নালিজমে মাস্টার্স শেষ করেছি। সেটা ছিল সার্ক টূ্রের অংশ। নানা কারণে দার্জিলিং যাওয়া গুরুত্বপূর্ন।
আমরা যেদিন যাই, সেদিন যুক্তরাষ্ট্র ইরাক আক্রমন করে, ২০ মার্চ। কলকাতা গিয়ে দেখলাম যুদ্ধবিরোধী বিরাট বিক্ষোভ। গেলাম দার্জিলিং। আমি, আকাশ, আজম, আনোয়ার ভাই, রায়হান, ইভান, খালেদ, সুমী,রিয়া,পলি,শাম্মী। টাইগার হিলে গিয়ে সুর্যাদয় দেখেছিলাম।
কে যেন বলেছিল, আমরা নাকি কবিগুরুর চেয়েও ভাগ্যবান। কারণ তিনি তিনবার সেখানে গিয়েও মেঘের কারণে সুর্যোদয় দেখতে পারেননি। কথাটা শুনে বেশ ভালো লাগলো।
দার্জিলিংয়ের অনেক কিছুই ভালো। সেখানকার মেয়েরা চুল বাধে না।
খোলা চুলে বিকেলে ঘুরে বেড়ায়। দেখতে দারুন লাগে। দার্জিলিংয়ের বাতাসে ধুলো নেই। এ কারণে চুল বাধার প্রয়োজন হয় না।
শহরটা পুরোপুরি পরিচ্ছন্ন নয়।
বেশ নোংরা। সেখানকার তরুনদের মন ভালো। তবে গাড়ি চালনা, নতুবা কেয়ারটেকার, বা হোটেলে কাজ করা ছাড়া অন্য কোনো কাজ তাদের নেই। তাদের চোখে আমি দেখেছি বিস্তর হতাশা। এ রকম এক তরুন আজ আমার চোখে ভাসে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার ইচ্ছে করেই সেখানে কোনো কারখানা করে না। তাই আমি সুভাষ ঘিসিংয়ের পৃথক রাজ্যের আন্দোলনকে সমর্থন করি।
যা বলছিলাম। জীবনে একবার সবারই সেখানে যাওয়া উচিত। দেখার মত একটা জায়গা তো বটেই।
আজ কম্পিউটারে দার্জিলিংয়ের ছবিগুলো দেখছিলাম। আর ব্লগে দেখলাম, আরেকভাইও দার্জিলিং নিয়ে তার অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন। তাই আমি আর বসে থাকি কি করে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।