আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দার্জিলিং এ কয়েক দিন (১)


২০০১ সালের এপ্রিল মাসের ৫ তারিখ। আমরা তখন ভার্সিটির শেষ বর্ষের ছাত্র। ভার্সিটি থেকে বের হয়ে যাওয়ার আগে একবার দেশের বাইরে যাব এমন একটা প্ল্যান অনেক আগে থেকেই ছিল। কথায় আছে ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। আমাদের বেলাতে সেটি আরেকবার প্রমানিত হল।

ঠিক হল দার্জিলিং, ভূটান আর নেপাল যাবো। নির্ধারিত দিন সময়মত আমরা গাবতলী বাস কাউণ্টারে এসে জড়ো হলাম। সে এক অন্য রকম অনুভূ্তি- জীবনে প্রথম বারের মতন বিদেশ যাত্রা ! গাবতলী থেকে বাসে চড়লাম রাত এগারো টার দিকে। আর বুড়িমারি বর্ডারে পৌছঁলাম ভোর বেলা। এর পর দুই দেশের ইমিগ্রেশন পার হতে হতে দুপুর হয়ে গেল।

ভারতের ইমিগ্রেশন পার হয়ে দেখি আমাদের নেয়ার জন্যে একটা বাস অপেক্ষা করছে। বলে রাখা ভাল আমাদের ভ্রমন টা ছিল প্যাকেজ ট্যুর কোম্পানী’র মাধ্যমে। এর যেমন সুবিধা আছে তেমনি ২/১ টি অসুবিধাও আছে। সব চে বড় সুবিধা হল আপনাকে কষ্ট করে বাস, হোটেল কিছুই ঠিক করতে হবেনা। ওরাই সব রেডি করে রাখবে।

যাই হোক, বাস আমাদের নিয়ে যাত্রা শুরু করল শিলিগুড়ির পথে। ঘণ্টা ২ পর আমরা যখন শিলিগুড়ি তে পৌছঁলাম তখন দুপুর গড়িয়ে বিকেল। একটা হোটেলে লাঞ্চ সেরে রওনা দিলাম দার্জিলিং এর পথে। আমাকে যদি কেও জ়িজ্ঞাস করেন কোন রাস্তাটা আমার সব চাইতে প্রিয়। আমি বলবো ঈদের ছুটিতে যে পথ আমাকে আমার বাসাতে নিয়ে যায়…সেটি আমার সব চাইতে প্রিয়।

আর সব চাইতে সুন্দর রাস্তা? এক কথায়, দার্জিলিং যাবার রাস্তা। অদ্ভূত সুন্দর। শিলিগুড়ি থেকে ঘন্টা খানেক যাওয়ার পর শুরু হবে পাহাড়ি পথ। উপরের দিকে উঠছি তো উঠছি ই...উঠার কোন শেষ নেই। পাহাড়ের গা ঘেষেঁ রাস্তা।

অনেক উপরে দেখা যাচ্ছে একটা বাড়ী পাহাড়ের উপর সেটেঁ আছে। আপনি উপরে উঠতে উঠতে এক্কেবারে বাড়ী টার কাছে এসে গেলেন। আপনার উঠা যে আর শেষ হচ্ছেনা! এক সময় দেখলেন ঐ বাড়ী টাই অনেক নীচে নেমে যেতে যেতে এক সময় মিলিয়ে গেল! আপনি সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে কত টুকু উপরে উঠছেন সেটি কিছু দূর পর পর ফলকের উপর লিখা। দেখতে দেখতে আমরা কয়েক হাজার ফুট উপরে উঠে গেলাম। (চলবে)
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।