এক সময় বই ছিল আমার নিত্য সঙ্গী , অনেক রাত জেগে বালিশ নিয়ে উপুর হয়ে বই পড়তে পড়তে বুক ব্যাথা হয়ে যেত । পড়া শেষ হতো না । আজো বইয়ের কথা মনে হলে আমার বুকে ব্যাথা হয়, তাদের মলাটে ধুলোর আস্তর জমেছে বলে । বইয়ের পোকা থেকে এখন আমি ইন্টারনেটের পোকা ।
আসলে দার্জিলিং নয়, দার্জিলিং পাড়া ।
কেওকারাডাং পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত আমাদের বাংলার দার্জিলিং বা দার্জিলিং পাড়া । সমূদ্র সমতল হতে পশ্চিম বঙ্গের দার্জিলিং এর গড় উচ্চতা হল ৬৬৮৬ ফুট । আর আমাদের দার্জিলিং এর উচ্চতা কম বেশী ২৮০০ ফুট । উচ্চতায় কম বেশী যাই হোক না কেন সৌন্দর্য্য এখানে অফুরান । আর এখানকার পাহাড়ে ঘেরা সবুজ বনানী, পাখির কোলাহল আর কেওকারাডাং এর চুড়া ছুয়ে আসা মৃদুমন্দ বায়ু আপনাকে নিয়ে যাবে অন্য এক জগতে ।
আর বাসিন্দাদের মাচার উপর সুন্দর করে তৈরী করা বাড়ি, কিচির মিচির শব্দের কথা বার্তা ও পরিশ্রমী মুখগুলোর আতিথেয়তায় আপনি মুগ্ধ হয়ে পারবেন না । দার্জিলিং পাড়ায় জনবসতি খুবই কম। মাত্র ৩০টি পরিবার বসবাস করে । আসুন এবার আমার ক্যামেরায় দার্জিলিং পাড়াকে দেখি ...............
বগালেক থেকে চিংড়ি ঝিরি পার হয়ে দার্জিলিং পাড়ার দিকে যাওয়ার পথে আপনার চারপাশে সব সময়ই মেঘেরা এমন খেলা করবে ।
এক সময় সামনে দেখা যাচ্ছে দার্জিলিং পাড়াকে ।
এক সময় চলে এলাম দার্জিলিং পাড়া ।
উঁকিঝুকি মেরে আমাদের দেখছে একটি শিশু ।
দার্জিলিং পাড়ার পরিশ্রমী মুখগুলো ।
জাম্বুরা আর পেয়ারা গাছের প্রাচুর্য্য রয়েছে এই পাহাড়গুলোতে ।
দার্জিলিং পাড়ার প্রাইমারী স্কুল ।
পান পাত্র, আমার ধারণা ছোট আকাড়ের লাউ এর খোসা এইগুলো ।
এরকম ঘরগুলোকে দেখার জন্য বার বার ওখানে ছুটে যেতে ইচ্ছে করে ।
এখানকার কিশোরীরা বেশ সেজেগুজে থাকে, ছবি তোলার অনুমতি চাওয়ার পর ঘুরে হাটা ধরলো, কি আর করা.....
সময় কম, তাই পা বাড়ালাম কেওকারাডাং এর দিকে........
কেওকারাডাং এর পথে কিছুটা উঁচুতে গিয়ে দার্জিলিং পাড়ার আরো কিছু ছবি তুললাম । এক সময় উঁচু পাহাড় আর সবুজ বনানীর ভেতর হারিয়ে গেল দার্জিলিং পাড়া, কিন্তু আমার মন থেকে কখনো হারাবার নয়, এই অপার সৌন্দর্য্য..........
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।