মানুষ আমি আমার কেন পাখির মত মন....
(একটি গাড়ির শখ কার নেই? উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত সবাই গাড়ির সপ্ন দেখে। আমারও গাড়ির প্রতি অনেক আগ্রহ। একজন নেশাদার ড্রাইভার হিসেবে আমি যেসব গাড়ি চালিয়েছি বা যেসব গাড়ি সম্পর্কে জানি তা নিয়ে একটি সিরিজ পোস্ট শুরু করলাম। যাদের নতুন গাড়ি কেনার সামর্থ আছে তারা হয়ত হুট করে গাড়ি কিনে ফেলে, কিন্তু যাদের অঢেল অর্থ নেই তারা কম টাকায় সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কিনতে চায়। আমার এই পোস্ট তাদের কাজে লাগবে বলে আমার বিশ্বাস।
)
আজকের পর্বঃ গাড়ির বিভিন্ন টেকনিক্যাল অপশনের সুবিধা-অসুবিধা (গিয়ার, উইন্ডো, মিরর ইত্যাদি) এবং অটোলক/সেন্ট্রাল লক সিস্টেম।
সেন্ট্রাল লক সিস্টেমঃ
সেন্ট্রাল লক সিস্টেম থাকলে একটি সুইচের মাধ্যমে গাড়ির সবগুলো লক (দরজার লক )খোলা বা বন্ধ করা যায়। সাধারনত ড্রাইভাবের দরজার লক খুললে সবগুলো খুলে আবার বন্ধ করলে সবগুলো বন্ধ হয়। আবার কিছু কিছু লক পদ্ধতিতে চাবির সাথে রিমোটের মতো বাটন থাকে যেটি দিয়ে দুর দিয়ে দরজার লক খোলা বা বন্ধ করা যায়। এসব রিমোট রেডিও ফ্রিকোয়েন্সিতে কাজ করে থাকে।
এর একটি আরামের দিক হচ্ছে যে গাড়ি থেকে বের হয়ে কয়েক কদম এগিয়ে রিমোট টিপলেই অটোমেটিক জানালা বন্ধ হয়ে যাবে ও দরজা লক হয়ে যাবে। আবার গাড়ি লক অবস্থায় কেউ যদি গাড়িতে হাত দেয় তাহলে এলার্ম বাজবে।
পাওয়ার স্টেয়ারিং -এর সুবিধা-অসুবিধাঃ
সুবিধাঃ
১। স্টেয়ারিং ঘুরানো খুব সহজ (কম শক্তি দরকার হয়)।
২।
কম জায়গায় গাড়ি ঘুরানো (উই টার্ন নেয়া) যায়।
৩। রাস্তায় ছোট ছোট গর্ত থাকে, যেগুলোতে চাকা পড়লে মেনুয়্যাল স্টেয়ারিং হলে স্টেয়ারিং ঘুরে যায়, কিন্তু পাওয়ার স্টেয়ারিং হলে স্টেয়ারিং ঘুরে যায় না।
৪। আকাবাকা রাস্তায় সুক্ষ টার্ন নিতে সুবিধা হয়।
অসুবিধাঃ
১। গাড়ি চালু অবস্থায় হঠাৎ স্টার্ট বন্ধ হয়ে গেলে স্টেয়ারিং হার্ড হয়ে যায়।
২। পাওয়ার স্টেয়ারিং -এর বেল্ট খুলে গেলে বা পাওয়ার মটর নস্ট হয়ে গেলে স্টেয়ারিং অত্যাধিক জ্যাম হয়ে যায় (তখন স্টেয়ারিং ঘুরাতে খুব শক্তি লাগে)।
৩।
নিয়োমিত মেইন্টেইন করা লাগে (পাওয়ার অয়েল, পাওয়ার বেল্ট ইত্যাদি চেক করা লাগে)।
অটো গিয়ারের সুবিধা-অসুবিধাঃ
সুবিধাঃ
১। অটো গিয়ার গাড়ি চালানো খুব সহজ, শুধু মাত্র গাড়ির স্টেয়ারিং ও গতি নিয়ন্ত্রন করতে পারলেই হলো, গিয়ার নিয়ে কোন ভাবনা নেই।
২। তেল খরচ কম হয়।
তবে ড্রাইভার এক্সপার্ট হলে ম্যানুয়াল গিয়ারেও তেল খরচ কন হয়।
৩। যেহেতু অটো গিয়ার গাড়িতে ক্লাচের ঝামেলা নেই সেহেতু বাম পায়ের কোন কাজ নেই, তাই বাম পা আরামে রাখা যায়।
অসুবিধাঃ
১। কখনো ব্যটারী নস্ট হলে গেলে বা কম চার্জ থাকলে ধাক্কা দিয়ে গাড়ি স্টার্ট করা যায় না।
২। মাঝে মাঝে গিয়ার জ্যাম হয়ে যায়, তখন গাড়ি স্টার্ট হয় না।
৩। একটি গুরুত্বপূর্ন পয়েন্ট যেটি অটোগিয়ারের অসুবিধা নয় বরং মেনুয়্যাল গিয়ারের সুবিধা, সেটি হচ্ছে প্রয়োজনের সময় গিয়ার চেন্জ করে বাড়তি গতি পাওয়া যায়, যেটি স্পোর্ট কারের বেলায় খুবই দরকারী।
এছাড়া নিয়োমিত মেইন্টেন করা ছাড়া তেমন কোন অসুবিধা নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।