মানুষ আমি আমার কেন পাখির মত মন....
(একটি গাড়ির শখ কার নেই? উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত সবাই গাড়ির সপ্ন দেখে। আমারও গাড়ির প্রতি অনেক আগ্রহ। একজন নেশাদার ড্রাইভার হিসেবে আমি যেসব গাড়ি চালিয়েছি বা যেসব গাড়ি সম্পর্কে জানি তা নিয়ে একটি সিরিজ পোস্ট শুরু করলাম। যাদের নতুন গাড়ি কেনার সামর্থ আছে তারা হয়ত হুট করে গাড়ি কিনে ফেলে, কিন্তু যাদের অঢেল অর্থ নেই তারা কম টাকায় সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কিনতে চায়। আমার এই পোস্ট তাদের কাজে লাগবে বলে আমার বিশ্বাস।
)
আজকের পর্বঃ টয়োটা করোলা স্টেশন ওয়াগন ১৯৯০-১৯৯২ মডেল
javascript:void(1);
javascript:void(1);
javascript:void(1);
javascript:void(1);
javascript:void(1);
টয়োটা করোলো সিডান থেকে এটির বেশীরভাগ পর্থক্য হচ্ছে বডিতে। ছবি দেখলেই যা বুঝা যাবে। এটি মূলত কিছুটা কম ওজনের মালামাল পরিবহন করতে পারে। যারা নিয়োমিত চলাচলের সাথে কিছুটা মালামাল পরিবহনের সুবিধা চান তাদের জন্য এটি ভলো একটি গাড়ি। মালামাল পরিবহন ছাড়াও কম মূল্যের কারনে অনেকে এটি ব্যবহার করে।
এটির আর একটি ভালো দিক এটি স্পীং গুলো পেচানো না হয়ে লম্বা ইস্পাতের বাকানো পাতের হয়ে থাকে যেটিকে স্থানীয় টেকনিশিয়ানরা পাতি স্পীং বলে। যার ফলে এটি বেশী ভার বহন করতে পারে আবার সহজের পাতির সংখ্যা বাড়িয়ে (অতিরিক্ত পাতি লাগিয়ে) গাড়িটি উচু করা যায় ও বেশী ভার বহনে সক্ষম করা যায়। তবে ১৩০০ সিসি ইন্জিনে বেশী ভার বহন না করাই ভালো। স্টেশন ওয়াগন ১৫০০ সিসি অল অটো মডেলেরও হয়ে থাকে। আমি এই গাড়িগুলোকে পছন্দ করি লং জার্নিতে।
কারন সাধারন সিডানে ৫০-৬০ লিটার সিএনজি সিলিন্ডার লাগানো গেলেও স্টেশন ওয়াগনে ৯০-১০০ লিটার সিএনজি সিলিন্ডার লাগানো যায়। ফলে একটি গাড়ি একবার গ্যাস নিয়ে প্রায় ২৫০-২৮০ কিলোমিটার চলতে পারে।
ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাবার পথে চট্টগ্রামের পরে কোন সিএনজি স্টেশন নেই, আবার চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের দুরত্ব ১৫৫ কিলোমিটার, ফলে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাতায়াতে ৩১০ কিলোমিটার রাস্তায় কোন গ্যাস পাওয়া যায় ন। ফলে তেলের উপর নির্ভর করতে হয় যাতে খরচ অনেক বেশী পরে। সেক্ষেত্রে স্টেশন ওয়াগন হলে ২৫০ কিলোমিটার পথে গ্যাস ব্যবহার করা যায়।
এজন্যই শুধু মাত্র কম খরচে কক্সবাজার যাবার জন্য আমি একটি স্টেশন ওয়াগন কিনেছিলাম।
এছাড়া অনেকে নিয়োমিত গ্রামের বাড়িতে যান এবং ফেরার পথে গাছের ডাব, ক্ষেতের আলু, কিছু শাক-সবজী ইত্যাদি বিভিন্ন জিনিস সাথে আনতে চান (আমার আম্মা এ ব্যাপারে অত্যান্ত দক্ষ বলা যায়), তাদের জন্য এ গাড়িগুলো খুবই উপোযোগী।
তবে এগুলোর বসার সিটগুলো বেশী আরামদায়ক নয়। ফলে বয়স্ক যাত্রীগন এ গাড়িতে বসে আরাম পান না।
করোলার অন্যান্য মডেলের মতো এটিরও স্পেয়ার পর্টস সহজ লভ্য ও মেইন্টেন্যান্স খরচ খুব কম।
আমাদের দেশের বর্তমান বাজারে স্টেশন ওয়াগনের দাম নিম্নরূপ
ইই ৯০ স্টেশন ওয়াগন ৯০-৯১ মডেল (১৩০০ বা ১৫০০ সিসি) - ২ থেকে ৩লাখ
ইই ১০০০ স্টেশন ওয়াগন ৯২-৯৪ মডেল (১৩০০ বা ১৫০০ সিসি) - ৩ থেকে ৪লাখ
(সিএনজি সিলিন্ডারের সাইজ অনুযায়ী ও এসি থাকা না থাকার উপর দাম বেশী কম হতে পারে। )
(ছবি ক্লিক বিডি থেকে সংগ্রহীত)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।