আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাঙ্গামাটি ভ্রমন……গাইড

No body is perfect I am no body

শীত আসছে। আর শীতকাল মানেই ভ্রমনের মাস। অনেক ভ্রমন বিলাসীরা নিশ্চয় প্লান করা শুরু করে দিয়েছেন কোথায় কোথায় যাওয়া যায় এই শীতে? তাহলে চলুন যাওয়া যাক, “লোকালয় ছেড়ে, ঔ দূর পাহাড়ে। ” “রাঙ্গামাটি” প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপার লীলাভূমি। এখানকার লেক, ঝরনা, বিস্তির্ন নীল আকাশ, পাহাড় সর্বপরি আদিবাসি মানুষের সাধারন সহজ-সরল জীবন আপনাকে বিমহিত করবে।

এখানে যেদিকে তাকাবেন নজরে পড়বে কেবল পাহাড় আর কাপ্তাই লেকের পানি। বিশাল কাপ্তাই লেকের পুরোটাই যেন অপার মমতায় দুহাত দিয়ে ধরে রেখেছে পাহাড়গুলি। আকাশের মেঘ আর তার নীলাভ আভা খেলা করে লেকের জলে, দূরে পাহাড়ের আড়ালে হারিয়ে যায়, আবার যেন উকি দিয়ে দেখে নেয়, কেমন আছে লেক। হলফ করে বলা যায়, এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টান আপনাকে টানবেই। আপনাদের সহযোগিতার জন্য রাঙ্গামাটি ভ্রমনের খুঁটিনাটি নিয়ে এবারের লেখা…. আশা করছি আপনাদের উপকারে লাগবে।

কিভাবে যাবেন? ঢাকা টু রাঙ্গামাটি অনেক গুলো পরিবহন আছে যেমন: সোহাগ, সৌদিয়া, শ্যামলী, হানিফ, ঈগল ইত্যাদি। আপনি কল্যানপুর, কলাবাগান বা সায়দাবাদ থেকে রওনা হতে পারেন। ভাড়া ননএসি ৬০০-৬৫০ টাকা, এসি ৮০০-১০০০ টাকা। তবে মনে রাখবেন সময় ও ভ্রমনের দিন গুলিকে সঠিক ব্যবহার করা উচিৎ আর তায় রাতে রওনা হওয়াই শ্রেয়। রাতে রওনা হলে (১০-১১ টা)আপনি খুব ভোরে(৬-৭ টা) পৌছে যাবেন রাঙ্গামাটি।

এতে আপনার মূল্যবান একটি দিন বেঁচে যাবে। ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথেই কাপ্তাই লেক জীবন্ত হয়ে ওঠে কোথায় উঠবেন? পৌছে তো গেলেন এবার থাকার পালা। রাঙ্গামাটিতে পুরাতন বাস স্ট্যন্ড ও রিজার্ভ বাজার এলাকায় বেশকিছু হোটেল আছে। তবে হোটেলে ওঠার আগে যদি একটু বিবেচনা করে নেন হোটেলটি কাপ্তাই লেকের পাশে কিনা তাহলে আপনি হোটেল থেকে লেকের মনোরম পরিবেশ ও বাতাস উপভোগ করতে পারবেন। হোটেলের বারান্দা ভিউ হোটেলের বারান্দা থেকে দেখা যাবে কাপ্তাইলেকের মনোরম দৃশ্য ৬০০-১২০০ টাকা ভাড়ায় এরকম হোটেল পেয়ে যাবেন।

আমরা ছিলাম হোটেল লেকসিটি তে….আপনারাও চেষ্টা করে দেখতে পারেন। তবে হোটেলটি ছোট ছোট পরিবারের জন্য ঠিক আছে। ০১৮১৭৮৩৬৮৪(মিজান) এই নম্বরে বুকিং দেয়া যাবে। তবে ভিআইপি দের জন্যও কিছু হোটেলের তালিকা দিয়ে দিলাম (১) পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স ১২ টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুম রয়েছ। প্রেতিটির ভাড়াঃ ২০০০ টাকা ৭টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রনহীন রুম রয়েছে প্রতিটির ভাড়াঃ ১০০০ টাকা যোগযোগ ফোনঃ ০৩৫১-৬৩১২৬ (অফিস) (২) হোটেল সুফিয়া ২৭ টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুম রয়েছ।

প্রেতিটির ভাড়াঃ ১২০০ টাকা (একক), ১৮০০ (দ্বৈত) ৩৫টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রনহীন রুম রয়েছে প্রতিটির ভাড়াঃ ৮০০ টাকা যোগাযোগ ০৩৫১-৬২১৪৫, ৬১১৭৪, ০১৫৫৩৪০৯১৪৯ (৩) হোটেল গ্রীন ক্যাসেল ৭ টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুম রয়েছ। প্রেতিটির ভাড়াঃ ১১৫০ হতে ১৬০০ টাকা পর্যন্ত ১৬টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রনহীন রুম রয়েছে প্রতিটির ভাড়াঃ ৭৫০ হতে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত যোগাযোগঃ ০৩৫১-৭১২১৪, ৬১২০০, ০১৭২৬-৫১১৫৩২, ০১৮১৫-৪৫৯১৪৬ ভ্রমনের প্রস্তুতি হোঠেলে কিছুক্ষন বিশ্রাম নিয়ে বের হয়ে পড়ুন যত সকাল সকাল বের হওয়া সম্ভব। আমরা বের হয়ে পড়েছিলাম সকাল ৮ টার দিকে। নাস্তা সেরে ঠিক করে নিন কোথা কোথায় যাবেন? রাঙ্গামাটির প্রায় সবগুলো স্পটেই ইন্জিন চালিত নৌকায় যাওয়া যায়। তাই সারাদিনের জন্য একটি ইন্জিন চালিত নৌকা ভাড়া করে নিতে পারেন।

তবে অবশ্যই দালালদের পাল্লায় পড়বেন না। বেশ কয়েকটি মাঝির সাথে কথা বলে তারপর ঠিক করে নিন ভাড়া। আমরা সারা দিনের জন্য এরকম একটি নৌকা ভাড়া করেছিলাম ১৬০০ টাকায়। তেল খরচ সহ। এই রকম ইন্জিন চালিত নৌকা ভাড়া নিয়ে নিতে পারেন সারা দিনের জন্য তাছাড়াও বিভিন্ন স্পটে নৌকা পার্কিং ও টিকেট এর একটি খরচ আছে সেটি মনে রাখবেন।

তাই মাঝিদের মিষ্টি কথায় ভুলবেন না (ঠিক আছে…হি হি)। রাঙামাটির বেশকিছু দর্শনীয় স্থান আছে। চলুন এক এক করে ঘুরে আসা যাক। প্রথমেই যাচ্ছি রাজবন বিহারে যেতে সময় লাগবে ৪৫ মিনিটের মত। যাবার পথে সুন্দর নয়না ভিরাম দৃশ্যাবলীতে আপনার মন ভরে যাবে কথা দিচ্ছি।

চলেন দেখতে দেখতে যায়। শুরু হলো নৌকা ভ্রমন পহাড় ও পানি কাপ্তাই লেকে জীবন যাত্রা লেকের ধার ঘেসে অনেকগুলি হোটেল ও বাজার রয়েছে দূর থেকে আমাদের হোটেল স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনযাত্রা স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনযাত্রা বেশ ঝুঁকি পূর্ণ চারপাশে পানিতে ঘেরা একটি গ্রাম এই রকম ছেট বড় অনেক নৌকা চোখে পড়বে আদীবাসীদের মধ্যে মহিলারাই তুলনামূলক বেশী কাজ করে রাজবন বিহার আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই বৌদ্ব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানটি লেকের ধার ঘেষে অবস্থিত। এখানে অবস্থান করেন বৌদ্ব আর্য পুরুষ শ্রাবক বুদ্ধু সর্বজন পূজ্য শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাসহবির বনভান্তে। এই বৌদ্ব বিহারে প্রত্যেক বছরের কঠিন চীবর দানোৎসবে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে। এছাড়া প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনাথী ও পুণ্যানর্থীর ভিড়ে মুখরিত থাকে রাজবন বিহার এলাকা।

এটি বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধান বৌদ্ব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। বেশ কয়েকটি বৌদ্ব মন্দির, বিশ্রামগার, হাসপাতাল, তাবতিংস স্বর্গসহ অনেক কিছু রয়েছে দেখার মত। মন্দির তাবতিংস স্বর্গ (৭ টি স্বর্গ) ঢুকবেন নাকি? তবে ভেতরে ঢুকতে অনুমতি লাগবে স্থানীয় ভাবুক মন্দির নীথর কাপ্তাইলেক এবার যাওয়া যাক চাকমা রাজার বাড়ি রাজবন বিহারের পাশেই রয়েছে চাকমা রাজার বাড়ি। চারপশে হ্রদ দ্বারা বেষ্টিত এই রাজবাড়িতে রয়েছে কাচারি, রাজ কার্যালয়, রাজার বাসভবন, চাকমা রাজা কর্তৃক উদ্ধারকৃত মোঘল আমলের ফঁতে খার সজ্জিত কামান, সবুজ ঘন বাঁশঝাড় ও আরও অনেককিছু। এখানে দেখেতে পাবেন হাতে বোনা কাপড় নিয়ে বসে আছে কিছু স্থানীয় আদিবাসি।

কাপড়ের মান ভাল। প্রয়োজনে কেনাকাটা করতে পারেন। বতর্মানে চাকমা সাকেল চিফ রাজা ব্যরিষ্টার দেবাষীস রায় ও তার মা রানি আরতি রায় এই রাজবাড়িতে থাকেন। রাজ বিহারের ফলক সন্যাসীদের বাসভবন মিস ডায়ানা (আদীবাসী) চাকমা রাজার কার্যালয় চাকমা রাজার ভবন পাহাড়ী মরিচ (ভীষন ঝাল টেষ্ট করতে পারেন) ফতে খার কামান রাজবাড়ি দেখে রওনা হতে পারেন সুবলং ঝরনার দিকে। সময লাগবে ২:৩০ মিনিটের মত।

পখে লেকের পাশে কিছু বাজার চোখে পড়বে। হালকা নাস্তা ও পানি নিয়ে নিবেন সাথে। লেকের তীর ঘেষে এরকম অনেকগুলো বাজার আছে তবে দুপুরের খাবার ও খেয়ে নিতে পারেন। কারন সুবলং যেতে আসতে বেশ সময় লাগবে। আর যারা প্রকুত ভোজন রসিক তাদের জন্য স্পেশাল একটা টিপস্ দেয়া যায়।

রাজবাড়ি থেকে বের হয়ে মাঝিকে বলুন বনরুপা বাজার যেতে। বনরুপা বাজারে পৌছে কাঁচাবাজার যান ওখানে স্থানীয় আদিবাসি রেস্তোরা পাবেন। কুচি মাছ, শুটকি, বাঁশ কুড়ুল (কচি বাঁশ রান্না) সবজি দিয়ে লেকের ছেটি মাছের চচচরি (বাঁশের মধ্যে রান্না করা) ইত্যাদি সহ প্রায় সব রকমের আদিবাসি খাবার পাবেন। তবে আপনার ও আপনার সঙ্গীদের ধর্মীয় অনুভূতির দিকে খেয়াল রাখবেন। সাপ, ব্যাঙ, শুকর, কচ্ছপ খাবেন কিনা আপনার ব্যাক্তিগত ব্যাপার।

দাম খুব বেশী না, তবে এরা খুব ঝাল খায়। দুপুরের খাবার (ব্যাঙ, কুচি মাছ, বাশ কুড়ুল, চ্চরি, মুরগি) দুপুরের খাবার খাওয়ার পর সুবলং এর দিকে যাত্রা করা যাক। পথে যেতে যেতে দেখা যাবে দুই পাশের পাহাড়ে নানা প্রকার বৃক্ষরাজি ও জঙ্গলের। সুবলং যাবার পথে পাহাড় থেকে কলা সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে স্থানীয় বাজারে পাহাড়ে প্রচুর কলাগাছ আছে। এখানে এসে পাগাড়ী কলা টেষ্ট করতে ভুলবের না।

কিছু কিছু জায়গায় পাহাড়ের মাটি দিয়ে পানি চুইয়ে চুইয়ে শিলায় পরিনত হয়েছে। কাছ থেকে দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। সুবলং যাবার পথে একটি রেস্তোরা শিলামাটি মাছ ধরায় ব্যাস্ত কতিপয় জেলে আনুমানিক ২:৩০ মি চলার পর পৌছাবেন ঝরনায়। সুবলং ঝরনার প্রবেশ পথ ক্যপশনের প্রয়োজন আছে? তবে ঝরনার প্রকৃত রুপ দেখতে হলে বরষা কালে আসতে হবে। বরষায যারা একবার দেখেছে সুবলং তাদের কানে আজীবন বাজবে ঝরনার হুংকার।

বদ্ধ জায়গাতে পানি পড়ার শব্দ পাহাড়ে প্রতিফলিত হয়ে তীব্র গজর্নের সৃষ্টি করে। প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ১০ টাকা। সুবলং ঝরনা কাঠের সেতু (সুবলং) সুবলং এ এখানকার পরিবেশ টা বেশ গোছানো সুন্দর। ফুলের বাগান, হাটার জন্য ব্রীজ, উচু বসার জায়গা সবই আপনার দৃষ্টি কাড়বে। এখানে গোসল সেরে নিতে ভুলবেন না।

তবে বেশী ঝুঁকি নেবেন না। মনে রাখবেন পা পিছলে আলুর দম হতে সময় লাগে না। আর পড়লে হাড্ডি ভাংবেই। এখানে একটি সেনা ক্যাম্প আছে। এখান খেকে সুবলং বাজারে যাওয়া যায়।

সুবলং বাজারের ফল, সবজি ও খাবার বিখ্যাত। রাস্তাটিতে মাঝে মাঝে বুনো হাতি চলাচল করে তাই সাবধানে চোখকান খোলা রেখে চলবেন। সাথে থাকা একমাত্র নাস্তা যখন পানিতে পড়ে যায়__মনের অবস্থা যা হয় না সুবলং থেকে যেতে পারেন “পেদা টিং টিং” এটি একটি রেষ্টুরেন্ট যার অর্ হল, পেট পুরে খাওয়া। তবে এর জন্য বেশ খরচ করতে হবে। এটি বেশ দামি খাবারের দোকান।

শুধু মাত্র খাবার জন্য এখানে না যাওয়ায় ভাল। এতে পয়সা সময় দুটোই বাঁচবে। পেদা টিং টিং রেষ্টুরেন্ট জলদি রওয়ানা করুন ঝুলন্ত সেতুর দিকে। কারন ৫ টার পর আবার সেতুটি বন্ধ হয়ে যায় দর্শনার্থীদের জন্য। যদি সময় করতে পারেন ভাল নইলে হোটেলে ফিরে যান, হালকা বিশ্রাম নিয়ে শহরটা ঘুরে আসুন।

জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়, একটি স্টোডিয়াম সহ শহরের স্হাপনা বেশ ভাল। আকাশ মেঘ পানি পাহাড় আর রোদের খেলা সত্যিই সুন্দর তাইনা? মেঘের কোলে রোদ এসেছে, বাদল গেছে টুটি ঝাঁপ দেবেন নাকি? আমরা ঝুলন্ত সেতুতে পৌছেছিলাম ৪:৩০ এর দিকে। নৌকার আকারের উপর পার্ং ভাড়া নিভর করে। ৭০-১০০ টাকা। আমাদের টা ১০০ টাকা নিয়েছিল।

এবার জনপ্রতি ২০ টাকা ভাড়া দিয়ে বেড়াতে থাকুন আর উপভোগ করুন ঝুলন্ত ব্রীজের সৌন্দর্য। রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত সেতু উপর থেকে দেখা রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত সেতু বিজিবি এর ঘাঁটি আছে রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত সেতু এলাকায় শান্ত কাপ্তাই লেক শাখা বের হবার আর কোন যায়গা নাই রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত সেতু এলাকায় পাহাড়ী রাস্তা (ছবিটি সন্ধ্যার পর তোলা ISO তেলেসমাতি) রাঙ্গামাটি শহরের শেষ প্রান্তে এবং কাপ্তাই লেকের ধার ঘেষে ঝুলন্ত সেতুর অবস্থান। পাশে একটি বিজিবি ক্যাম্প রয়েছে। বিজিবি ক্যাম্পএর বাগান ও নগর সৌন্দর্য করন আপনার ভাল লাগবে। পাশে রয়েছে পর্যটন মোটেল।

অপূর্ব নির্মান শৈলীর কারনে সেতুটি নজর কাড়ে। ঘোরাঘেুরি শেষে যখন ফেরত আসবেন তখন গোধুলী বেলা। মেঘের আলো আধারি আর পাহাড়ের সৌন্দর্য আপনাকে কবি করে তুলবে নিশ্চিত। গোধুলী লঘনে নেমে আসছে অন্ধকার ডুবন্ত সূর্যটারে ঢেকে দিল মেঘে যদি সময় করতে না পারেন তবে পরদিন সেতু ভ্রমন শেষে ঘুরে আসুন উপজাতীয় যাদুঘর। রঙ্গামাটি শহরেই এর অবস্থান।

এখানে উপজাতীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারবেন। তবে ছবি তোলা নিষেধ। চাইলে রাতেই ফেরত আসতে পারেন। অথবা আপনার সময় সুবিধা মত ফেরত আসুন। আসার পথে আপনার ল্যাপটপ অথবা ট্যাব এ “কবে যাব পাহাড়ে আহারে আহারে, কবে পাব তাহার দেখা আহারে আহারে” গানটি প্লে করুন আপনার তোলা অসংখ্য ছবির স্লাইড শো দেখতে দেখতে আর ভ্রমনের সুখস্মৃতি রোমন্থন করতে করতে ফেরত আসুন।

যা যা সংগে রাখবেনঃ পাহাড়ে চলার সময় আপনার এনার্জী প্রচুর খরচ হবে। তাই পানি ও নাস্তার ব্যবস্থা রাখতে হবে ব্যাকআপ হিসাবে, ফ্লাক্সে করে চা অথবা কফি নিতে পারেন, গোসলের জন্য আলাদা জামা কাপড়, কেইডস ও স্পন্জ এর স্যোন্ডেল, ফাষ্ট এইড বক্স ও টর্চ লাইট। (কারন পাহাড়ে কখন হুট করে সন্ধ্যা লাগবে টের ও পাবেন না) আর মাঝি বেচারা কে খাওয়াবেন। বেচারা সারাদিন আপনাদের সাথে ঘুরবে কিছু খাওয়ার সময় পাবে না। আরও দর্শনীয় স্থানঃ উল্লেখিত জায়গাগুলো ছাড়াও আর কিছু সুন্দর দেখার মত জায়গা রয়েছে রাঙ্গামাটিতে।

এখানে প্রতি বুধ ও শনি বার থবলাছড়ি চাকমা বাজার বলে একটা বাজার তথা হাট বসে। এটা রঙ্গামাটি শহরে উপজাতীয় প্রধান বাজার। নানা রকমের উপজাতীয় পন্যের সমাহার ঘটে এখানে। তাছাড়া সময় থাকলে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ও জাতীয় উদ্যান ঘুরে আসতে পারেন। বিঃ দ্রঃ ভ্রমন বিষয়ক এটাই আমার প্রথম লেখা।

ভূলত্রূটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করছি। লোখাটি আপনাদের কোন উপকারে আসলে খুব খুব ভাল লাগবে। ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।