আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাইফেল সিরিজ - এম ৪ কারবাইন

অলস মস্তিস্ক বহু বান্দরামীর উর্বর ভূমি
রাইফেল সিরিজের আজকের রাইফেল M4 carbine । এম ৪ কারবাইন একটি গ্যাস অপারেটেড ক্লোজ কমব্যাট উইপন। যা মূলত এম ১৬ এর উন্নত কমান্ডো সংস্করন। এর সেমি-অটোমেটিক , অটোমেটিক ২ ভার্শন ই আছে। আমেরিকান অস্ত্র প্রস্তুতকারক কোল্ট ডিফেন্স ১৯৮৮ সালে এম১৬ এর বেসিক ভার্শনের উপর লাইসেন্স নেয় এবং এর উন্নয়নের লক্ষ্যে গবেষনা শুরু করে।

১৯৯৪সালে তারা এম ৪ কারবাইন এর ডিজাইন শেষ করে । ১৯৯৭ সালে আমারিকা এম ৪ কারবাইন কে তাদের কমান্ডো আর্মস হিসাবে নির্ধারন করে। পরে এম৪ কে মেরিন ফোর্স এ সংযুক্ত করা হয়। । এটি একটি গ্যাস অপারেটেড ক্লোজ কমব্যাট উইপন।

এম ৪ কারবাইনের বেসিক ডিজাইন এম ১৬ এর হলেও এতে যথেষ্ট উন্নয়ন করা হয়েছে। এর ব্যারেলের আকার ছোট। এর ব্যারেল ১৪.৫ ইন্চি যেখানে এম ১৬ এর ২১ ইন্চি। যা এর ব্যবহারকারীদের কম জায়গায় খুব দ্রুত আশেপাশের লক্ষ্যে ফায়ারিং করতে সাহায্য করে। এর আকৃতি এবং ওজন এম১৬ এর থেকে অনেকটাই কম।

ফলে এই অস্ত্র বহন করা অন্য একটা ফুল লেংথ এম ১৬ বহন থেকে সহজ। এর ব্যারেলে এক ধরনের ফিল্টার আছে যা কিনা ব্যারেলে কার্বন জমতে বাধা দেয়। এতে বিভিন্ন সাইট এবং পার্টস লাগানো যায় । যেমন: গ্রেনেড লান্চার, লেজার সাইট,নাইট ভিশন টুলস ইত্যাদি। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এর আকুরেসি।

বেসিক এম ১৬ এর অ্যাকুরেসী ভাল কিন্তু এম৪ কারবাইনের অ্যাকুরেসি রেট প্রায় ৯২% এতে ৫.৫৬*৪৫ মি.মি মডেলের যে কোন বুলেট ফায়ার করা যায়। বিভিন্ন প্রকার কাষ্টমাইজ বুলেট ও এতে ব্যবহার করা যায়। এছাড়া এর বুলেটের হাইড্রো-ষ্ট্যাটিক শক ও আছে। পানিতে ভিজে গেলে শুধু মাত্র ব্যারেলর পানি সরে গেলেই এই অস্ত্র ব্যবহার করা যায়। বিবরন: ভর : ৩ কেজি (বেসিক মডেল) এমুনিশান : ৫.৫৬*৪৫ মি.মি ন্যাটো মাজল ভেলোসিটি : ৮৫০মিটার/সেকেন্ড কার্যকরী দুরত্ব : ৫০০ মিটার / সেমি অটোমেটিক ৪৫০ মিটার / অটোমেটিক ফায়ারিং রেট : ৯০০ রাউন্ড/ মিনিট ম্যাগাজিন: ৩০ বা ৪৫ রাউন্ডের বক্স ম্যাগাজিন এর অসুবিধার মধ্যে আছে,এর গরম হয়ে যাওয়া ।

এতে এয়ারকুল সিষ্টেম থাকলেও তা খুব একটা কাজের না, ফলে গরম হয়ে গেলে এটা ব্যবহার করা কঠিন হয়ে উঠে। এম৪ এর রক্ষনাবেক্ষন আরেক ঝামেলা। নিয়মিত ব্যারেলের ফিল্টার পরিবর্তন করতে হয় নাইলে দেখা যায় হুট করে রাইফেল ডেড। এর ৫.৫৬*৪৫ মি.মি বুলেটের ভেদন ক্ষমতা খুব বেশি ভালো না। এটা চালানোর জন্য আলদা ট্রেনিংএর দরকার হয়।

এম ৪ কারবাইনের ব্যবহার মূলত কমান্ডো আর্মস হিসাবে। ক্লোজ কমব্যাট প্লেসে, সিটি এরিয়াতে নাইট অপারেশন অথবা নেভাল অপারেশনে এম৪ এর দক্ষতা অতুলনীয়। এর মূল শক্তি এর অসাধারণ অ্যাকুরসী এবং ক্ষিপ্ত ফায়ারিং রেট। তবে ব্যাটেল ফিল্ডের ক্ষেত্রে এম ৪ কারবাইন এর ব্যবহার কম এমনকি আমেরিকাও ব্যাটেল ফিল্ডে এম ৪ কারবাইনের চেয়ে এম ১৬ বেশি ব্যবহার করে। বাংলাদেশে সোয়াট এবং নেভির কমান্ডো (BN SWADS) ব্যাটলিয়নে এই অস্ত্র ব্যবহৃত হয়।

বাংলাদেশ পুলিসের সোয়াট ইউনিট রাইফেল সিরিজের আগের পোষ্ট : রাইফেল সিরিজ - বিডি ০৮ সাবমেশিন/ মেশিনগান গান রাইফেল সিরিজ - হেকলার এন্ড কচ্ - জি ৩ রাইফেল সিরিজ - একে ৪৭ রাইফেল সিরিজ - এম ১৬ রাইফেল সিরিজ- উজি গান রাইফেল সিরিজে এর পরে আর বোধহয় আর পোষ্ট দেয়া হবে না। তবে অন্য কোন সিরিজ নিয়ে আসার ইচ্ছা আছে । যারা এত দিন কষ্ট করে এই সিরিজের অখাদ্য পোষ্ট গুলো পড়েছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.