সামুতে বারবার ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করলেও কর্তৃপক্ষের নিশ্চুপ থাকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসাবে ব্লগিং বন্ধ করলাম এখানে। ধিক্কার সামুর কর্তৃপক্ষকে
এর আগে সূচনা পোষ্ট দিয়েছিলাম, এবার একটু বিস্তারিততে আসছি..গত ১৮ই এপ্রিলে টোকিওর ইকেবুকরোয় অবস্থিত নিশুগুচি পার্কে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বৈশাখী মেলা ২০১০। উপস্থিত ছিলেন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জনাব লতিফ সিদ্দিকী, জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত, টোকিওর মেয়র, বাংলাদেশের একজন সংসদ সদস্য। প্রথমেই বৈশাখ নিয়ে হালকা পরিচয় করে দেয়া হয়ঃ
বাংলাদেশিরা ছাড়াও প্রচুর সংখ্যক জাপানিজ লোকজন, অন্যান্য দেশের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। তারা উপভোগ করেছেন বাংলাদেশের গান-ঐতিহ্য এবং খাবার।
যদিও গতবারের তুলনায় এবার লোক সমাগম কম, আমার পরিচিত অনেকেই তারিখ নিয়ে সন্দিহান ছিলো, আর খারাপ আবহওয়ার জন্য হয়ত, কারন দু'দিন আগেই অনাহত তুষারপাত হয়েছে টোকিওতে। এরপরও লোক সমাগম অতটা কম বলা যাবে না।
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পোষাক নিয়ে ছোট্টদের দিয়ে একটা ফ্যাশন শো করা হয়।
এরপর জাপানের ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র দিয়ে নারীরা একটা গান পরিবেশন করে। সুরটা বেশ আকর্যনীয়
গানটি শুনুনঃ
এরপর নিহোন কাইকো কোরিওকাই এর গান (২য় ভিডিও)
এরপর উত্তরন শিল্পী গোষ্ঠি তাদের গান পরিবেশ করে।
এখানে একজন জাপানী মেয়ে আর বাংলাদেশী একজন দ্বৈত কন্ঠে জনপ্রিয় বাংলা গানঃ বেদের মেয়ে জোস্না গেয়ে শুনান।
যা সবাই খুব উপভোগ করে, বাংলাদেশীদের সাথে বিদেশীরাও এই গানগুলি উপভোগ করে, তাদেরও হাত নাড়া দেখে এমনই প্রতিয়মান হয়।
পার্কটির মাঝখানে চমৎকার ফোয়ারা রয়েছে।
মেলা উপলক্ষে বাংলাদেশি মালিকানাধীন বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান এর স্টল ছিলো, একটা ব্যাংকের স্টল ছিলো, যেটা মেলা থেকে বাংলাদেশে রেমিটেন্স পাঠানো যায়।
সবশেষে শেষ চমক হিসাবে উপস্থিত হন ক্লোজআপ ওয়ান তারকা সালমা ও কিশোর।
এরপর তাদেক বরণ করা হয় ফুলের তোড়া দিয়ে। জনপ্রিয় কিছু গান গেয়ে তারা মাতিয়ে রাখেন বৈশাখী মেলা।
সাথে বোনাস। পিচ্চির হেয়ার স্টাইল দেখুন। কিছু বুঝা যায়? :-)
সামনে আরো ভিডিও ও ছবি নিয়ে পরবর্তি পর্ব আসবে।
শুভকামনা সবাইকে।
পরিশেষে একটা অনুরোধ। বিনা পয়সায় বাংলা লিখতে অভ্র-র পাশে দাড়ান।
বিস্তারিত পড়ুনঃ ভাষা উন্মুক্ত হবেই
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।