"Discover a better tomorrow"
দেশের কারিগরি শিক্ষা নিয়ন্ত্রনকারী একমাত্র বোর্ড বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড। এই বোর্ডের অধীনে দেশের কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা, ছুটি ইত্যাদি এই বোর্ডই দিয়ে থাকে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে বাংলাদেশে ১৪ এপ্রিল গ্রীষ্মকাল শুরু হলেও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রমের শিক্ষার্থীদের গ্রীষ্মকালীন ছুটি ১৫ এপ্রিল শেষ হয়ে গেছে। অথচ শিক্ষার্থীদের পর্ব সমাপনী পরীক্ষাও শেষ হয়েছে ১৫ এপ্রিল।
আর পরীক্ষা শেষ করে শিক্ষার্থীরা বাড়ি চলে গেছে। ফলে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট গুলো অধিকাংশই এখন ফাঁকা। শিক্ষার্থীরা ৬ মাসের সেমিস্টারে ২ মাস ধরে পর্ব সমাপনী পরীক্ষা দিয়েছে অথচ ছুটি পাবে না তা কি করে হয়। যেখানে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলছে বা ছুটি শুরু হবে। সেখানে এসব শিক্ষার্থী পরীক্ষা শেষের পরের দিনই ক্যাম্পাসে আসবে তা কি করে হয়।
তাইতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক ও বোর্ডকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শিক্ষার্থীরা বাড়ি চলে গেছে। আর চাকুরীর তাগিদে শিক্ষকেরা নিয়মিত কর্মস্থলে গিয়ে হাজিরা দিয়ে আসছেন। পরীক্ষা শেষে অন্তত ১ সপ্তাহ যদি ঘোষিত ছুটি দেওয়া হতো তবে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা কিছুটা হলেও স্বস্তিবোধ করতো। অথচ এখন অঘোষিতভাবে শিক্ষার্থীরা ২ থেকে ৩ সপ্তাহ ছুটি কাটাচ্ছে। কিন্তু শিক্ষকেরা কোন ছুটি কাটাতে পারছে না।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রমের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের কোন গ্রীষ্ম, শরৎ বা শীত কালীন ছুটি থাকলেও কাটানোর ব্যবস্থা নেই। এই অবস্থা নিরসন করা একান্ত জরুরী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।