ক্ষুদ্রঋণ বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে আলোচিত এবং চর্চিত একটি বিষয়। কিন্তু এর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বলতে হয় দারীদ্র বিমোচনের নাম শোষনের নতুন দিগন্ত উম্মোচন করেছে ক্ষুদ্রঋণ। প্রথমতঃ সুদের হার। যদিও ১৫% সুদে ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করা হয়, এর সুদের প্রকৃত হিসাব কষলে শিহরিত হতে হয়। প্রতি সপ্তাহে ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতাকে ২.৫% হারে ক্ষুদ্রঋণ -এর কিস্তি দিতে হয় কিন্তু গ্রহীতা এর জন্য সুদের ব্যাপারে কোন ছাড় পায় না।
যে টাকা সে মাত্র সাতদিন ব্যবহার করার সুযোগ পেলো তার জন্য তাকে পুরা এক বছরের সুদ দিতে হলো। এভাবে প্রতি সপ্তাহে তাকে কিস্তি দিতে হচ্ছে আর ক্ষুদ্রঋণ -এর বানিজ্যিকীকরণের ফলে লাভবান হচ্ছে ক্ষুদ্রঋণ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু গরীবের ঋণের বোঝা বাড়ছে আর দারীদ্র বিমোচন সে তো শুভংকরের ফাঁকি।
এরপর ক্ষুদ্রঋণ -এর পরিমান, দলীয় সঞ্চয়,ব্যক্তিগত সঞ্চয় এবং অন্যান্য ঝামেলা তো উপরি পাওনা। ঝড়, বন্যা জলোচ্ছাস বা যে কোন দূর্য়োগ আসুক না কেন কিস্তি দিতেই হবে, কোন মাফ নাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।