nothing 2 say write now!
ইন্টারনেটে বিভিন্ন সোসিয়াল ওয়েবসাইট আছে যা বলে যে সারা বিশ্বের মানুষকে একসাথে কর, প্রিয়জনের সাথে কানেক্টেড থাকো। কিন্তু এতে সম্পর্ক দৃঢ় হ্ওয়ার চেয়ে অদৃঢ়ই হচ্ছে বেশি। কারণ, আমরা আগে যখন ভাবতাম যে, অমুকের সাথে অনেকদিন যোগাযোগ নেই, তার সাথে আজ দেখা করব। তার সাথে বাস্তবে দেখা করতাম, কথা বলতাম। এতে যেমন আমাদের তার প্রতি ভালবাসা ফুটে উঠত, সম্পর্ক দৃঢ় হত; সেই সাথে আমাদের শরীরের একটু ব্যয়ামও হয়ে যেত, আমরা বাস্তবতাকে ফেস করতাম।
আর এখন আমরা ঘরমুখো হয়ে গেছি।
যাইহোক, এটাও সত্যি যে, সোসিয়াল ওয়েবসাইট আমাদের বিনোদনে অনেক সাহায্য করে।
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হল ফেসবুক। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, এটা এখন আর শুধু সোসিয়াল ওয়েবসাইট না, এটা পরস্পরের ধর্মকে তাচ্ছিল্য ও অবৈধ কাজের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে মানুষ।
এখানে ইসলাম নিয়ে যা হচ্ছে তা কল্পনাকেও হার মানায়।
(নাঁউজুবিল্লাহ) সেখানে তৈরি হয়ে হয়েছে বিভিন্ন গ্রুপ যেমন (নাঁউজুবিল্লাহ, আল্লাহ ক্ষমা কর) 'ফাক ইসলাম', (নাঁউজুবিল্লাহ, আল্লাহ ক্ষমা কর) 'আমরা কোরআনকে টয়লেট পেপার হিসেবে ব্যবহার করি', (নাঁউজুবিল্লাহ, আল্লাহ ক্ষমা কর)আল্লাহ হল শু**র। ছিঃ
আর সবচেয়ে লজ্জার বিষয় হল, বাংলার অনেক মুসলিম মেয়ে সেখানে অবৈধ কাজের কারখানা খুলে বসেছে।
সেই দিন আর বেশি দুরে নয়, অন্যান্য সাইট গুলাও এসব শুরু করবে যদি আমরা মুসলিমরা কোন পদক্ষেপ না নেই। আমাদের উচিত, ফেসবুক এ্যাডমিন কে কারণ চিঠি দিয়ে জানিয়ে ফেসবুক ত্যাগ করা যদি তিনি এসব গ্রুপ বন্ধ না করেন।
আজকাল নিজের ধর্ম বা জাতিকে নিয়ে কোন অশ্লীল মন্তব্য কেউ করলে অনেকে আবার বলেন ইন্টারনেটে তো অনেক কিছুই হয়, এসব নিয়ে মাথা না ঘামালেই হয়।
অনেকে আবার বলেন, মহাননবীকে নিয়ে কার্টুন একে বিধর্মীরা আমাদের উস্কে দিচ্ছে ময়দানের মধ্যে; আপানার কথা আনুযায়ী আমরা এসব শুনে হাতে হাত রেখে বসে থেকে আমরা কত ভদ্র তা বুঝাই? আল্লাহর কসম, যদি আমার সামনে কেউ এই কথাটা বলত, তাকে আমি প্রকাশ্যে খুন করতাম। এখন বলবেন ইসলাম এটা সমর্থন করে না। আমাকে একটি কথা বলুন, নবীজী জিহাদ কেন করেছিলেন? তিনি তো চুপচাপ বসে থাকতে পারতেন আর ইসলামের অবমাননা দেখতেন। তবে তিনি কোন নিরাপরাদ মানুষের গায়ে হাত তুলেননি।
আমার সত্যি খুব দুঃখ হয় যে, বাংলার মেয়েদের আর সারা বিশ্বের মেয়ে মুসলিমদের কাহিনী দেখে।
অবৈধ ওয়েবসাইটে বাংলার মেয়েদের সংখ্যার কোন অভাব নেই।
আর আজকাল, এডাল্ট মানেই অবৈধ কাজ বোঝানো হয়। কিন্তু এডাল্ট মানে হল প্রাপ্ত বয়স্ক। আজকাল এডাল্ট মানেই অশ্লীল ছবি। আর এভাবেই ওয়েস্টার্ন কালচার আমাদেরকে ইসলাম ও বাংলা থেকে দুরে নিয়ে যাচ্ছে।
এখন আসি, নারীদের কথায়। বাংলাদেশে দুই রকম নারী আছে, মাত্রাতিরিক্ত আধুনিক আর শাষিত নারী।
আমরা শাষিত নারী'দের ইচ্ছার কোন দাম দেই না। তারা বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে। তারা ভাল মনের হলেও একটি সমস্যা যে তাদের সাথে মেশা যায় না।
যাইহোক, আমরা যারা অভিভাবক, তারা কখনই 'শাষিত কিশোরী'দের বুঝতে চাই না। আমরা তাদেরকে 'মাত্রাতিরিক্ত আধুনিক' নারী ভেবে অকারণে চাপাচাপি করি। তাদের বাইরে যেতে দেই না, ছেলে বন্ধু রাখতে দেই না, ইচ্ছার কোন গুরুত্ব দেই না, জোর করে বিয়ে দেই, এমনকি খারাপ পথে যেন না যায় তাই আমরা জোর করে কম বয়সে বিয়ে দিয়ে দেই, তাদের মনের কথাও শুনতে চাই না, আরও কত কি... অথচ একবারও ভাবি না, তাদের মনে যে কত কষ্টের ঝড় বইছে।
এই সময় আমরা কোথায় তাদের বন্ধু হব, উল্টা তাদের শত্রু হই। আর সেই জন্যই তারা তাদের বাড়ন্ত বয়সে খারাপ পথে চলে যায়।
অথচ আমরা যদি তাদের বন্ধু হতাম আর তাদের চাপিয়ে না দিয়ে বুঝাতাম যে, অমুক কাজ করলে অমুক ক্ষতি বা লাভ হবে, অমুক জিনিসটা করলে অমুক হ্য়... ইত্যাদি। তাদের ভাল আর খারাপের পার্থক্য আর ভাল-খারাপ যাচাই করার উপযোগি করে তুলতাম, তাহলে আজ আর এই দশা হত না। কিন্তু আমরা তাদের হাত-পা বেঁধে রাখি যেন তারা আবার আমাদের কোন ভুল কাজকে বাঁধা না দিয়ে বসে। পরিণতি হয়, আত্মহত্যা। হায়!
আর যারা 'মাত্রাতিরিক্ত আধুনিক' তারা আধুনিকতার নামে অশ্লীল কাজ করে বেড়ায়।
তারা অন্যের কষ্ট দেখে মজা পায়। তাদের সাথে সহজে মেশা গেলেও তারা অন্যের মন নিয়ে খেলে তৃপ্তি লাভ করে। তারা সামান্য ছাড় পেয়ে হয়ে ওঠে বেপরোয়া।
আজকাল যারা পবিত্র ভালবাসা আর পবিত্র বন্ধুত্বে বিশ্বাস করে, তাদের সাথে আমরা কিশোররা ছলনা করি। হায়! আর মেয়েরা তো আরো বেশি করে।
আমরা বড়রা অনেকে ভালবাসাকে খারাপ চোখে দেখি। আর ছোটরা টিস্যু মনে করি।
পবিত্র ভালবাসা হল এমন এক অনুভূতি যা মানুষকে বাচঁতে শেখায়। ভালবাসা মানে এই না যে আপনি তার গায়ে বিয়ের আগে হাত দিবেন, তার সাথে অবৈধ কাজে লিপ্ত হবেন। পবিত্র ভালবাসা হল এমন এক অনুভূতি যা পরস্পর্কে জানতে শেখায়, শ্রদ্ধা করতে শেখায়।
আর এই পবিত্র ভালবাসাকে ইসলাম কখনই হারাম করেনি।
আর আপনি হ্য়তো বলবেন, ভালবাসার মাঝে আবার বিয়ে আসলো কোথা থেকে। কিন্তু এই বিয়েই হচ্ছে সত্য ভালবাসার প্রতীক। কিন্ত হায়, আজ এমন অবস্থা হয়েছে যে ভালবাসার জন্য একজনকে, বিছানার জন্য অন্যজনকে আর সামাজিকতা রক্ষার্থে বিয়ের জন্য আরেকজনকে বাছাই করি।
অমুকের সাথে একদিন দেখা হয়, দেখতে খুব সুন্দর আর আমি তার প্রেমে পড়লাম।
এটা কখনই পবিত্র ভালবাসা না। এটাকে বলতে পারেন, বিপরীত লিঙ্গের শরীরের প্রতি ভালবাসা। আর এটা কখনই সত্য ভালবাসা হতে পারে না। কারন, আপনি যখন আরেকটু বড় হবেন তখন আরও সুন্দর ও ফর্সা মানুষের দেখা পাবেন। কারন, পবিত্র ভালবাসা কখনই দেহের সাথে হয় না, হয় আত্মার সাথে।
আর তাই হয়তো এমন মানুষও আছে যারা তার ভালবাসাকে পেয়ে তার চেহারা দেখার আগেই পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়।
আর যেসব শাষিত নারীরা ভালবাসায় বিশ্বাস করে না, তাদের বলব, পৃথিবীকে চেন, কাউকে ভালবাস। আপনি বায়োডাটা দেখে বিয়েতে রাজি হচ্ছেন এমন এক মানুষের সাথে যাকে আপনি চেনেন না আর বিয়ের পর নিজের স্বত্ত্বাকে মেরে ফেলছেন। বিয়ে কোন খেলা নয়। আপনার হয়তো বিলাসীতার আগ্রহ আছে।
কিন্তু না জেনে বড়লোক ভেবে বিয়ে করলেন, অথচ সে দেখা গেল বেশি টাকা খরচ পছন্দ করেন না। আর এ নিয়ে সৃষ্টি হয় নানা সমস্যা। অবশেষে হয় আপনি নিজের দেহকে খুন করেন নতুবা তাতে ভয় পেয়ে নিজের স্বত্ত্বাকে।
আপনি কেন নিজের স্বত্ত্বাকে খুন করবেন? এটা আপনার জীবন আর জীবন একটাই। সে যেমন আপনাকে সম্মান করবে, তেমনি আপনিও করবেন।
তাই বলব, বন্ধু বাড়ান, মানুষের মনকে বুঝুন আর যার মনের সাথে আপনার মন নাড়া দেয়, তার সাথে মহাসমুদ্র পাড়ি দিন। কিন্তু তাই বলে কাউকে কষ্ট দিবেন না বা ছলনা করবেন না। আপনি সুখে বলে অন্যের দুঃখটাও বুঝুন, অনুভব করুন। কারণ, আজ সে সমস্যায়, কাল হবেন আপনি।
ধন্যবাদ।
আমার জন্য দোআ করবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।