খুব জানতে ইচ্ছে করে...তুমি কি সেই আগের মতনই আছো নাকি অনেকখানি বদলে গেছো... ইদানিং সময়টা খুব খারাপ যাচ্ছে...
বউ কথায় কথায় খুব মৃদুভাবে গালমন্দ দেয়... স্বামীর ইনকাম না থাকলে যা হয়। শশুর বাড়ির আদরও কমে যায়। স্ত্রীর কাছে গুরুত্বও কমে যায়। এমন একটা বিমর্ষ অবস্হায় রাফিউল রঞ্জন। ।
কি করবে কিছুই বুঝতেছেনা। শেষে বন্ধুর বউয়ের দ্বারস্হ হলো। কিছু পরামর্শ ও বন্ধুর সাথে একটু ভালো সময় কাটানোর জন্য। তো প্রতিনিয়ত একটু রাত করেই বন্ধুর বাড়ি থেকে ফিরে রঞ্জন। তো একদিন এলাকার কিছু লোক তাকে পথ রোধ করে।
তার বিরুদ্ধে চরিত্রহননের অভিযোগ তুলে। এ নিয়ে মহা সোরগোল। । বাড়ির লোকজন ছুটে আসে। কেউ কেউ এও বলছে যে তাকে তারা আপত্তিকর অবস্হায় বন্ধুর বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে।
তো মহাক্যাসাল। রঞ্জন যাই ই বলে এটা কেউই বিশ্বাস করেনা। বন্ধুর বাড়ির কেউনা, পাড়াপড়শির কেউনা এমনকি নিজের ফ্যামিলির লোকজনও তাকে অবিশ্বাস করে। আর বউতো রাগ করে ঐরাতেই বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। গ্রাম্য শালিশ আচার বিচারে রঞ্জনকে কয়েকমাসের জন্য এলাকায় নিষিদ্ধ করা হলো।
মোল্লা ডেকে তওবা পড়ানো হলো। তো রঞ্জন বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার সময় অনেক চেষ্টা করেও তার স্ত্রী ও সন্তানের সাথে দেখা করতে পারলোনা। দারুন মনোকষ্টে তার দিন অতিবাহিত হতে লাগলো। দিন যায় মাস যায় বছর যায় তার কোন খোজ খবর নাই এলাকায়ও আসেনা, শশুর বাড়িও যায়না। এদিকে তার শশুর বাড়ির লোকজন মিথ্যে প্রচারনা তুললো যে রঞ্জন মারা গেছে।
তাই তাদের মেয়েকে আবার বিয়ে দিতে হবে। রঞ্জনের পিতামাতাও রঞ্জনের আশা ছেড়ে দিয়েছে। দুই পরিবার মোটামুটি এক হয়েই রঞ্জনের বউয়ের জন্য পাত্র ঠিক করেছে। এখনকার যে পাত্র তার বউ মারা গেছে কয়েক মাস হলো। তাই রঞ্জনের বউয়ের জন্য এইপাত্রটাই উপযুক্ত বলে বিবেচিত হলো।
সব ঠিকঠাক! বিয়ের দিন হঠাৎ করে রঞ্জন তার বাড়িতে উপস্হিত। রঞ্জনের বাবা মা চালাকি করে রঞ্জনকে একটা ঘরে বদ্ধ করে রাখে। রঞ্জন কিছুতেই জানতে পারছেনা তার স্ত্রী ও সন্তানের খবর।
---------------------------------- পরবর্তীতে রঞ্জন নিরুপায় হয়ে ঘর থেকে কোনরকমে পালিয়ে তার স্ত্রীর বাড়িত যায়। রঞ্জন যখন তার শশুর বাড়ি পৌছায় তখন তার স্ত্রী তার নতুন শশুর বাড়ির পথে।
বিয়ে বাড়ি ধুমধাম। এক কোনে দাড়িয়ে রঞ্জন ভাবে তারতো কোন শালা শালি নেই তো বিয়ে হচ্ছে কার। ফাকফোকড়ে সে তার শাশুড়ির কাছে গিয়ে আম্মা বলে ডাক দিলে তার শাশুড়ি অঙ্ঘান হয়ে পড়ে ,,, শাশুড়ির চিৎকার শুনে শশুর এসে জামাইকে দেখে ভুত ভুত বলে সে নিজেও ঙ্ঘান হারায় এভাবে একের পর এক ঙ্ঘান হারালে রঞ্জন সে রাতে শশুর বাড়ি ত্যাগ করে। অনেকদিন পর জানতে পারে তার স্ত্রীর অন্য জায়গায় বিয়ে হয়ে গেছে। কিন্তু শরিয়ত কি বলে? রঞ্জন এবার শালিস ডাকে তার বৈধ স্ত্রী সে জীবিত থাকাবস্হায় অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারেকিনা? এরকম এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্হিতি থেকে রঞ্জন অবশেষে গ্রামের শশুর বাড়ির লোকজনের পীড়াপিড়িতে তার বৈধ বউকে তালাক দেয়।
এবং তার স্ত্রী দ্বিতীয় বর পুনরায় শালিসি মোকাবেলায় বিয়ে করে। কিন্তু শালিস, রঞ্জনের বাবা মা কিংবা তার শশুর শাশুড়ি কেউই রঞ্জনের মনের অবস্হা বুঝার চেষ্টা করেনি। । এখন রঞ্জনের কি করা উচিত? পাঠকবৃন্দ আপনারাই বলেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।