আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নারী: এদেশের উন্নয়নের জ্বালানি, ভোগবাদীদের ভোগের হাতিয়ার

আমি ভালবাসি আমার আল্লাহকে, প্রিয় রাসুল এবং আমার দেশকে। খোলামেলা কথা পছন্দ করি। অল্পতে কষ্ট পেয়ে বসি, আবার অল্পতেই ভুলে যাই সব দুখঃ। তবে কারো উপকার-অবদান ভুলতে পারিনা জীবনভর। পছন্দ করি উদার, স্বচ্ছ ও খোলামনের মানুষকে, ঘৃণা করি গোঁড়া ও অহংকারীকে।

'মাছের মায়ের নাকি পুত্রশোক নেই। বাংলা মায়ের বেশুমার সন্তান। তার থেকে কয়েক শ আগুনে পুড়ে, কয়েক শ ভবন বা ফ্লাইওভার ধসে, কয়েক শ নদীতে ডুবে, কয়েক শ সড়ক দুর্ঘটনায় বা কয়েক শ রাজনৈতিক তান্ডবের বলি হয়ে মারা গেলে কার কী বা যায় আসে! এর উপর আবার পুত্র যদি হয় গরীব, খেটে খাওয়া ও স্রেফ ভোটমৌসুমের রাজনৈতিক হাতিয়ার, তবে তো কথাই নেই। আর পুত্রশোকের থেকে নিশ্চয় কন্যার শোক অনেক কম! বাংলার ভাওয়াইয়া গানের নারীরা, ভাটিয়ালি গানের পল্লি-বালারা, জসীমউদ্দীনের সোনাই বন্ধুরাই তো আজকের নারী পোশাকশ্রমিক। এঁদের শ্রমের মতো এঁদের জীবনও জাতীয় উন্নতির জ্বালানি।

জ্বালানি তো জ্বলবেই, তাই না? বাংলা মায়ের তাতে শোক হবে কেন? তথাকথিত নারীবাদীরা এসবের দায় এড়াতে পারে না এদেশে প্রাচীন হিন্দু সমাজের অবশিষ্ট সামাজিক অপসংস্কৃতির একটি হলো নারীর সামাজিক অবমর্যাদা। নারীর প্রকৃত মর্যাদা আদায়ের সামাজিক সংস্কারের লড়াইয়ে যাদের নামার কথা ছিল, সেই আলেম সমাজ তা না করায় কাজটি নিয়েছে আনাড়ি, নারীভোগী ও পশ্চিমা এজেন্টরা। তারা নারীমুক্তির নামে মেয়েদের করেছে ঘরের বাহির। এখন তারা আগুনে পুড়ে মরে, প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে, আরো কতো কি? যেদেশে চারদেয়ালের ভেতর নারীর নিরাপত্তা নেই, সেখানে নারীভোগে উৎসাহ যোগায়- এমন সমাজে ঘরের বাহিরে কিকরে সে নিরাপদ থাকবে?? এ প্রসঙ্গে সৌদিকে বর্বর বলা সেক্যুলার উদারদের বলছি:- আশুলিয়ার মৃত্যুমিছিলের জন্য দায়ী মালিকদের কোন বিচার হবে? সাধারণভাবে শ্রমিকের নূন্যতম কোন অধিকার সংরক্ষিত হয়?? সৌদিকে বর্বর বলা সেক্যুলারদের বলছি-সৌদিতে এরচে তুচ্ছ ঘটনার পর মালিকপক্ষকে অনেক বড় আকারে মাশুল দিতে হয়। সৌদিতে একজন শ্রমিকের নিরাপত্তার জন্য যা করা হয়, এসে দেখে যান।

হয়তো চোখ নামক পাথর দু'টিতে দৃষ্টিশক্তি আসবে। একজন শ্রমিকের সাস্থসেবার জন্য একেকটি কোম্পানিকে যা যা করতে হয়, জানুন। তারপর সৌদির সমালোচনা করুন। সুঁইয়ের ছিদ্র অন্বেষণের পূর্বে লজ্জা হওয়া উচিত চালনির। সৌদিতে যেকোন লোকের দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিকে ৩লক্ষ রিয়াল (প্রায় ৬০লাখেরও বেশি টাকা) গুনতে হয়।

অনাদায়ে সোজা জেল। মুক্তির একমাত্র উপায় হলো-অর্থ আদায়। সৌদি আমাদের চেয়ে ধনি দেশ হলেও ৩লক্ষ রিয়ালের কথা বেশিরভাগ সৌদির জীবনের সেরা স্বপ্ন। আর বাংলাদেশে দেয়২০হাজার ৩০হাজার কিংবা বড়জোর ১লাখ। আমি মনে করি, এসব দুর্ঘটনার জন্য দায়ী লোকেরা সৌদির ৩লক্ষ রিয়াল আদায়েও বরং সক্ষম।

তাছাড়া এতে করে দুর্ঘটনাও কমে আসবে ইনশাআল্লাহ। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.