বখাটেদের উৎপাতে পিংকিদের চিরতরে চলে যাওয়ার মিছিল ক্রমাগত লম্বা হচ্ছে। পত্রিকার সুন্দর(!) শিরোনাম। পত্রিকার শিরোনাম হওয়ার জন্যই কি এ অপতৎপরতা? আমরা এ কোন সভ্য সমাজে বাস করছি? যেখানে একজন তরুনী তার মৌলিক অধিকার লেখাপড়ার জন্য বিদ্যালয়ে যেতে পারবে না। বখাটেদের উৎপাত সহ্য করতে না পেরে সে আত্মহননের পথ বেছে নেবে। এ সমাজ সভ্যতা কিসের জন্য? আমরা দাবী করি মানুষ সমাজবদ্ধ জীব।
একে অপরের বিপদে এগিয়ে আসি। মুখে শুধু বলি মানুষ মানুষের জন্য। কিন্তু এ সমাজ সভ্যতা আমাদের কি উপহার দিচ্ছে? অনেক ক্ষেত্রে বখাটেদের পরিবার তাদের ছেলেদের বখাটেপনার কথা জেনেও না জানার ভান করে তাদের প্রশ্রয় দেন। ছেলেদের এ বখাটে হওয়ার পেছনে কি মা-বাবারা দায়ী নন? মা-বাবারা কি একবারও ভাবেন না তাদের মেয়েও এরকম বখাটে ছেলেদের অত্যাচারের শিকার হতে পারে? এতো গেল এক দিক। পিংকিরা চলে যাচ্ছে।
বখাটেরা কখনো ধরা পড়ছে আবার কখনো ধরা পড়ছে না। বিচার আদৌ হচ্ছে কিনা তা আমাদের জানা নেই। ঘঠনার পরই পত্রিকার বড় শিরোনাম সবাইকে আকৃষ্ট করে বা ব্যথিত করে। কিন্তু এর বিচার হচ্ছে কি না তার খবর আর পত্রিকায় তেমন গুরুত্বের সাথে প্রকাশ পাচ্ছে না।
সরকার বাহাদুর সমাজ পরিবর্তনের ডাক দিয়ে ক্ষমতায় এসছেন।
কিন্তু একজন স্কুল ছাত্রী যখন নিরাপদে স্কুলে যেতে পারছেনা শুধু তা-ই নয় নিজ গৃহে আগুন জ্বালিয়ে যখন হত্যা করা হয় তখন এ সমাজ সভ্যতা কি উত্তর দেবে_কি শান্তনা দেবে পিংকিদের মা-বাবাকে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।