ব্ল্যাঙ্ক
আমি যখন খাঁচা খুলে শেষ পাখিটাকে ছেড়ে দিলাম,তখন তার অভিব্যক্তিটা দেখার সুযোগ হয়নি আমার, কারণ মুক্তির অভাবনীয় আনন্দে পাখিটা এমনি আত্মহারা হয়েছিল যে নিজের ভাগ্যকে বিশ্বাসই করতে পারছিল না হয়ত। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমার হাতের নাগাল থেকে উন্মুক্ত আকাশে- নিজের আসল ঠিকানায় ফিরে যাবার তাগিদ ছিল তার। খাঁচার মুখটা খুলতেই চোখের পলকে সেটি খাঁচা থেকে বের হয়ে মুক্ত আকাশে উড়াল দিল - আমি নিষ্পলক দৃষ্টিতে সেদিকে চেয়ে রইলাম কিছুক্ষণ। আজ সকালেই নীলক্ষেত থেকে কিনেছিলাম খাঁচাসুদ্ধ পাখিগুলি। একটা বিশেষ দিন আজ।
সেটা উদযাপন করতেই এই পাখি কেনা এবং সেটাকে ছেড়ে দেয়া।
নিজের রুমে ফিরতেই আচমকা একটা ধাক্কা!! বিছানার উপর ছড়ানো ছিটানো একগাদা উপহার- রেশমি সিলোফেন পেপারে মোড়ানো,সাথে কিছু ফুলের তোড়া আর শুভেচ্ছাবার্তা। আমি সেগুলির দিকে নিস্পৃহ চোখে একবার তাকিয়ে দরজার দিকে চোখ ফেরালাম- যেখানে মা চাপা কৌতুকে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে সতর্ক দৃষ্টিতে আমার প্রতিক্রিয়া মাপার চেষ্টা করছে। আমার সরাসরি জিজ্ঞাসা,
- বনানী থেকে এলো বুঝি?
- সেই সাতসকালেই এসেছে। রিজভী উপহার দেখার পর তোর প্রতিক্রিয়া সরাসরি দেখতে চায় বলে এতক্ষণ আমাকে ওগুলো লুকিয়ে রাখতে বলেছিল।
এখন অফিসের কাজ শেষ করে সোজা এখানে এসেছে। তোকে নিয়ে বেরুবে বলল। ড্রইংরুমে তোর অপেক্ষা করছে। রেডি হয়ে জলদি যা।
ভেতরের উচ্ছ্বাস যতটা সম্ভব চেপে রেখে সিধেসাদা মুখে মায়ের উত্তর।
আমি আর কথা না বাড়িয়ে ড্রেসিং রুমে ঢুকলাম তৈরী হতে। আয়নাটার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের মুখের উপর চোখ বুলালাম একবার - যখন আমি তের বছরের কিশোরী ছিলাম তখনকার লাবণ্যের ছিঁটেফোঁটাও নেই এখন আমার মুখে। তার বদলে কপটতার মেকি খোলসযুক্ত একটা মুখোশ কি সেঁটে আছে এখন মুখের উপর? আপাতত চিন্তাটা মাথা থেকে সরিয়ে আমি দ্রুত হাতে চুলে চিরুনি চালালাম। তারপর সামান্য প্রসাধন মেখে নিজেকে আয়নায় আরেকদফা ভালো করে দেখে নিয়ে ড্রইংরুমের দিকে পা বাড়ালাম। রিজভী একমাস আগে কেনা নতুন সোফাসেটটার উপরে বসে দ্রুত পা নাচাচ্ছিল - ওর অস্থিরতার বহিঃপ্রকাশটা সেখান থেকেই স্পষ্ট।
আমি মুখে একটা আলগা হাসি টেনে নিয়ে ওর সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম- সাথে সাথে অস্থির মুখে আনন্দের অভিব্যক্তি ফুটে উঠলো আর ঈষৎ কৌতুহলও- ওর উপহার পেয়ে আমার অনুভুতি কি জানার অপেক্ষা। প্রত্যাশামতই জবাব দিলাম আমি,
-কি করে আমার পছন্দ এত ভালো বোঝো তুমি? আই অ্যাম রিয়েলি সারপ্রাইজড !! (মুখে কিঞ্চিত আনন্দমেশানো বিস্ময়)
রিজভী সমস্ত প্রশংসাটুকু নিজের প্রাপ্য হিসেবে লুফে নিয়ে মুখে কৃতিত্বের ভাব ফুটিয়ে বলল, আমি না বুঝলে আর কেই বা বুঝবে ম্যাডাম!! দেখতে হবে না পছন্দ টা কার! আমিও স্বীকার করতে এক মুহূর্ত দ্বিধা করলাম না যে রিজভীর পছন্দ সত্যিই চমত্কার। এরপর বেশি কালক্ষেপন না করে দুজনে বেরিয়ে পড়লাম। জায়গাটা সম্ভবত রিজভীর পছন্দ অনুযায়ী কোনো অভিজাত হোটেল যেখানে আমরা আজকে রাতের ডিনার সারব- রিজভী সেটা সারপ্রাইজ হিসেবে রেখে দিতে চাইলেও আমি অবধারিতভাবেই সেটা অনুমান করতে পারলাম। কিন্তু মুখে সেটা প্রকাশ করলাম না এবং সারপ্রাইজ দেখার পর যথারীতি আরেকদফা আনন্দমেশানো বিস্ময়ের প্রকাশ! ডিনার টেবিলে আমরা দুইজন মুখোমুখি বসে।
রিজভী অনবরত কথা বলে যাচ্ছে- ওর স্কলারশিপ প্রাপ্তি, সিটিজেনশিপ নিয়ে পাকাপাকিভাবে স্বপ্নের দেশ যুক্তরাষ্ট্রে থেকে যাবার পরিকল্পনা,আর নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে ওর সমস্ত উচ্চাভিলাষী স্বপ্নের কথা আমাকে শুনিয়ে চলেছে - আমি শুনছি আবার শুনছিও না। থেকে থেকেই আমার মনোযোগ বারবার সেখান থেকে তিনমাস আগের দিনগুলিতে ফিরে ফিরে যাচ্ছে.........
রিজভীর কথা প্রথম বাবা-মার কানে তোলে আমার বড় খালা। বুয়েট থেকে প্রথম স্থান অধিকার করে পাশ করা ইঞ্জিনিয়ার ছেলে এখন আবার বুয়েটেরই লেকচারার। অল্পকদিনের মধ্যেই স্কলারশিপ নিয়ে পিএইচডি করতে যাবে ইউএসএ তে। যাবার আগে ছেলের বাবা মা চায় যথারীতি ছেলের বিয়ে দিতে।
এমন ভালো ছেলে কি আর পথেঘাটে মেলে? আর মিললেই বা তাকে হাতছাড়া করবে কোন আহাম্মক? তাই পরম শুভাকাংখির মত বড়খালা তার অন্তরঙ্গ বান্ধবীর এই সোনার ছেলের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে ধর্না দিলেন আমার বাবা মায়ের কাছে। বাবা মাও এমন ভালো পাত্র হাতছাড়া করার মত সাহস দেখাতে পারলেন না। আর করবেনই বা কোন যুক্তিতে? মেয়ে তাদের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা দিচ্ছে এবার -বয়স তো আর বসে থাকে না কারো জন্য। মেয়ের বয়স যত বাড়ে প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো পাত্র পাবার আশাটাও ব্যাস্তানুপাতিক হারে তত ক্ষীন হয়ে আসতে থাকে। রিজভীকে পেয়ে বাবা-মা তাই যারপরনাই খুশি।
সেই খুশির আতিশয্যে মেয়ের মতামত জেনে নেবার অনুষ্ঠানিকতাটুকু এমনভাবে সম্পন্ন হলো যে আমি স্পষ্টই বুঝতে পারলাম শুধুমাত্র হ্যাঁ ছাড়া আমার আর কোনো জবাবই কারো কাছে প্রত্যাশিত নয়,হতে পারে না। যদিও আমি পড়াশুনা শেষ করার কথা বলে একটা মৃদু আপত্তি তোলার ক্ষীন চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু সেটা কোনভাবেই ধাপে টেকেনি বাকি সবার প্রবল আগ্রহের কাছে।
অতঃপর একমাসের মাথায় এনগেজমেন্ট আর তিনমাসের মাথায় আজ আমার জন্মদিনের দিনে রিজভী আমাদের আসন্ন বৌভাত উপলক্ষে ছাপানো বাহারি কার্ডটা আমার হাতে তুলে দিয়ে বলল, দেখতো কেমন হয়েছে? আমি মুখে চাপা খুশির ঝিলিক ফুটিয়ে মন্তব্য করলাম, বেশ তো!! বস্তুত রিজভীর সঙ্গ যে আমার ভালো লাগে না একথা বললে মিথ্যাই বলা হবে। ছেলেটার সহজ সরল আবেগের বহিঃপ্রকাশ আর প্রিয়জনকে খুশি করার আন্তরিক চেষ্টাটুকুর আমি মনে মনে তারিফ না করে পারি না। তবু কোথায় যেন কিছু একটা ছন্দ মেলে না।
কোথাও যেন বিশাল একটা শুন্যতা রয়ে গেছে যেটা এত চেষ্টা করেও ঢাকতে পারছিনা আমি। নিজেকে বড় অসহায় লাগে তখন। কিন্তু পরক্ষনেই চিন্তাটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলি বাবা মার খুশিভরা মুখগুলি কল্পনা করে- নিশ্চয়ই তারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাই সবথেকে ভালো হবে আমার জন্য- এ বিশ্বাস আমার অটুট!
মনে পড়ে চার বছর আগের দিনগুলির কথা। এসএসসি আর এইচএসসির রেজাল্ট বেশ ভালো ছিল আমার। মানবিক বিভাগ থেকে দুই দুইবার জিপিএ ফাইভ নিয়ে বেরুনো কোনো চাট্টিখানি কথা নয়।
খুশিতে সারা শহরের সমস্ত পরিচিত মানুষের মধ্যে মিষ্টি বিলিয়েছিলেন বাবা সেইসময়। তারপরই অবধারিতভাবে চলে এলো ভর্তি-যুদ্ধ। নামকরা কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ততোধিক আকর্ষনীয় কোনো বিভাগে ভর্তি হওয়া চাই ই চাই। কিন্তু আমার অবুঝ মন পড়ে ছিল অন্য কোথাও। ছেলেবেলা থেকেই আমার আঁকার হাত দারুন।
স্কুলে বরাবরই টিচারদের প্রশংসা আর উত্সাহ পেয়ে মনের ভিতর খুব গভীরে একটা স্বপ্ন লালন করে আসছিলাম বহুদিন ধরে- আমি একজন আঁকিয়ে হব। মাইকেল এঞ্জেলোর "দ্য পিয়েতা" আমার দুচোখে ঘোর লাগায়,ভিঞ্চির "মোনালিসা" আমাকে বাক্যহারা করে দেয়- আমি মুগ্ধ বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকতে থাকতে যেন এক স্বপ্নের জগতে বিচরণ করি আর নিজেকেও সেই জগতের অংশ ভেবে নেই। কিন্তু স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেয়ার প্রথম ধাপেই ধাক্কা খেল চারুকলায় ভর্তি হবার এতদিনের সুপ্ত ইচ্ছেটা প্রকাশ করতেই মায়ের গম্ভীর কালো মুখ দেখে। আর বাবা তো হেসেই উড়িয়ে দিলেন- যেন কি একটা ভীষন অবাস্তব কথা বলেছি আমি। আমি ঠাট্টা করছিনা জেনে পরের দিনই রীতিমত পারিবারিক সভা ডেকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে আমাকে বুঝিয়ে দেয়া হলো- রক্ষনশীল মধ্যবিত্ত পরিবারের একটি মেয়ের এমন সৃষ্টিছাড়া খেয়াল কোনভাবেই প্রত্যাশিত নয় এবং আমি যেন এইসব সুখকল্পনা ত্যাগ করে পরিবারের সকল গুরুজনদের মতামত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই-তিনটি ভালো বিভাগের যেকোনো একটিতে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা চালাই।
অতঃপর স্বপ্নের সমাধি সেখানেই। আমি দুঃখিত হয়েছি,স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রনায় ছটফট করেছি,কিন্তু হতাশ হইনি। ভেবেছি এটাই নিশ্চয়ই আমার জন্য সবথেকে ভালো। তবে মনের ভেতরে হয়ত কিছু একটা আঁচর কেটেছিল খুব গভীরভাবে। সেই থেকে আমার এই পাখি ওড়ানোর শুরু........
ভাবনার জালে আচমকা ছেদ পড়ল রিজভীর কথায়।
- এই তুমি কি এত চিন্তা করছ? আমার কথা কি শুনছ?
- না না শুনছি তো বলো! সরি হঠাৎ একটু অন্যমনস্ক হয়ে গিয়েছিলাম। কি যেন বলছিলে তুমি?
-বলছিলাম আমাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা। আমি তো আগামী মাসেই চলে যাচ্ছি। তুমি তৈরী হয়ে থেক। ওখানকার কাগজ-পত্র সব ঠিকঠাক করে চার পাঁচ মাসের মধ্যেই তোমাকে নিয়ে যাব আমি।
কথাটা শুনে আচমকা একটা বিষম খেলাম আমি। অস্ফুট আর্তনাদের মত মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল, এইসব কি বলছ তুমি? চার পাঁচ মাস পর আমি চলে গেলে আমার পড়াশুনার কি হবে?
কথাটা শুনে বেশ খানিকটা বিরক্তির ছাপ ফুটে উঠলো রিজভীর মুখে। সেটা ঢাকার চেষ্টা না করেই বলল, কেন তুমি কি আগে থেকেই জানতে না যে বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই তোমাকে আমি নিয়ে যাব? দুইজন দুই দেশে থাকলে আর বিয়ে করার মানেটা কি?
আমি বিস্ময়ে এতটাই বিমূঢ় যে জবাব দিতে পারলাম না, বাবা মা আমাকে এসব কিছুই আগে জানায়নি। বরং উল্টোটাই বোঝানো হয়েছিল আমাকে। আমার নির্বাক দৃষ্টি দেখে রিজভী আবার বলল, আর তোমার কি এমন পড়াশোনা যেটা শেষ করলে তুমি আমেরিকার জজ-ব্যারিস্টার হয়ে বসবে শুনি? ও দেশে এখানকার পড়াশোনার কোনো দাম নেই বুঝলে! তার চেয়ে আমার সাথে চল- নানা দেশ ঘুরবে, আরামে খাবে-দাবে, ফুর্তি করবে।
তোমার এত চিন্তা কিসের? আমি তো আছিই।
আমার মুখে আর কোনো কথা সরল না। নিঃশব্দে খাওয়া শেষ করে উঠে দাঁড়িয়ে বললাম, আমার ভীষণ মাথা ধরেছে। বাড়ি যাব।
একথা বলে হোটেলের ডাইনিং হল পেরিয়ে সোজা চলে এলাম রাস্তায়।
পেছন পেছন উদ্বিগ্ন মুখে এলো রিজভী। অবশেষে আমাকে বাড়ি পৌছে দিয়ে প্রসন্ন মুখে বিদায় নিল সে। আমি আমার ঘরে এসেই সব বাতি নিভিয়ে দিয়ে বিছানার উপর উপুড় হয়ে অনেক্ষণ নিঃশব্দে কাঁদলাম। একটা সময় পর চোখ মুছে রুমের দরজা খুলে লাগোয়া বারান্দাটার গ্রিলে মাথা ঠেকিয়ে আকাশের দিকে তাকালাম। বাঁধভাঙ্গা জোত্স্নার আলোয় সমস্ত আকাশ ছেয়ে আছে।
আমি যতোদূর চোখ যায় আঁতিপাতি করে খুঁজতে লাগলাম আজ সকালের উড়িয়ে দেয়া পাখিগুলোকে - তাদের ডানা দুটোর আমার খুব প্রয়োজন, খুব বেশি প্রয়োজন.........যদি তারা একদিনের জন্য আমাকে সে দুটো ধার দেয়......
কলেজ ছাড়ার পর থেকেই শুরু হয়েছিল আমার এই পাখি ওড়ানো উত্সব। নিজের কাছেও কখনো স্বীকার না করলেও মনের ভেতর আমি জানতাম ওই খাঁচায় বন্দী পাখিগুলোর সাথে আমার পার্থক্য নেই একটুও। তাদেরকে ভীষণ আপন বলে মনে হত। আমার প্রতি জন্মদিনে আমি নিয়ম করে পাঁচটা পাখি উড়িয়েছি প্রতিবছর - জন্মদিন পাঁচ তারিখ তাই।
আমার কেন যেন মনে হয় ওই অসহায় জীবগুলোকে এই নিদারুণ যন্ত্রনাবিদ্ধ বন্দিদশা থেকে মুক্তি দিলে কোনো একদিন করুণাময় সৃষ্টিকর্তা আমার উপর তুষ্ট হয়ে আমাকে তার পুরস্কার দেবেন।
আমার খুব গভীর বিশ্বাস কোনো না কোনো একদিন ওই মুক্ত পাখিগুলোর মতই তিনি আমাকেও অধিকার দেবেন উন্মুক্ত আকাশে বিচরণ করার। সেইদিন আসবে যেদিন আমি এই পরিবারতান্ত্রিক সমাজের অদৃশ্য কারাগার থেকে পুরোপুরি মুক্ত হয়ে বাধা-বন্ধনহীন পাখির মত উন্মুক্ত আকাশে ডানা মেলে নির্ভাবনায় উড়ে বেড়াব, প্রাণ খুলে বাতাসের ঘ্রাণ নেব আর তাদের সাথে গলায় গলা মিলিয়ে বলব, আমি মুক্ত........আমি মুক্ত.......আমি মুক্ত........
সেই উড়ালের অপেক্ষায় বুকের ভিতর একটা চাপা দীর্ঘশ্বাস গোপন করে আমি একহাতে চোখের জল মুছলাম..........
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।