বাংলার আলো-জলে ধূলো মেখে বেড়ে ওঠা মুক্তি
বাদশাহ হারুন- না মেহেরজান । কতল আমি ওকে করব না। জীবনকে যে পাশার ঘুটি বানাতে পারে এত সহজে তাকে আমি হত্যা করব না। তিলে তিলে দগ্ধে দগ্ধে....
মেহেরজান- না জাহাপনা। এত নিষ্ঠুর হবেন না।
দয়া করূন...
/
/
/
তাতারী- শোন , হারুনুর রশীদ। দীরহাম দৌলত দিয়ে ক্রীতদাস গোলাম কেনা চলে। বান্দি কেনা সম্ভব-!
কিন্তু -কিন্তু- ক্রীতদাসের হাসি------------না -না-না-না-- ( তাতারীর মৃত্যু)
শওকত ওসমানের "ক্রীতদাসের হাসি" বইটিতে এক গোলাম ও অন্দরের খাস বান্দীর প্রেমের উপাখ্যান দিয়ে যেভাবে শুরু করা হয়েছে তাতে আইযূব খান নিজেও সম্ভবত ইর্ষা বোধ করবে......
বইটি প্রেম কাহিনী, রাজা বাদশাহর জীবন, বিপরীতে এক হাবসি ক্রতদাসের নির্লোভ স্বভাব ও নির্মোহ জীবন ........ অবশেষে দাসকে সুলতানি দান করে বিনিময়ে বাদশাহ নিলেন সুন্দরী দাসীকে। সুন্দরী ভূলে গেল গভীর রাতের ঝুকিপূর্ণ প্রেমময় মিলনের দিনগুলির কথা। কিন্তু হাবসী গোলাম ভূলে গেল হাসি......রাজার ধন দৌলত, সুন্দরী নারী ও অবশেষে অমানুষিক অত্যাচার .. কোনটাই ভূলাতে পারেনি দাসটিকে.....
মৃত্যুর আগে বলিষ্ট কন্ঠে দাস বলে উঠল.....
............"দীরহাম দৌলত দিয়ে ক্রীতদাস গোলাম কেনা চলে।
বান্দি কেনা সম্ভব-!
কিন্তু -কিন্তু- ক্রীতদাসের হাসি------------না -না-না-না-"
জীবন দিয়ে গেল হাবসী অথচ রাজার ইচ্ছায় এবং নিজের অনিচ্ছায় একটা হাসি দিল না সে... এভাবে জেদে চেপে অজস্র বাঙালী জীবন দিয়েছে....তাদেরকে হত্যা করে অপাতদৃষ্টিতে পাকি শোষক গোষ্ঠী জয়ের স্বাদ নিলেও ...প্রকারান্তে তারা পরাজিত হয়েছে নিষ্ঠুর ভাবে। ।
রুপকের মাঝে স্বৈরশাসক আইয়ুব খান কে কটাক্ষ করে বইটি লিখেছিলেন শওকত ওসমান। এবং নির্বোধ শাসকগোষ্টির নাকের ডগা দিয়ে অবশেষে সে বছর শ্রেষ্ট উপন্যাসের পুরস্কার পায় বইটি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।