সকল মৌলিক লেখার সত্ত্ব লেখকের ।
অক্ষম আততায়ী
আততায়ী তুমি
জানি, সর্বদা তৎপর ছিলে
চৌকষ দৃষ্টিতীরের নিবন্ধনে
সুতীক্ষ্ণ নির্ভুল পর্যবেক্ষনে
বিঁধবে এক অসহায় হৃদয়
নিপুণ অভিনয় ঘোরে
কামনার ইন্দ্রজালি তীরে
আততায়ী তুমি
তীরে বিষ দিতে ক্ষান্ত হওনি
ক্ষান্ত হওনি নখর বসাতে
নিদারুন এক নিঠুরতায়
সব চেষ্টাই করে গেছো
গরল সাগরে ভাসাতে
চিতার অনলে পোড়াতে
আততায়ী তুমি
আজ অনুভব করো নিশ্চয়
নপূংশক চতুরতা তোমার
পরাজয়ের ষোলকলা করেছে পূর্ণ
তোমার হেমলকে ভরা তূণ
কতো না অক্ষম হতে পারে
অজাতশত্রু প্রাণ বিনাশে
অনুভব করো নিশ্চয়
আততায়ী তোমার
বিষমাখা তীরের বিফলতায়
এ হৃদয় আজ নীলকণ্ঠ
দংশনের নীলবিষের অকৃতকার্য্যতায়
নিবীর্য্য নিস্ফল সামর্থ্যহীনতায়
এ প্রাণ এখনো সজীব
অনুভব করো নিশ্চয়
আততায়ী তোমায়
চিরবিজয়ী হতে দেয়নি
পোড়া মন পুড়েছে ঠিকই
অনন্ত পরাজয় মানেনি
বাধা মানেনি জীবন নদী
আজো সে প্রমত্তা প্রবহমান
সেই আগের মতো
পরিমল ধারার প্রবাহনে
রুদ্ধ করতে পারোনি
তার আজন্ম চলার গতি
আততায়ী তুমি
জানি, ভুল বুঝতে পারবে
কোনদিন কোন এক কালে
কোন এক পথের শেষপ্রান্তে
অতিধুর্ত জহুরী-চোখ তোমার
নিরেটতা পরখনে কতোই ব্যার্থ
হীরক সংগ্রহের ঝুলিতে তোমার
কাঁচ ও ঢুকে গিয়েছে অবলীলায়
হতাশার দৃষ্টি আটকাবে সেদিন
চির রঙ্গিন চশমার ফাঁকে
ধোকা খেয়ে গেলো কি করে
ধোকা দিতে পারঙ্গম দু’টি চোখ
আততায়ী তুমি
হয়তো আসতে চাইবে সেদিন
কৈশোরের প্রণয় শিশিরে সিক্ত
সোনা রাঙা রোদের এক বিকেলে
আদ্য পদক্ষেপের ওই স্থানে
যেথা হতে হয়েছিলো শুরু
প্রথম দিনের যুগ্ম পথচলা
যে পথের ধুলিতে মাটিতে
অঙ্কিত একদার পদচিহ্ন
যে পথের দুর্বা ডগার কুয়াশা কণায়
আজো কতো স্মৃতি গ্রন্থিত আছে
ডাকবে তোমাকে সেই পথ
অন্তিম নিশ্বাসের ক্ষন অবধি
ফিরে আসা হবে সে কি আর
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।