নতুন এসেছি তখন। ইন্টার্নেট থেকে বাংলাপিডিয়ায় এলাকার দ্রষ্টব্য জায়গাগুলো খুঁজে দেখলাম। স্কুল ছুটির পর দপ্তরী নুরু মিয়ার কাছে থেকে জায়গাগুলো চেনার চেষ্টা করলাম।
“হাতিয়ার ভাঙ্গা কোথায়?”
“ হাইত্যার ভাঙ্গা? এই একটু সামনে আগাইয়া গেলেই দেখতে পাইবেন। ” নুরু মিয়ার উত্তর।
ভাবলাম এত কাছেই যখন একটা জায়গা পাওয়া গেছে। যাওয়া যাক। তখনই রওনা দিলাম আরেকটু বিস্তারিত জেনে নিয়ে।
হাইত্যার ভাঙ্গায় ব্রিটিশদের করা দূর্গের অবশেষ আছে।
নির্দেশিত জায়গায় গিয়ে দেখি কোথায় দূর্গ, কোথায় কি! পুকুরও না দীঘিও না তার মাঝামাঝি ধরণের একটা জলাবদ্ধ জায়গা।
দূর্গের মতো একটা স্থাপনা কীভাবে এতটুকু জায়গায় লুকিয়ে থাকতে পারে বুঝতে পারলাম না। অনেক লোককে জিজ্ঞাসা করলাম। বেশির ভাগ লোক নামটাই শোনে নাই। আর যারা শুনেছে তাদের দূর্গের মতো বিষয়টা বুঝিয়ে উঠতে পারলাম না। গ্রামের মানুষ।
তারাও আমার মানসিক সুস্থতার বিষয়ে সন্দিহান হয়ে পড়লো। জলাভূমির মাঝখানে উঁচু ঢিবির উপর কিছু ধনচে গাছ অর্ধনিমজ্জিত অবস্থায় আছে। ভাবলাম এর নিচে কি-না। এবং এক সময় ান্ত দিলাম। আরো কয়েকবার গেলাম।
যেদিকে তাকাই শুধু পানি আর পানি। বর্ষা শেষ হয়েছে মাত্র।
শীত এসে গেল। পানি সরে যাচ্ছে।
স্কুল থেকে জায়গাটা বেশি দূরে নয়।
বেকিনগরের রাস্তাটার মোড়েই। একদিন ও-দিক দিয়ে যাচ্ছি নজরটা আমার ওদিকেই ছিল। হঠাৎ দেখি পানির উপর কংক্রিটের একটা স্তুপ মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। একটু দূরে আরেকটা!
আর দশ-বার দিন পরই বৈশাখ। এখন গেলে আপনি দেখতে পাবেন হাঁটু সমান পানিতে পাঁচটি কংক্রিটের স্তুপ দাঁড়িয়ে আছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।