আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিদেশী কাফেরদের দ্বারে জামাত



আজ বিদেশীদের দ্বারে জামাত শিরোনামে বিভিন্ন পত্রিকায় একটা খবর বেরিয়েছে । জামাত এবার বিদেশীদের দ্বারস্থ হয়েছে । অথচ ’৭১ সালে জামাত ইসলাম রক্ষার নামে দেশের লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করে । তাদের রাজনীতি,ওয়াজ-মাহফিল,বক্তৃতায় একটা বিশাল অংশ জুড়ে থাকে ইহুদী-খ্রীস্টানদের প্রতি হিংসার আগুন । মরলে শহীদ ,বাঁচলে গাজী –সেই বিখ্যাত বানীকে আজ তারা নিজেরাও বিশ্বাস করতে পারছে না ।

এই দুনিয়াতে এত কষ্ট , কথায় কথায় রাজাকার অপবাদ –অথচ মৃত্যুদন্ড পেলেই শহীদ ,নিশ্চিত বেহেস্ত । সেখানে শুধু হুরপরী ,শরাবন তহুরা আর সুখ আর সুখ । যে কথা তারা এতোদিন তরুন কর্মীদের উদ্দীপ্ত করেছিল , সেই কথা নিজেরাই বিশ্বাস করতে পারছেনা । লজ্জা সরমের মাথা খেয়ে বিধর্মী কাফেরদের দ্বারস্থ হওয়া কতটুকু যৌক্তিক ? যেসব কাফেরদের দ্বারস্থ হয়েছে আসুন তাদের পরিচয় জেনে নিই । ১।

হিলারী ক্লিনটন ঃ তাকে চিঠি দিয়ে তার সাহায্য চাওয়া হয়েছে । হিলার জাতিতে খৃস্টান তাই কাফের । একে তো নারী ,তার উপর বেপর্দা হয়ে চলাফেরা করে । ২। জাতিসংঘের বাংলাদেশ প্রতিনিধি রেনেটা তার সাথে জামাতের কামারুজ্জামান দেখা করেছেন,সাহায্য চেয়েছেন ।

্তিনিও হিলারীর মতো জাতিতে খৃস্টান তাই কাফের । এই নারী বোরখা পরা তো দূরে থাক ,হাঁটুর উপর হাফপ্যান্ট পরতে দেখা যায়। ৩। যুক্তরাজ্যের হাঊস অব কমন্স জামায়তের প্রতিনিধিদল দেখা করেছে । সব কাফেরদের আড্ডাখানা ।

ইসলাম বিরোধী আইনকানুন পাশ হয় ,কথাবার্তা হয় । ৪। ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস এখানকার বিচারক ও কর্মকর্তারাও সবাই কাফের-মোনাফেক । শরীয়া আইন মানা হয়না । মানুষের মনগড়া আইনে চলে কাজকারবার ।

৫। এক হাজারের মতো আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক ঃ এরাও সবাই কাফের মোনাফেক এদের পরিবর্তে ইসলামী আন্দোলনের মহান নেতা লাদেন ,মোল্লা ওমর, মেহসুদ এদের আনলে সমস্যা কি ছিল তা বোধগম্য নয় । অথচ যাদের কাছে সাহায্য চাওয়া উচিত ছিল ---- ১। পাকিস্তান ঃ আহ পাকিস্তান ,জানের পাকিস্তান । পকিস্তানের সাথে যুক্ত্ররাষ্ট্রের ভালোই বন্ধুত্ব ।

কিন্তু যেই পাকিস্তান শুনল যে ,যুদ্ধবন্দী নয় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সহযোগী দোসরদের বিচার হবে তখনই তারা পিছিয়ে গেল । ২। সৌদি আরবের শরীয়া কাউন্সিল ঃ জংগীভয়ে কিং নিজেই গৃহ বন্দী । খালেদ বা ফয়সলের মত আব্দুল্লাহর কাছে সাহায্য মিলছে না । বহু মিটিং ,কান্নাকাটি করার পর সাহায্য এই করে তো ,এই করে না ।

অথচ শরীয়া কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচার হলে কী সুবিধাটাই না হতো । ইসলামের নামে মানুষ হত্যা জায়েজ-এটা প্রমান করাটা সুবিধা হতো । ৩। খালেদা জিয়া ঃ নারী নেতৃত্ব দেশের ধবংস ডেকে আনলেও ,জোট বাধলে ফাতেমার উদাহরন দেয়া যায় । কোন সমস্যা নেই ।

কিন্তু মামলা হওয়ার পরও নেত্রী চুপ। ৪। শেখ হাসিনা একইসাথে আন্দোলনের কারনে পুরনো বন্ধু । ডিজিটাল দেশ গঠনে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেয়ার পরও মামলা করে দিল ?পুরনো বন্ধুত্ব মনে রাখল না ?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।