আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আল্টিমেটাম..... এক্কেবারে চরম।

আশা নাই তাই মশারির ভেতর মশা ও নাই।

আমাগো মাইনা নেয়ার ক্ষমতা অসাধারণ। দেশ যেইভাবে চলতাছে তা যে একেবারেই স্বাভাবিক না তা আমরা অল্প বিস্তর সবাই জানি। দেইখা মনে হ্য় সয়ং খোদায় এই দেশ চালায়। খোদায় চালানোর জন্য হোক আর যে কোনও কারণেই হোক, আমরা কিন্তু সব কিছু চুপচাপ মাইনা নেই।

চলছে গাড়ি যাত্রাবাড়ি। আমার দেশে ত দুর্ভিক্ষ চলে না, সক্কলে মিল্লা কাম কইরা খায়। মাঠে সবুজ ফসল। হালায় কৃষকের কাম করতে করতে জান যায়। তবু চালের দাম হালায় কমে না ক্যা? আমরা জানি না? হক্কলে জানি।

___ এর পোলারা পয়সা বানায় মাঝ খানে, শালাগুলার জন্মের ঠিক নাই আর বড় বড় গাড়ি দৌড়ায়। আর তাগো পয়সায় যারা এমপি মন্ত্রি হইছে তারা সিন্ডিকেটের গান গাইয়া লাফায়। আমরা সব বুঝি। তোরা হ্যাগো ডরাস, অথবা এখনও হ্যাগো "গু" (পার্সেন্টিজ) খাস...... সারা দিন কাম কইরা ৫ কেজি চাইলে কদিন চলে? আমরা তবু মাইনা নেই। ঢাকা শহরে আর দোজোখে এখন খুব একটা পার্থক্য বোধ হয় নাই।

১০ মিনিটের রাস্তা পার হইতে লাগে ১ ঘন্টা। এত গাড়ি বারতাছে। রাস্তা নাই। প্যালেন নাই। যার যেমতি মুন চাই তেমতি।

রাস্তার মাঝখানে টক্কর লাগলে ঐখানেই ড্রাইভার গাড়ি থাইকা নাইমা মাস্তানি দিহাইতে থাকে। রাস্তা যেন হের বাপের। অথচ এই গুলার বাপেরই ঠিক নাইক্কা। আমরা হাবার মত চাইয়া থাকি। এ কোনও সবাভাবিক দেশের কান্ড? না।

তবু আমরা মাইনা নেই। সিন এন জি তে উঠতে গেলে খাচ্চর ড্রাইভার গুলা একেবারে ___ মাইরা ছাইরা দেয়। পিন্জিরার মৈদ্ধে হান্দায়া বইয়া থাকে তাই কিছু কইবার পারি না। রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ রে কইলে আমারে নামায়া দিয়া সি এন জি ওলার কাছ থাইকা চা পানি মাইরা ছাইড়া দেয়। আমরা নতুন সি এন জির খোজ করি, আবার একই কাহিনী।

হালায় মিটারের ধার ধারে না। কারে দোষ দিমু? ড্রাইভার অথবা পুলিশও ত ঐ একই দামে চাইল খায় ৫ কেজি চাইলে কদিন?... মোটেও স্বাভাসবিক না তবু আমরা মাইনা নেই। বিদ্যুৎ.... বলে একটা জিনিষ আমগো দেশে আছে। খুব বেশি সৌভাগ্যবান হইলে আমরা মাঝে মাঝে তার উপস্থিতি দেখতে পাই। কিছুক্ষনের জন্য আইসা সে আবার হারায়া যায়।

অথচ মাস শেষ হইলে আমরা বিল একদম ঠিক ঠাক দিয়া থাকি। হালায় পয়সা দিয়া কিন্নাও বিদ্যুৎ এর লাইগা আমাগো উপরের দিকে চাইয়া থাকতে হয়। এমন আর কুনু দেশে ঘটে বইলা জানা নাই। তয় আমার এইখানে ঘটে। অস্বাভাবিক।

কিন্তু তাও আমরা মাইনা নেই। নেতাগো কামড়াকামড়ি চরমে, আমরা বাঁচিনা শরমে। কুলাংগার গুলা আমগোরে গণতন্ত্রের মুলা দেখাইয়া আমাদের ____ মারে। তাদের প্যাচে পইরা মানুষ মরে অহরহ। বোমা ফাডে, কার পোলা মরে কেউ খবর রাখে না।

আমরাও চুপ। ৫৭ জন আর্মি অফিছার মাইরা তারা আমগো রে এখনও চেইন খুইল্লা দেখাইতাছে। ঘুন পোকার মত খাইতাছে আমগো রে। এমন হওয়া স্বাভাবিক না, এমন হয় না। কিন্তু আমরা মাইনা নেই।

চোখের সামনে দ্যাশ বেইচা দেয়। নিলামে তুইলা দেয় দ্যাশ টারে। নিলাম ডাকে ভারত, আমেরিকা, চিন, হালায় পাকিস্তান ও। এক দালাল আমগোরে বোঝায় প্রগতিশীল কইয়া। আরেক দালাল ইসলাম বেইচা দিবার চায়।

হালায় তরা যে কত বড় দালাল আমরা বুঝি না? সব বুঝি। তবু চুপ কইরা মাইনা নেই। আমগো খাবার পানিতে কেঁচো। আমগো খাবারে চরম ভেজাল। আমগো দেশে যে যারে যেদিকে সুযোগ পায় ঠকায়।

আমরা বিবেক বেইচা দিছি। এর লাইগাই মনে হয় আমরা সব কিছু মাইনা নিতে পারতাছি। এক সময় পারতাম না। ৫২ তে পারি নাই, ৭১ এ পারি নাই। গণতন্ত্রে কাউরে আমরা জিতাই নাই।

৯০ এ এরশাদ রে হারাইছি। ৯৬ এ খালেদারে হারাইছি। ২০০১ এ হারাইছি হাছিনা রে। এখন যারা মনে করতাছে আমরা তাগো জিতাইছি তারা ভুল করতাছে। আমরা আসলে হাছিনা বা নৌকা রে জিতাই নাই, আমরা খালেদা, তারেক রে হারাইছি।

আমরা হেগো কাউরে পছন্দ করিনা। কিন্তু তার পরও মাইনা নেই। তবে সব কিছুর যেমন একটা সীমা আছে তেমনি মাইনা নেওয়ার ও ত একটা শেষ আছে। "তরা আমগো রে আর জালাইস না। এই দ্যাশের মানুষ পাগল।

পাগল ক্ষেপাইলে কিন্তু ভারত পাকিস্তানে যাইয়া কুল পাইবি না। একদিন হয়ত এমন আইব যে পাবলিক সবগুলা দালালের অন্ডকোষ কাইটা সালাদ বানায়া ছাইড়া দিব...." হেই দিন তরা বাধ্য হইয়া সব মাইনা নিবি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.