আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

থান্ডার ড্রাগনের দেশে - যেতে চান?

আল বিদা

ভূটান বাই রোড এবং এয়ার দুইভাবেই যাওয়া যায়। ড্রুক এয়ারে গেলে সে বিষয়ে আমার আর তেমন কিছু বলার নেই। কারন আমি তা জানি না। আর যদি বাই রোডে যান তবে কিছু কথা বলতে পারি। বাই রোডে গেলে ভারতবর্ষের উপর দিয়ে রয়েল ভূটান যেতে হয়।

তাই ভারতীয় ট্রানজিট ভিসা করা লাগে। আপাতত নেপালের ট্রানজিট ভিসা না দিলেও ভূটানের জন্য ট্রানজিট ভিসা দিচ্ছে। ঢাকা থেকে বুড়িমারী অনেক বাসই যায়। শ্যামলী, হানিফ, এস আর, রোজিনা এমন অনেক বাসই আছে। রাত ৯ টার বাস ভোর ৬ টায় পৌছে যায়।

পথে বগুড়ায় যাত্রা বিরতি করে নেয়। বুড়িমারী কাউন্টারে আরও ২রুম নিয়ে তারা বিশ্রাম নেয়ার সুন্দর আয়োজন করে রেখেছে। আর বর্ডারের ফর্মালিটি তারাই করে দিবে। ভোরে পৌছে বুড়ির হোটেলে চা-নাস্তা করতে করতে ৮ টার দিকে বর্ডার ওপেন হয়ে যাবে। বুড়িমারীর বিডিআর চেক পোস্ট, কাস্টমস, ভারতীয় বিএসএফ পার হয়ে চেংড়াবান্ধাতেই টাকা থেকে রুপি করে নিন।

ভূটানেও রুপি চলে তবে ৫০০ রুপির নোট ভূটানে চলে না। তাই সর্বোচ্চ ১০০ রুপির নোট নিয়ে নিতে পারেন। ভারত আর ভূটানের কারেন্সি মান সমান। বর্ডার এলাকা থেকেই টাটা সুমো জীপে করে ভারত-ভূটানের বর্ডার জয়গা পৌছে যাবেন। সময় লাগবে ২ ঘন্টা আর ভাড়া ১২০০/- রুপি।

জয়গা পৌছে ভারতীয় ইমিগ্রেষনে এক্সিট করে নিন। আবার ভূটানের ফুন্টসলিং এ এন্ট্রি পাস নিয়ে নিন। এর আগে জয়গাতে দুপুরের খাবার খেয়ে নিন। তবে গ্রুপের ২/১ জন ভূটানের ইমিগ্রেষনের ফর্মালিটি করতে থাকলে ভাল হয়। কারন ভূটানের ইমিগ্রষন অফিস বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

মনে রাখবেন ভূটানে যেতে আপনার পাসপোর্ট সাইজ ছবি আর পাসপোর্টের ফটোকপি লাগবে। এখানে আপনারা যখন পৌছবেন তখন বেলা ২/৩টা বেজে যেতে পারে। অনেকেই এখানে রাত্রিযাপন করেন। সন্ধ্যার পরের সময়টা অনেকেই পাহাড়ী পথ দিয়ে থিম্পু রওয়ানা হয় না। তবে আমার মনে হয় একটানে থিম্পু চলে যাওয়াই ভাল।

ফুন্টসলিং থেকে বাস পেতে পারেন। অথবা জীপ ভাড়া করে রওয়ানা হতে পারেন। জীপ ভাড়া ৩৫০০ রুপি আর বাস ভাড়া জনপ্রতি ১৯২/- রুপি। দূরত্ব ১৭০ কিমি কিন্তু সময় লাগে ৬ ঘন্টা। এতে আপনি রাত ১২টায় পৌছবেন।

তাই ফুন্টসলিং থেকেই হোটেল বুকিং দিয়ে রাখেন। আপনার প্রয়োজন হতে পারে এমন ২/১ টি হোটেলের নাম দিয়ে দিলাম যেখানে নিশ্চিন্তে রুম বুকিং দিতে পারেন। ১. হোটেল ডেসটিনি ফোন - ০০৯৭৫-২-৩৩৫৪৪০/৪১, ০০৯৭৫-১৭৬০৯৯৯৬, ৭৭২৪৭৭৮৮ ইমেইল - ২. এমবিয়েন্ট ক্যাফে আর. পেনজর ভবন নং ৭এ নরজিন লাম ফোন - +৯৭৫-১৭১১৭৭৭১, ১৭১১৬৬৬১ ইমেইল - দুই হোটেলই থিম্পুর ক্লক টাওয়ার বা ট্রাফিক পয়েন্টের কাছে। ভাড়া ৮০০/- রুপির মত। ফেরার পথে ভূটানের সব কারেন্সি ভূটান থেকেই রুপিতে কনভার্ট করে আনুন।

ভূটানে শীত বেশী পড়ে। তাই শীতের কাপড়, হাত মোজা, কান টুপি নিয়ে নিন। ভূটান যাওয়ার সময় ইমিগ্রেসনে পাসপোর্ট সাইজ ছবি আর পাসপোর্টের ফটোকপি লাগে। তাই মনে করে আগেই নিয়ে নিন। ভূটান সফরের জন্য গ্রুপ করা খুবই ভাল।

আপনি গ্রুপ না পেলেও বাসে যেতে যেতে গ্রুপ করে নিন। অপরিচিত বলে হেজিটেট করবেন না। কারন তারাও আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। সর্বোচ্চ ৮ জনের গ্রুপ হলে ভাল হয়। এতে ট্রান্সপোর্ট ও হোটেল পাওয়া সহজ হয়।

আর টুইন শেয়ারিং এ বা প্রতি কাপলের যাওয়া-আসা মিলিয়ে ৪ রাতের ট্যুরে প্রায় ২৫,০০০/- টাকার মত খরচ হয়। তো তৈরী হয়ে যান প্রায় ২৪ ঘন্টার এক আনন্দময় জার্নীর জন্য। আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য ক্লিক করুন -

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৫ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.