আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

থান্ডার ড্রাগনের দেশে - ২

আল বিদা

থান্ডার ড্রাগনের দেশে - ১ Click This Link বিকেল ৫.৩০ এ ফুন্টসলিং থেকে যখন রওয়ানা হলাম থিম্পুর উদ্দেশ্যে তখনও মনে ভয় পথে কি হয়? কারন এতটা পথ অন্ধকারে অচেনা জায়গায় কিছুটা টেনশন কাজ করছিল। ১০ মিনিটের মত যেতেই ঘটল বিপত্তি। পথ কি এক কারনে যেন বন্ধ। ড্রাইভার বলল এ যট কখন ঠিক হয় তার ঠিক নেই। আমি মনে মনে গাড়ীতে রাত পার করার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে নিলাম।

এ কারনেই হয়ত পরের ১০ মিনিটের মধ্যে আবার সব ঠিক হয়ে গেল। শুনলাম পুলিশ এসে রাস্তা ক্লিয়ার করে দিয়েছে। তারপর শুধু উপরের দিকে যাওয়া আর যাওয়া। প্রায় ১০/১৫ মিনিট গেলে হয়ত ১টা গাড়ী দেখা যায়, ৩০ মিনিট গেলে দূরে কোথাও একটু আলো, ১ ঘন্টা গেলে কোন হোটেল/বার। একটানা একঘেয়ে চালাতে চালাতে ড্রাইভারও টায়ার্ড হয়ে গেল।

তাকে কিছুটা বিশ্রাম দিয়ে আবার শুরু হল যাত্রা। এভাবে ৬ ঘন্টা পাড়ি দিয়ে রাত ১২টার পর পৌছলাম থিম্পু। ফুন্টসলিং থেকে হোটেলের বুকিং দিয়েছিল বলে তক্ষুনি একটা হোটেলে উঠতে পারলাম। নয়ত ঐ রাতে ফুটপাথে ঘুমাতে হত। রাত ১০টা বাজতেই পুরো থিম্পু ঘুমিয়ে পড়ে।

সকালে নাস্তা সেরে শুরু হল থিম্পু ঘুরা। থিম্পু শহড়ে রাস্তা বেশ বড় বড়। রিক্সা, বাস কিছুই নেই। শুধু প্রাইভেট গাড়ী আর ট্যাক্সি। রাস্তার কোথাও তো জ্যাম হয়ই না বরং কেউ রাস্তা পার হতে থাকলে সব গাড়ী দাড়িয়ে যায়।

বিশেষত স্টুডেস্ট হলে তো কথাই নেই। খুব ধীর-স্থির জীবন তাদের। কিছু ইয়ং টিন এজার ছাড়া প্রায় সব নারী পুরুষ তাদের ট্রাডিশনাল ড্রেস পড়ে। আমরা হেটে হেটে ট্যাম্পল, ইয়থ সেন্টার আরও এমন কিছু জায়গা ঘুরলাম। তবে জু আর রেডিও স্টেষন যাওয়া হয় নাই।

শুনলাম সেগুলোও দেখার মত। বিকেলে বের হলাম রাজবাড়ী দেখতে। প্রায় ৩০ মিনিট হেটে গেলে রাজবাড়ী পাওয়া যায়। আমরা রাজবাড়ী আর হাইকোর্ট দেখে আবার হেটে হেটে ফিরলাম। ফেরার সময় সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় রাতের থিম্পুর রাস্তার অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারলাম।

সোডিয়াম লাইটের আলোয় থিম্পুকে মনে হচ্ছে এক স্বপ্নপুরী। থিম্পুর পথঘাট দেখে আমি খুবই অভিভূত। অনেক বড় আর চওড়া রাস্তা। আর একদম পরিষ্কার। আগামী ৫০ বছর পর থিম্পুর যতটুকু রাস্তা প্রয়োজন তা এখনই করে রেখেছে।

অনেক রাস্তাই ওয়ান ওয়ে আর গাড়ীর ডানদিক দিয়ে প‌্যাসেন্জাররা বের হয় না। তবে এখনও রাস্তার পাশে নির্দিষ্ট কিছু প্লেসে তারা গাড়ী পার্ক করে। আর কখনই হর্ন বাজায় না। শহড়ে মাত্র একটাই ট্রাফিক পয়েন্ট যেখানে একজন ট্রাফিক পুলিশ গাড়ী নিয়ন্ত্রন করে। আর অন্য সব জায়গায় ড্রাইভাররা নিজেরাই কনট্রোল করে।

এ নিয়ে সমস্যাই হয় না। একে অন্যকে আগে যেতে দেয়। এভাবেই কেটে গেল থিম্পুর ১ম দিন। পরদিনের প্ল্যান পারো সিটি যাওয়া। ঐ গল্প করব আরেকদিন ইনশাল্লাহ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.