আল বিদা
থান্ডার ড্রাগনের দেশে - ২
Click This Link
পারো শহড়টি থিম্পুর মত এত উন্নত না। তবে উল্লেখ করার মত হচ্ছে ভূটানের একমাত্র এবং পৃথিবীর অন্যতম ক্ষুদ্র এয়ারপোর্ট এই শহড়ে। থিম্পু থেকে পারো যেতে ১ ঘন্টা সময় লাগে। থিম্পু-পারো রাস্তাটি খুব সুন্দর। পাহাড়ের পাশে রাস্তা, তার পাশে খাদ, খাদের পরে ছোট পাহাড়ী নদী আবার ঐপাড়ে পাহাড়।
খুব সুন্দর আর অদ্ভূত। কতটা সুন্দর তা তো আর বললাম না। যারা যাবেন তারা বুঝে নিয়েন কতটা সুন্দর।
পারো যাবার পথে পাহাড় থেকে এয়ারপোর্ট দেখা যায়। ঐটা একটা স্পট।
চোট্ট এয়ারপোর্ট একটি মাত্র টার্মিনালে একটি বিমান দাড়িয়ে আছে। এর পর ভূটানের যাদুঘর দেখলাম। এই যাদুঘর বিশ্বের অন্যতম একটি সমৃদ্ধ যাদুঘর। এছাড়া টেম্পল তো আকছার। এমনকি ট্র্যাকিং করতে পারলে পাহাড়ের উপরের ট্যাম্পল দেখা যেতে পারে।
পথে পড়ল কমলার বড় বড় বাগান যার পুরোটাই এখন শূন্য।
এমনিতে পারো তেমন কোন সুন্দর শহড় না হলেও পারো যাওয়ার পথটুকু খুবই সুন্দর। পাহাড়ী নদী 'পা' এর কারনে ভ্রমনের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। আর সব মিলিয়ে পারো অনিন্দ সুন্দর। এখানেও জীবন অনেক ধীর স্থির।
আমরা একটা বিয়ের অনুষ্ঠানে ঢুকে গেলাম। কেউ জিজ্ঞেস করল না আমরা কে। বরং খাওয়ার জন্য সাধল।
বিকেলে থিম্পু ফিরে সন্ধ্যার পরের সময়টুকু ক্লক টাওয়ার পার্কে কাটিয়ে দিলাম। পরিবেশটা ঠিক যেন আমাদের টিএসসি বা দার্জিলিং এর মল চত্বর।
পরদিন ভোর ৭টার বাসে করে আবার ফুন্টসলিং হয়ে জয়গা আসলাম। বিকেল ৫টায় একটা ট্রেন জয়গা থেকে শিলিগুড়ি যায় শুনে ঐ ট্রেনে করেই রওয়ানা হলাম শিলিগুড়ি। ভারতীয় রেলের প্রসংশাই করতে হয়।
এভাবেই শেষ হল ভূটান সফর। সামনে এই ট্যুর নিয়ে আরেকটা ব্রিফ দেয়ার ইচ্ছা আছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।