আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কমিউনিস্ট ঐক্যের আহবান

আমার সম্পর্কে বলার মতো কিছু নেই।

কমিউনিস্ট ঐক্যের আহবানঃ ঢাকা নিউজ 24 ডট কম, ঢাকা( ৬ মার্চ ২০১০) কমিউনিস্টদের ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে পালিত হল বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির ৬২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। আজ ৬ মার্চ কমিউনিস্ট পার্টির ৬২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিউট মিলনায়তে 'প্রকৃতি ও মানব মুক্তির সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ হোন' স্লোগানে কমিউনিস্ট ও প্রগতিশীলদের মিলন মেলায় বক্তারা কমিউনিস্টদের ঐক্যের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। মিলনমেলা শুরু হয় আন্তর্জাতিক সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে। গান, আবৃত্তি, আর স্মৃতিচারণের ফাকে বর্তমান রাজনীতির করনীয় আর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন বক্তারা।

সিপিবির সভাপতি মনজুরুল আহসান খানের সভাপতিত্বে শুরুতে বক্তব্য রাখেন সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য কমরেড হায়দার আকবর খান রনো। এছাড়া বক্তব্য রাখেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিচারপতি গোলাম রাব্বানী, ড. আশরাফুজ্জামান সেলিম, ড. শামসুল আরেফিন, মতলুব আলী, জয়নুল আবেদিন, কমান্ডার আব্দুর রউফ, পঙ্কজ ভট্টাচার্য, সৈয়দ আবুল মকসুদ, আওয়ামীলীগ নেতা মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য কমরেড বিমল বিশ্বাস, বাসদের আহবায়ক খালেকুজ্জামান, আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ, আজিজুল ইসলাম খান, আমেনা আহমেদ, রীনা ফরহাদ মালেকা বানু, মাহবুব জামান প্রমুখ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী দিলিপ বড়ুয়া। মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, অতীতের উপর দাড়িয়ে আমাদের বর্তমান রাজনীতিকে বিচার করতে হবে। নতুন শক্তিতে উজ্জিবিত হয়ে কেবল কমিউনিস্টদের আত্মবিশ্লেষণের মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের ক্ষেত্র তৈরী করতে হবে।

আর এজন্য কমিউনিস্টদের ঐক্যের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, আমার দেখি সরকার আসে সরকার যায় কিন্তু জনগণের কোনো পরিবর্তন হয়নি। যে সাম্প্রদায়িকতা, রাজনৈতিক দূবৃত্তায়ন সমাজের মধ্যে বিরাজমান তা মুক্তি পেতে হলে কমিউনিস্টদের দায়িত্ব নিতে হবে সংগ্রামের। বিচারপতি গোলাম রাব্বানী বলেন, আমার চাই সংসদে দুইটি দল থাকবে যারা অসামপ্রদায়িক, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবে। কিন্তু আমাদের সংসদে যারা আছে তারা রাজনৈতিক দূবৃত্তায়ন সৃষ্টি করছে।

সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, বাংলাদেশের যে ইতিহাস রচিত হয়েছে তার পেছনে কমিউনিস্ট পার্টির অবদান সবচেয়ে বেশী। যদিও কমিউনিস্টরা কখনো ক্ষমতায় যেতে পারেনি। তবে তাদের অবদান আমাদের জাতির জন্য সবচেয়ে বেশী। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য কমরেড বিমল বিশ্বাস বলেন, বহু ভুল ভ্রান্তির কারনে কমিউনিস্ট পার্টি আলাদা হয়েছে। তবে এখন সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে কমিউনিস্টদের ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।

এদেশের কামিউনিস্ট আন্দোলনে শ্রমজীবী, মেহনতি সকল মানুষের আরো বেশী মাত্রায় যুক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, সাম্রাজ্যবাদ, লুটেরা ধনতন্ত্র আর সাম্প্রদায়িকতা দেশের প্রধান শত্রু। এর জন্য দেশ আজ বিপর্যস্ত। দ্বি-দলীয় ধারাই এই শত্রুদের আশ্রয় দাতা। দ্বি-দলীয় এই ধারাকে ভাঙ্গতে হবে মানব মুক্তির জন্যে।

সভায় এই ভুখণ্ডের ৬২ বছরের কমিউনিস্ট আন্দোলনের জন্য উৎসর্গীকৃত হাজারো সংগ্রামী-প্রাণের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। বক্তব্যের ফাকে গান পরিবেশন করেন ফকির আলমগীর, বিপুল ভট্টাচার্য, বুলবুল মহলনাবিশ, কাবিতা আবৃত্তি করেন সালমা ইয়াসমিন। তথ্যসূত্রঃ ঢাকা নিউজ 24 ডট কম/এআর/আরআইপি.

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.