অভিজিৎ দাসের লেখা ও অন্যান্য বিষয়াবলি
বিরাট চন্দ্র।
যন্ত্রচালিত, আচ্ছন্ন, যতদূর উড়ে যেতে পারে কেউ
মৃদুগন্ধ ছায়ার ভিতরে, ঠান্ডা লাগে, চার পা-ওয়ালা পশুর ভঙ্গীতে হেঁটে হেঁটে যেতে পারে
ডুবেযাওয়া বিভিন্ন বস্তুর আকৃতি, বাল্যকালে যা দেখতে হয়েছে
কেশের অরণ্যে ঝরে পড়তেছে উল্কা, শহরে বিদ্যুৎ চলে গেলে
অবশেষে-খাঁচার-মধ্যেই-মরে-পড়ে-থাকা-পাখি
মানুষের ভাষা সে শিখতে পারেনি, ঘুমঘোরে
অসমাপ্ত বাক্যগুলি আমরা শুনেছি
আম্মা হত্যা করতে চেয়েছিলো আব্বাকে
পাখা ঝাপটায়ে সুর যায় যতদূর
সেসময়ে, স্বাভাবিকভাবে
এই দুনিয়া
ছিলো অত্যন্ত নীরব।
আজকে তোমাকে মনোযোগ দিয়ে দেখিনি তাই। তোমার জামাটা ভালোই লাগলো। তুমি আমাকে কিছু টাকা ধার দিলা।
আমি পথে-পথে ঘুরি। আমার পা নোংরা। যৌনকর্মের আশ্বাসে, আমি হয়তো আবার পরিবার-পরিজন বিষয়ে চিন্তাভাবনা করবো। আমার পরিকল্পনাগুলা ধ্বংস হয়ে স্নায়ুর সংকেতে মিশে যাবে। আমি সন্তান জন্ম দিতে চাই।
ল্যাংটা হওয়ার পরেও যদি তোমার স্মৃতিতাড়িত হৃদপিন্ডে কিছু বাতাসের শব্দ অবশিষ্ট থাকে-
আমি তোমাকে বিয়ে করবো। নিউমার্কেট নীরব হয়ে যাওয়ার আগেই
রাত্রি নয়টা বাজার আগেই, নিষেধ করবো না, প্রহারের যাবতীয় চিহ্ন মুছে যায়, হয়তো
বাড়ি ফিরে-
ঘুমাবো।
ঘুমালে-
স্বপ্নের ভিতরে কে আসবে আজকে রাত্রে? মৃত, অথবা এখনো যে জন্মায় নাই
অথবা, ক্রন্দনরত একটা কুকুর
কার্তিক কবে চলে গেছে
মুখ তুলে; উপরে
বিরাট একটা চন্দ্র
অতিকায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।