তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান বিকাশে বিশ্ববাসীর জীবনে ঘটছে গতি ও বৈচিত্র্যের সমাহার। একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শাসক দল আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়া। এ লক্ষ্যে দেশের সব নাগরিকের কাছে প্রযুক্তির সুফল পৌঁছে দেওয়ার জন্য ই-গভর্নেন্স তথা সরকারি কার্যক্রমে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করা হয়েছে। ই-গর্ভনেন্স কার্যক্রমে সফলতা আনতে হলে প্রয়োজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন জনবল। পাশাপাশি এই জনবলের জন্য বিশেষ মর্যাদা ও পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উত্কর্ষে সুদূরপ্রসারী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা অতিব জরুরি। তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পর্যায়ে এই খাতে বিনিয়োগ করলে আগামী দিনে দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের পথ সুগম হবে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে তাকালে এ খাতের ভবিষ্যত্ সম্বন্ধে আশাহত হওয়া ছাড়া উপায় নেই। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের স্বল্প বেতনে চাকরি করতে হচ্ছে। কোথাও কোথাও আবার তাদের চরম অবহেলার শিকার হতে হয়।
সরকারি-বেসরকারি নানা প্রতিষ্ঠানে যাঁরা কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করছেন, তাঁদের বিরাট অংশ স্নাতক ডিগ্রিধারী, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। কিন্তু তাঁদের পদোন্নতির কোনো সুযোগ থাকে না। তাঁরা যথাযথ মর্যাদাও পান না। তাঁদের পদোন্নতি ও যথাযথ মর্যাদা প্রদান অত্যন্ত জরুরি। তা ছাড়া কম্পিউটার অপারেটর নামটি পরিবর্তন করে আইসিটি কর্মকর্তা করা যেতে পারে।
এই প্রযুক্তিভিত্তিক জনবলগুলোকে অবহেলিত, মর্যাদাহীন ও মেধাবিকাশের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রাখলে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগানটি অপ্রিয় স্লোগানে পরিণত হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।