www.nationalnews.com.bd
স্বেচ্ছায় অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বর্তমানে বৃদ্ধ বিয়েপাগল হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার ডা. খন্দকার নজমুল হক এবার তৃতীয় বিয়ে করেছেন এক নাবালিকাকে। ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর শহরের কালীপুর মধ্যমতরফ মহল্লার সবার পরিচিত উপজেলার বুকাইনগর ইউনিয়নের কাজিপাড়া গ্রামের বাহাদুল্লাহর কন্যা সালমা (১৩) কে গত ৮ ফেব্রুয়ারি হতদরিদ্র পিতাকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পরিবারের সাত সন্তানের চতুর্থ মেয়েকে তৃতীয় বিয়ে করে সবার নজরে আসেন। স্ত্রীর বয়স ১৩ বছর হলেও বয়স্ক স্বামীর সংসারে এসে পেট ভরে দুমুঠো ভাত খেতে পেরে অবুঝ মেয়েটি নিজেকে সুখী মনে করছে। দারিদ্রতার কারণে পাঁচ বছর বয়স থেকে অন্যের বাড়িতে কাজ করে লেখা পড়া থেকে বঞ্চিত হয় হত্যভাগ্য মেয়েটি।
একাধিক বিয়ের ঘটনায় ডা. নজমুল হকের ওষুধ কম্পানীতে চাকুরী করা বড় ছেলে তার সাথে ইতিমধ্যে সর্ম্পকচ্ছেদ করেছেন। সমাজ, আইনকে উপেক্ষা করে নাবালিকা স্ত্রীকে বৈধ করতে শ্বশুরকে দিয়ে ১৩ বছর বয়সকে ১৮ বছর করে জন্ম নিবন্ধন সনদ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সংগ্রহ করেছেন। একারনে তিনি নিজেকে এখন নিরাপদ মনে করছেন। তৃতীয় বিয়ের এক সপ্তাহের পরই অসুস্থ প্রথম স্ত্রী মৃত্যুবরণ করেন। বর্তমানে ডা. খন্দকার নজমুল হক নতুন স্ত্রীকে নিয়ে সুখে জীবন যাপন করছেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।