জসীমউদ্দীন,বালুখালী,রাঙ্গামাটি।
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ির বাঘাইহাটের ঘটনায় পাহাড় উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গৃহহীন হয়ে পড়ছে হাজার হাজার মানুষ। গত শনিবারে বাঘাইহাটে পাল্টাপাল্টি অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গৃহহীন পাহাড়ী কিংবা বাঙ্গালী কারো আশ্রয়ের ঠিকানা হয়নি।
অস্থায়ীভাবে কেউ বনজঙ্গলে আবার কেউ স্কুলের বারান্দায় আশ্রয় নিয়েছে। তাদের শিশুরা আছে সবচেয়ে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায়। পোকা মাকড় আর মশার কামড় খেয়ে বস্ত্রহীন কাটছে তাদের দিনাতিপাত। আর আমরা সমাজের সচেতন নাগরিকরা নিজ সম্প্রদায়ের কথাই শুধু ভাবছি। শুনেছি স্থানীয় কিছু এনজিও ভিকটিমদের জন্য ত্রানতহবিল সংগ্রহ করছে এবং এজন্য চ্যারিটি শো এর আয়োজন করেছে কিন্তু তা কেবল একপক্ষের জন্য।
হয়তো একইভাবে অন্য পক্ষের লোকেরাও শুধুমাত্র তাদের সম্প্রদায়ের ভিকটিমের পাশেই দাঁড়াবে। বাঘাইহাটের এ ঘটনায় পত্রপত্রিকায় বেশকিছু রাজনীতিবিদের বিবৃতি দেখে মনে প্রশ্নজাগে - বিশেষ করে যারা শোষক ও শোষিতের কথা বলে,তারা কেন পক্ষপাতভাবে শুধুমাত্র একপক্ষের সর্মথনে বিবৃতি দেয়। পাহাড়ের সাথে সাথে কি তাদের মগজও পুড়তে শুরু করেছে! হয়তো বা তাই। আজ সময় এসেছে পার্বত্য চট্টগ্রামের সুশীল সমাজের অন্তত এই দুযোর্গের সময় এক হয়ে কাজ করার। পাহাড়ী কিংবা বাঙ্গালী যারা নেতৃত্বস্থানীয় আছেন,তাদের আবেগ কিংবা উস্কানী না দিয়ে সহনশীলতার পরিচয় দেয়া উচিত।
কারন এই সমস্যা আমাদের নিজেদের সমস্যা, বাইরের কেউ এসে তা সমাধান করবে না। বড়জোড় কোন না কোন পক্ষে বিবৃতি দিবেন আর আমাদের মাঝে আরো ক্ষোভ বাড়বে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।