প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেতার উদ্দেশে বলেছেন, বিএনপি নেত্রী ক্ষমতার জন্য উন্মাদ হয়ে গেছেন।
উনি মানুষের শান্তি চান না, অশান্তি চান। অশান্তি বেগমের মনের আগুনে জনগণ জ্বলেপুড়ে যাচ্ছে। দয়া করে মনের আগুন মনে রাখুন। ওই আগুনে বাস জ্বালিয়ে মানুষ পোড়াবেন না।আওয়ামী যুবলীগের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, নমনীয় যতটুকু হওয়ার হয়েছি আর নয়, যথাসময়ে নির্বাচন হবে। যতই চেষ্টা করুন না কেন, কেউ নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমি নিজে বিরোধীদলীয় নেতাকে রেড ফোনে ফোন করেছি।
সংলাপে বসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি। হরতাল প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছি। আসলে উনি নির্বাচন চান না বলে আমার ডাকে সাড়া দেননি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে বলে উনার মনে বড় ব্যথা। যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ভূমিমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ প্রমুখ।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেলা পৌনে ১২টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে 'রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম' শীর্ষক একটি জীবনীগ্রন্থে মোড়ক উন্মোচন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু (চলচ্চিত্র), রফিকুল ইসলাম (ভাষা- মরণোত্তর), মুশফিকুর রহিম (খেলাধুলা), সিদ্দিকুর রহমান (খেলাধুলা), মোহাম্মদ এ আরাফাত (গণমাধ্যম) এবং ঝর্ণা বেগমকে (সাহসিকতা) বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ পুড়িয়ে আন্দোলন নয়, মানুষ পোড়ানো বন্ধ করুন। আন্দোলন করলে রাস্তায় নামুন, দেখা যাবে কার কত শক্তি আছে।
তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি আবারও আহ্বান জানিয়ে বলেন, আন্দোলন করে কী পাচ্ছেন? নির্বাচনে আসুন। চাইলে আমি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ যে কোনো মন্ত্রণালয় দিতে রাজি আছি। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা জনগণের ভোটের অধিকারে বিশ্বাস করি। দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করি। বিশ্বদরবারে দেশকে রোল মডেল বানিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ব্যর্থ লোকেরা আমাদের বুদ্ধি-পরামর্শ দেন, আবার রাষ্ট্রপতির কাছেও যান। তারা তাহলে কেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকা অবস্থায়ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারলেন না? কেন ব্যর্থ হলেন? আপনাদের ব্যর্থতার কারণেই তো তিন মাসের তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুই বছর ক্ষমতায় ছিল। এখন আমাদের সবক দিতে আসেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।