আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

||*_*উদ্দেশ্য , বিধেয় এবং ..... পরিনতি *_*||

এই ব্লগের সব লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
চিন্তার সাথে কাজের যোগসূত্রের মাঝে যদি এক্সট্রা কিছু ঘটে যায় তবে মন্দ কি ? এমনই কিছু এলেবেলে জিনিস হঠাৎ মাথায় আসতেই ভাবলাম লিখেই ফেলি কিছু আবজাব এলেবেলে ঘটনা .... অনেক বছর আগের কথা, আমাদের একতলায় ইটের গাথুনির কাজ প্রায় শেষের পথে ... কোন বিশেষ একটা কারনে চরম ত্যাক্ত অবস্হায় অশান্তিপূর্নভাবে দিনাতিপাত করছি ... এমন সময় আব্বু বললেন ... যাও তো একটু দেখে এসো ওরা ঠিকঠাক মত কাজ শেষ করছে কি না ... গজগজ করতে করতে গিয়ে দেখি কেবল মাত্র ওরা একটা দেয়ালের গাথুনিক কাজ শেষ করেছে ... ইউ শেপের দেয়ালের ঠিক মাঝখানে একটা বড় জানালার জায়গা ... আর তার দু পাশ দিয়ে পুরো দেয়াল ছাদ পর্যন্ত উঠে গিয়েছে ... প্রথমে একটা খোচা মারলাম... দেখলাম বাহ, অল্প অল্প নরম আছে সিমেন্ট কিন্তু গাথুনি চমৎকার... এর পরে একটা ঘুসি মেরে দেখলাম ভালই শক্ত আছে ... এবার একটু দুরে গিয়ে দৌড়ে এসে একটু ফ্লাইং কিক মারতেই হুড়মুড় করে ধপাস !!!! ... জানালার এক পাশের গাথুনি পুরোপুরি ধ্বসে পড়ে গেল ... খবর টা আব্বু জানতেই তাকে বললাম --- আমি তো শুধু গাথুনি টেষ্ট করছিলাম .... দেয়ালের গাথুনি ঠিক হলে তো এমন হওয়ার কথা না ... আমার নানাভাই আর বড় মামা দুজনেই ছিলেন শখের শিকারী আর আমি তাদের একান্ত বাধ্যগত শিষ্য, তাই বড় শখ করে এয়ারগান চালানো শিখছিলাম ... কিন্তু কি আর করা ... অত ছোট বয়সে এয়ারগানের ভারটাই আমার নিজের সমান তো গুলি করবো কোথায় ... শেষ মেষ আর কিছু না পেয়ে বেচারা কলা গাছকেই টার্গেট করা হয়েছিল ... শুধু কি তাই , এর পরে গাছের ভিতরে বুলেট টা কতটা ঢুকেছে সেটা মাপার জন্য স্কেল ঢুকাতে গিয়ে কলাগাছের অর্ধেকটাই কেটে ফেলতে হয়েছিল ... এর পরে কর্তিত কলাগাছের দুঃখ সহ্য করতে না পেরে তাকে পুরোপুরি ধরাশয়ী করে ভেলা বানানোর পরিকল্পনা করা হলো ... কিন্তু একটা কলাগাছ দিয়ে তো আর ভেলা বানানো যায় না, সুতরাং উপায়ন্তর না দেখে আরো কয়েকটা কলাগাছ কেটে ফেলে এর পর ভেলা বানিয়ে পুকুরে নামিয়ে দেয়া হলো ... কিছু দিন আগে আমার এক বন্ধু শখ করে টেকি শিল্পে অবদান রাখার প্রয়াসে বড়ই উৎসাহিত হয়ে নিজে নিজেই একটা ওয়েব সাইট বানিয়ে ফেলে আমাকে বললো ... দেখ তো কেমন হয়েছে , দেখে বললাম - ভাল ই তো লাগছে ... চালায়ে যা ... তখন সে বললো - একটা ঝামেলা আছে, আমি আসকাইলাম কি সমস্যা ? ... সে বললো - আমার এক পরিচিত ছেলে আছে , সে যদি জানে আমি এই কাজ ধরেছি তো নিশ্চিত আমার সাইট কে ডাউন করে দিবে, এটা থেকে রক্ষার কোন উপায় আছে ? ... আমি নন-টেকি মানুষ তাই না বুঝেই বেকুবের মত বলে বসলাম -- তার আই পি এড্রেস ব্লক করলে কেমন হয় ? ... যেমন কথা তেমন কাজ, বন্ধু আমার নিজে নিজেই এ জিনিস নিয়ে গুতাগুতি শুরু করে দিলো ... পরের দিন আমাকে বলে দোস্ত আমার সাইট টা দেখতে পাস ? আমি আগের দিনের লিংক থেকে গিয়ে দেখলাম ঠিক ঠাক ই আছে ... পরে আসকাইলাম - ঘটনা কি ? ... দোস্ত কইলো -- আইপি ব্লক করা যায় কিনা টেষ্ট করতে গিয়ে নিজের আইপি ব্লক করে বসে আছি কালকে থেকে ... এখন কি করি ? ... ক'দিন আগে এক মুরুব্বী বড় কষ্টের সাথে নাকি বাসায় বেড়াতে আসা তার ছেলের বন্ধুদের সাথে বলছিলেন -- আমাদের সময়ে আমরা বড়দের সম্মান করতাম, মানুষকে সাহায্য করতাম ... আজকাল সে সব আর নেই বাবা রা ... কেউ কাউকে সম্মান করে না , সাহায্য করে না ... পারলে তোমরা এমন হয়ো না ... কথাগুলো ওদের মনে বড়ই দাগ কেটে গিয়েছিল ... তাই তো সেখান থেকে বের হতেই দেখে সামনে এক গাড়ির সাথে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যাওয়া রিক্সায় নীচে থেকে এক আপু বের হতে চেষ্টা করছেন ... রিক্সাওয়ালাও ব্যাথা পেয়েছে ... ওরা চারজনের মধ্যে দু-জন দৌড়ে গিয়ে গাড়িওয়ালাকে ধরে বের করে আনলো আর জিজ্ঞেস করতে লাগলো এমন হলো কিভাবে, একজন রিক্সাওয়ালাকে ধরে পাশে নিয়ে বসালো, আর শেষ জন নীচে পথে থাকা আপুর হাত ধরে টেনে বের করে আনলো বাইরে .... বাইরে আসতেই উনি চিৎকার দিয়ে উঠে বললেন -- সুজোগ পেলেই মেয়েদের হাতে ধরতে হবে নাকি, তোদের বাড়ী মা বোন নাই ? ওদের সম্মান করতে জানিস না তোরা ? দেখে তো ভদ্র ঘরের ছেলে মনে হয় , কাজের বেলায় তো "ç'!('ç!(è'ç!(è'ç!(è'ç!(ç ...... ঐ আপুর সেই জ্বালাময়ী বক্তৃতা শোনার পর ওরা চারজনে ভাবতে লাগলো ... ওরা কি করতে এসেছিল , কি হতে পারতো .... আর কি হয়ে গেল .... এখন ওরা আসলেই দ্বিধান্বিত ---কি করবে ওরা ?
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।