চতুর্মাত্রিক.কম (choturmatrik.com)
একুশের ভোর আমার বেশ পরিচিত। ছোটবেলা থেকে খুব ভোরে উঠেই শহীদ মিনারে যেতাম। দূর থেকে দেখতাম লাল সূর্য পিঠে নিয়ে সাদা উঁচু মিনার তিনটা!
রাতে প্রথম প্রহরে একবার শহীদ মিনার দেখতে গিয়ে যে ভীড় ও নিরাপত্তা প্রহরী দেখেছিলাম, তাতে পরের বার থেকে সে সময়ে যাওয়ার চিন্তা বাদ দিয়েছি। গভীর রাতে মিনারে যায় নেতা ও মাথা'রা, আমরা সাধারণ মানুষ এখনও ভোর থেকে যেতে পছন্দ করি। এবারে একটু ব্যতিক্রম হলো, গেলাম দুপুরে- কাঠফাটা রোদ ছিলো আজ।
তার মধ্যেই পাবলিক লাইব্রেরির সামনে থেকে হেঁটে হেঁটে বইমেলা পেরিয়ে দোয়েল চত্বর ঘুরে শহীদ মিনারের সামনে হাজির!
ভেতরের পুলিশ আর আধা-পুলিশের প্রহরার ফাঁক গলে দুয়েকটা ছবি তুললাম। তারপরে সম্ভবত হোমরা চোমরা কেউ আসবেন (!) বলে আমাদের নামিয়ে দিলো বেদী থেকে।
দূর থেকে তুললাম এটা। লেন্সের দৈর্ঘ্য কম হবার কারণে বিরাট আক্ষেপ হলো!
পাশেই দেখি বিরাট মজমা। স্কুটি পেপ বাইক চালাচ্ছেন একজন শাড়িপরিহিতা!! পুরাই ঢিসুম ঢিসুম কারবার।
পেছনে প্যাসেঞ্জারসহ তাকে তুলে নিলাম ক্যামেরায়।
প্রথমালু, ঘ্রামিনফুন, টেলি ও রেডিও মিডিয়ামগুলো মিলে যে প্রহসনটি করলো, তার একটি বিলবোর্ড। আজকের সবচেয়ে বেদনাদায়ক দৃশ্য, ভাষা সৈনিকরাও যে প্রহসনের ঘুঁটি হলেন। বেদীতে দাঁড়িয়ে দু'মিনিট নীরবতা পালন না করে তারা কর্পোরেট ফুল ছুঁড়লেন-- এ যেন উৎসব-মোচ্ছব!! (কী আছে দুনিয়ায়? এই নিস্পৃহ অনুভূতিশূন্যতা ধীরে ধীরে আমাদের গ্রাস করছে, আমরা কী টের পাচ্ছি?)
বইমেলা ঢোকার পথে দাঁড়িয়ে তুললাম এটি। আমার কাছে এই ভাস্কর্যটি খুব বিস্ময়কর লাগে! নাম ভুলে গেছি, সহৃদয় কেউ মন্তব্যে জানিয়ে দিলে খুশি হবো খুউব!
তিন নেতার মাজার।
শেরে বাংলা, সোহরাওয়ার্দি, খাজা নাজিমুদ্দিন। (পারভেজ ভাইকে ধন্যবাদ)
বইমেলায় ঢোকার গেট। বিকেলবেলায় বড়ো মনোহর লাগছিলো। একুশ! একুশ!
এই বাবুটিও মায়ের কোলে চড়ে এসে গেছে ভীড়মুখর আজকের বিকেলে। আমার ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে ছিলো সে অনেকক্ষণ।
তার জন্যে ভবিষ্যত কেমন রাখছি আমরা? বড়ো ভয় হয় তার জন্যে!
****
- অনীক আন্দালিব
২১.২.১০
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।