অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে আংশিক প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন গ্রামীণ ব্যাংক কমিশনের সদস্য আজমালুল হোসেন কিউসি। সেক্ষেত্রে চলতি মাসে আর চূড়ান্ত ও পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা হচ্ছে না। বিলুপ্ত হওয়া কমিশনের চেয়ারম্যান মামুন-উর রশীদ সোমবার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এক ই-মেইল বার্তায় এ তথ্য জানান। তিনি বর্তমানে নেপালের কাঠমান্ডুতে রয়েছেন।
মামুন আরও জানান, তার দেশে ফিরতে সপ্তাহখানেক লাগতে পারে। এর পরই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে। তিনি নিজ হাতে তা অর্থমন্ত্রীর কাছে জমা দেবেন। তবে প্রতিবেদন জমার সময়সীমার ব্যাপারে তিনি নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি।
সূত্র জানায়, আজমালুল হোসেন কিউসি গত বুধবার একটি প্রতিবেদন জমা দেন। মূলত এটি একটি আংশিক প্রতিবেদন। অর্থমন্ত্রী আজমালুল কিউসির কাছে তা চেয়েছিলেন। জানা গেছে, চূড়ান্ত প্রতিবেদনে নতুন কিছু থাকছে না। গ্রামীণ ব্যাংক ভাঙার ব্যাপারেও সুপারিশ থাকছে না। অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদনে যেসব সুপারিশ ছিল, সেগুলোই চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সংযোজন করা হচ্ছে। গ্রামীণ পরিবারের অন্য ৫৪টি প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারেও কোনো সুপারিশ করবে না কমিশন। কারণ সময় স্বল্পতায় কমিশন গ্রামীণ ব্যাংক ও গ্রামীণফোন ছাড়া অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে পারেনি।
সূত্রমতে, রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় কমিশন সঠিকভাবে কাজ করতে পারেনি। ফলে গ্রামীণ ব্যাংকের ভবিষ্যৎ কী হবে, গ্রামীণের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে চলবে, এ ব্যাপারে প্রতিবেদনে নির্দেশনা থাকছে না। তবে গ্রামীণফোনের শেয়ার ও গ্রামীণ ব্যাংকের আর্থিক বিষয়াদির ব্যাপারে সুপারিশ থাকবে। বিশেষ করে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার ক্ষেত্রে অর্থাৎ পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগে কিছু সুপারিশ করবে কমিশন। এক্ষেত্রে সরকার গ্রামীণ ব্যাংক আইন-২০১৩ প্রণয়নের যে উদ্যোগ নিয়েছে, সে অনুযায়ীই সুপারিশ করা হবে। মূলত এ জন্যই বিলম্ব হচ্ছে। জানতে চাইলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ড. এম আসলাম আলম বলেন, 'গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে পরিবর্তন আনবে না সরকার। অর্থমন্ত্রী যা আগেই বলে দিয়েছেন।'
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।