মোহাম্মদ আবুল হোসেন: টিউশন ফি যোগাতে নিজের ‘কুমারিত্ব’কে নিলামে তুলেছে নিউজিল্যান্ডের ১৯ বছর বয়সী এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী। ইন্টারনেটে এজন্য প্রকাশ্য বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন তিনি। এতে নিজেকে আকর্ষণীয়, সুস্থ ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী বলে দাবি করেন। বলেন, কখনো তিনি শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন নি কারো সঙ্গে। অর্থাৎ তিনি নিজেকে কুমারী হিসেবে দাবি করেন।
অল্প সময়ের মধ্যে সঙ্গে সঙ্গে তাতে সাড়া দেন ১২ শতাধিক ব্যক্তি। তাদের মাঝ থেকে একজনকে বেছে নিয়েছেন ওই ছাত্রী। নিলামে সর্বোচ্চ দর তুলেছেন এক ব্যক্তি। তিনি তাকে তার কুমারিত্বের বিনিময়ে ৩২ হাজার ডলার দেবেন। ওই ছাত্রী এই দরকেই মেনে নিয়েছেন।
গতকাল এ খবর ছিল ইন্টারনেটের প্রায় ওয়েবসাইটে। এতে বলা হয়েছে, ওই ছাত্রী তার নিজের পূর্ণাঙ্গ পরিচয় প্রকাশে অনীহা জানিয়েছেন। তিনি নিজেকে পরিচয় দিয়েছেন ‘ইউনিগার্ল’ হিসেবে। তিনি রহববফ.পড়.হু ওয়েবসাইটে নিজের কুমারিত্বকে নিলামে তোলার ঘোষণা দেন। এতে অল্প সময়ের পরেই ব্যাপক সাড়া পড়ে যায়।
১২০০’র বেশি মানুষ তাকে বিভিন্ন অংকের অর্থ প্রসত্মাব করে। কিন্তু ইউনিগার্লের কথা- আমি দেহব্যবসা করব না। আমি টিউশন ফি যোগাতে এমন পদড়্গেপ নিয়েছি। সেজন্যই আমার ডাকে সাড়া দেয়া ব্যক্তিদের মাঝ থেকে আমি একজনকে বেছে নিয়েছি। তিনি তার ওই ওয়েবপেজে বলেছেন, বিজ্ঞাপনের পর আমাকে ৩২ হাজার ডলার প্রসত্মাব করা হয়েছে।
আমি এত অর্থ পাব তা কল্পনাও করতে পারি নি। নিলাম শেষে তিনি লিখেছেন- ৩০ হাজারের বেশি মানুষ আমার বিজ্ঞাপন দেখেছেন। ১২০০ সাড়া দিয়েছেন। তাদের সবাইকে জানাই ধন্যবাদ। সারা বিশ্বের মধ্যে নিউজিল্যান্ড দেহব্যবসার ড়্গেত্রে সবচেয়ে উদার।
এরকম একটি দেশে কুমারিত্ব নিলামে তোলার ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় হচ্ছে। সেখানে আইনগতভাবে একজন নারী তার প্রয়োজনীয় অর্থ দেহব্যবসা করে আয় করতে পারে। অভিভাবকদের সংস্থা প্যারেন্টস ইনকরপোরেশন-এর ব্রম্নস পিলব্রো বলেছেন- ওই ছাত্রী তার টিউশন ফি জোটাতে নিজের দেহ নিলামে তুলেছে, এটা অত্যানত্ম দুঃখজনক ঘটনা। তবে যৌন বিষয়ে অভিজ্ঞ বেস্নয়ার বিশপ এ ঘটনাকে দেহব্যবসার আদর্শ রূপ বলে বর্ণনা করেছেন। তবে কুমারিত্ব নিলামে তোলার ঘটনা এটাই প্রথম নয়।
গত বছর নাতালি ডিলন নামের এক মার্কিন ছাত্রীও এমন কাজ করেছিলেন। তিনি মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করতে এ পদ্ধতির আশ্রয় নিয়েছিলেন। গত সপ্তাহে আয়ারল্যান্ডের এক ষোড়শী ইন্টারনেটে তার কুমারিত্ব নিলামে বিক্রির বিজ্ঞপ্তি দেন। কিন্তু তার নিলামে যারা সাড়া দেন তাদের মধ্যে একজন সংবাদকর্মী- এমন কথা জানার পরই তিনি ওই বিজ্ঞাপন প্রত্যাহার করে নেন। সান ডিয়েগোর ২২ বছরের এক যুবতী দাবি করেছেন তিনি কুমারিত্ব নিলামে তুলে পেয়েছেন ৩৭ লাখ ডলার।
নেভাদার এক নিষিদ্ধ পলস্নীর মাধ্যমে তিনি কুমারিত্ব নিলামে তোলেন। গত বছর ওয়ার্ল্ড সিরিজ বেসবল গেমের সময় ফিলাডেলফিয়ার এক নারী টিকিটের বিনিময়ে দেহ বিলানোর ঘোষণা দেয়ার পর তার বিরম্নদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। ওদিকে নিউজিল্যান্ডের ওই ছাত্রীর বিষয়ে নিউজিল্যান্ড প্রসটিটিউটস কালেকটিভ নামের একটি গ্রম্নপ বলেছে, ওই ছাত্রী অনলাইনে দেহ নিলামে দিয়ে আসলে দেহব্যবসায় নাম লিখিয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।