আমি এখন আছি তবে থাকবো কিনা জানি না। "কবি'র কবিতা সে তো পাঠকেরই ঋণ। "
উজার করা শীত
উত্তর- দক্ষিন,পূর্ব-পশ্চিম.....সারা দেশে।
কম্বল গায়ে দিয়ে কবি ভাবে ....
গরীবদের কথা........লেখে কবিতা....।
গরীব,শীতার্ত মানুষের উষ্ণ নিশ্বাসে
শুধু আক্ষেপ আর আর্তি
জমে জমে কুয়াশা হয়ে ঝড়ছে...
সূর্য ও করতে পারে না কিছুই...
লজ্জায় ওঠে অনিয়মিত !
উঁকিঝুঁকি দিয়ে হারিয়ে যায়..
গরীবের ভরসা আল্লাহ......
ভাবে...গতবার পাওয়া শীতকাপড়টা না বেচলেই পারতো..।
কিন্তু পেট সায় দেয় না !
হাতে হাত মোজা
গায়ে কাশ্মিরী শাল চাপিয়ে
সারকার ভাবে আর ভাবে
উদ্যোগের ও অভাব নাই..
নেই ঘুম টেলিভিশন ক্যামরা'র।
অন্তজার্তিক স্বংস্থা গুলো পাই এক মহা সুযোগ
'চতুর মূলধন বাজারি'
কিনো কিনো আস্থা কিনো
দরিদ্র মানুষের আস্থা
ভাই...খুবই স্বস্তা....
সরকার আগে থেকেই প্রণম্য অবস্থানে !
গরীব শীত-কাতর মরছে ঠান্ডায়..
জমে জমে পাথর হচ্ছে তাদের হাত-পা-চোখ
নাকের উপর ঘুরছে অভাব....। অমিত্রাক্ষর ছন্দে...।
সকালে আজানের পরই শোনা যায়.....গায়েবানা জানাজার সময়সূচী।
ঐদিকে কবি কবিতা লেখে..........
চাকরিজীবিরা সুয়েটার,কোট,গলাবন্ধ বেঁধে
অফিস করে .......সংবাদপত্র পড়ে
নয়টা-ছয়টা 'হট এয়ার' খেয়ে বাসায় যায়
গরম কালো চা-কাপ হাতে নিউজ চ্যানেলে দেখে
গফুর-যতীনের কী অবস্থা....।
পাড়ার ক্লাব
বাৎসরিক 'পিকনিক ও গরীবদের মাঝে শীত ব্স্ত্র দান' নিয়ে
আলোচনা চলে...শুরু হয় শীত বস্ত্র সংগ্রহ....।
নিজের পড়া অতিরিক্ত গরম কাপড় দিয়ে দেই
কেউ কেউ আ-পড়া ও দেয়
'মনে কিছুটা উষ্ণতা অনুভব করি, অক্ষমতার চাপ কমাই'
পলিথিনে মুড়ে নতুন-পুরাতন কাপড় এক ভিন্ন আমেজ পায়!
সাধারন সদস্য থেকে সভাপতি
যত্ন সহকারে গরীব খোঁজে
চলে উষ্ণ বস্ত্র দান ....চলে পিকনিক..।
দুএকদিন পরে
ক্লাবের সাধারন সম্পাদক, বাজারে যায় নতুন গরম কাপড় পড়ে
কবিরা ভ্রুক্ষেপহীন
অক্ষমতা ঢাকে...কবিতা লেখে..কম্বল মুড়ে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।