আনাড়ী রন্ধন শিল্পীর ব্লগ B-)। ব্লগের বাজে-মানহীন লেখাগুলোর মাস্টার পিস দেখতে চাইলে এই ব্লগারের পোষ্ট গুলো পড়ে দেখতে পারেন। কথা দিচ্ছি, নিরাশ হবেন না। B-)
হুমায়রা নুসরাত, পাঁচ বোনের মাঝে সবার ছোট। ধনী বাবার আদরের দুলালী।
মা-বাবার আলাদা আদর রয়েছে তার জন্যে। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক কৃতিত্বের সাথেই পাশ করেছে। বড় দুই বোনের অনেক আগেই বিয়ে হয়ে গেছে। তার পরের দুই বোন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাল দুইটি সাবজেক্টেই পড়া-শুনা করে ফাইনাল ইয়ারে। সব বোনদের চেয়ে সব দিক থেকেই আলাদা।
বড় বোনেরা যখন নিজেদের ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা-ভাবনায় ব্যস্ত তখন সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। মেয়েদের চাকুরী করাটা সে পছন্দ করেনা কিন্তু ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখে ঢাবিতে পড়বে। প্রস্তুতিও নিয়েছিল সেভাবে। কিন্তু কপাল খারাপ প্রথবার চান্স হয়নি। বাসা থেকে জোর করে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে ইংলিশে ভর্তি করালেও প্রাইভেটে পড়ার ইচ্ছা তার নেই।
পরের বছরের জন্য আবার রাত-দিন পড়াশুনা করে। কিন্তু হায়! পরের বারও কোথথাও চান্স হয়না তার। আগে থেকে মানসিক ভাবে কিছুটা অসুস্থ ছিল এর পরে আরো বেশী ভেংগে পড়ে। অনেক জোর জবরদস্তি করে বড় বোনেরা ইডেনের ফরম কেনায়। ভাগ্যের লিখন না যায় খন্ডন(!) পরীক্ষার ঠিক আগের দিন তার বাবা চলে যান না ফেরার দেশে।
দেওয়া হলনা শেষ পরীক্ষাটিও!
জানিনা কেমন আছেন। সাহস হয়নি দেখা করার।
আমার অনেক প্রিয় মানুষের মাঝে একজন আমার এই আপুটি। পরীক্ষার আগে একসাথে পড়েছি। বাংলা বইয়ের গল্প-কবিতা গুলো উনার সাথেই পড়েছি, যা আমি আগে পড়িনি।
অনেক গুরুত্বপূর্ন তথ্য উনি দিতেন যা আমি কল্পনাও করতে পারতাম না।
আল্লাহ্ কি রেখেছেন উনার ভাগ্যে জানিনা। ভাল কিছুই হোক। হাসি ফুটুক উনার মুখে। নুসরাত আপু, অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্যে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।