। ।
ছোট বেলাই একটা বিটিভি তে ক্যাপটেন প্ল্যানেট নামক একটা কার্টুন দেখাতো ,অসাধরন লাগতো দেখতে , আসলে সেখানে ক্যাপটেন প্ল্যানেট ছিলো পাঁচটি শক্তির সমন্বিত রুপ যা ছিলো পাচজনের পাচটি আংটিতে । ক্যাপ্টেন প্লানেত এসে ইয়া বড় বড় দানবের মোকাবিলা করতো ,
বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম হলো আমাদের কাছে সেই ক্যাপ্টেন প্ল্যানেটের মতো কোটি কোটি মানুষ এর wish এ তৈরি বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমটি । বাঘা বাঘা দলকে হারিয়ে অবাক করে দিচ্ছলো সবাইকে ।
এইতো সেইদিন সামনে অস্ট্রেলিআ সিরিজ বিসিবির কর্মকর্তাদের তার হাতে পায়ে ধরার অবস্থা । তার এককথা, না আমি খেলতে পারবোনা সামনে আমার এক্সাম ,তারপর দিন ভারতে গিয়ে ঠিক এই ভাবে দারিয়ে গেলো সে । সে দিনের কথা কেমনে ভুলি ভাই ।
তারপর অনেক দিন গরালো,তিনি এখন নিয়মিতো ডাক পায়া খেলোয়ার দের একজন। যে কয়জন অসময়ে হাল ধরেছিলো তারা আজ বাংলাদেশ টিমে অনিয়মিত ।
তাদের একজনকে শেষ মেশ দোকান খুলে বসতে হলো এই নস্ট সমাজে টিকে থাকার জন্য। হুম সৈয়দ রাসেল এখন একজন পাক্কা দোকানদার ।
ক্রিকেটার সৈয়দ রাসেল যে কারনে কাপড়ের দোকানদার!
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে যখন বাঁ হাতি পেসার চরম অকাল, তখনই জাতীয় দলে ঢুকেন সৈয়দ রাসেল। ২০০৫ সালে অভিষেক হওয়ার পর ২০০৭ সাল পর্যন্ত ছয়টি টেস্ট খেলেছেন তিনি। ওয়ানডেতেও এ...কই বছর অভিষেক হয় তার।
এরপর ২০১০ সাল পর্যন্ত মোট ৫২ টি ম্যাচে লাল-সবুজ জার্সি পড়েছেন তিনি।
জেমি সিডন্স কোচ থাকাকালীন সময়ে হঠাৎ বাদ দেওয়া হয় সৈয়দ রাসেলকে। তারপর আর দলে ডাক পাননি বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘দুর্লভ’ এই বাঁ হাতি পেসার। দলে তো ডাক পানইনি, পাইপলাইনেও এখন আর নেই তিনি। রাসেলের এখন সময় কাটে নিজের কাপড়ের দোকানে বিক্রি-বাট্টায় ব্যস্ত থেকে! ছয় ফুট উচ্চতার এই পেসারের ভাগ্যলিপি এতোটাই নির্মম।
সুইংয়ে অসাধারণ দক্ষ এই পেসার এক সময় ছিলেন দলের অপরিহার্য অংশ। বর্তমানে ফুল টাইম কাপড়ের দোকানদারি করে কাটছে তার সময়। পেস আর সুইংয়ের বদলে রাসেলের জগত এখন কাস্টমার ও দোকানের কর্মচারীদের মধ্যে সীমিত!
ছয় বছরে ৫২টি ওয়ানডে খেলে মোট ৬১টি উইকেট দখল করেছিলেন রাসেল। রান কম দেওয়া এবং ইনিংসের শুরুতে ব্রেকথ্রো এনে দেওয়ার দারুন ক্ষমতা ছিলো তার। সময়ের অন্য যেকোনো বোলারের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন তিনি।
শ্রীলঙ্কার সাথে অভিষেক ম্যাচেই ১০ ওভারে ৪২ রান দু’টি উইকেট নিয়ে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন রাসেল।
বগুড়ায় শ্রীলঙ্কাকে হারানোর ম্যাচে দারুণ পারফর্ম করেছিলেন এই বাঁ হাতি পেসার। ১০ ওভার মাত্র ২৮ রান দিয়ে নিয়েছিলেন দু’টি উইকেট। এর মধ্যে দু’টি মেডেন ওভারও নিয়েছিলেন তিনি। এরপর ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে ভারতকে হারানোর ম্যাচেও দারুণ বোলিং করেছিলেন রাসেল।
ওই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে তেমন রান করতে পারেনি ভারত। এতে রাসেলের অবদানই ছিলো সবচেয়ে বেশি। ১০ ওভারে ৩১ রান দিয়ে দু’টি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ২০০৭’র বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর ম্যাচেও রাসেল দারুণ অবদান রেখেছিলেন। ওই ম্যাচে ১০ ওভার ৪১ রান দিয়ে তিনি নিয়েছিলেন দু’টি উইকেট।
সব মিলিয়ে দীর্ঘদিন জাতীয় দলের হয়ে খেলার মতো সামর্থ্য ছিলো রাসেলের। কিন্তু নিয়তির পরিহাসে সেই তিনি-ই এখন কাপড়ের দোকানে বসে সময় কাটাচ্ছেন। রাসেলের এ পরিণতি জাতীয় নির্বাচকদেরও কোনো উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা। বাংলাদেশ ক্রিকেটের শুরুর যুগের অনেক প্রতিভার মতো রাসেলকেও হয়তো হারিয়ে যেতে হবে মহাকালের অন্ধকারে। ছবিঃ নিউজ এজেন্সি টোয়েন্টিফোর,
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।