সাতক্ষীরা জেলার তালা থানাধীন বারাত জগদানন্দকাটি গ্রামের অসহায় দলিত শ্রেণী ভূক্ত ঋষি স¤প্রদায়ের প্রায় ১০০ টি পরিবারের বসবাস। গ্রামের সকল প্রাইমারী পড়–য়া শিার্থী স্থানীয় ৩৮ নং বারাত মনোহর পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে। গত ১২ জানুয়ারী ২০১০ ইং তারিখ সকালে গ্রামের নারান দাসের শিশু সন্তানকে তারই আত্মীয় ও শুভাকাঙ্খী (অভিভাবক) রেখা রানী দাস উক্ত স্কুলে ভর্তি করাতে নিয়ে গেলে স্কুলের শিকিা কৈলাষী রাণী তাকে উক্ত শিশুকে ভর্তি না করে অকথ্য ভাষায় ছোট জাত বলে গালি গালাজ করে। পরে পাড়ার স্নাতক শ্রেণীতে অধ্যায়নরত পলাশ দাস তাকে (শিশুটিকে) পুনরায় ভর্তি করাতে নিয়ে গেলে স্কুলের সহকারী শিক শ্রী কান্ত সরদার এবং কৈলাষী রানী একযোগে তাকে মুচি এবং ছোট জাত বলে অকথ্য ভাষায় অপমান অপদস্থ করে স্কুল থেকে বের হওয়ার নির্দেশ দেয়। পরে স্থানীয় কয়েকজন মানুষের চাপে শিকরা ভর্তি করাতে বাধ্য হয়।
উক্ত স্কুলে অধ্যায়নরত গ্রামের দলিত শিার্থীরা অভিযোগ করে বলেছেন, অত্র স্কুলের শিকরা আমাদের স্কুলের ছেলেমেয়েদের দিয়ে পায়খানা ও অন্যান্য আসবাবপত্র পরিস্কার করায় যা অন্য স¤প্রদায়ের শিার্থীদের েেত্র খুবই কম। নিম্ম বর্ণের হওয়ায় শ্রেণীকরে পিছনের বেঞ্চে বসতে বাধ্য করা হয়। শিকদের উদাসীনতার কারণে বিগত কয়েক বছরের তুলনায় বর্তমানে স্কুলের শিার মানের অবনতি ঘটছে। গ্রামের অভিভাবকরা আরও অভিযোগ করে বলেন যে, দলিত পাড়ার শিশুদের উপযুক্ত বয়স হওয়া সত্ত্বেও প্রাপ্ত বয়স নয় এ ধরনের অজুহাতে প্রায়শ: স্কুলে ভর্তি করাই না। যা বাংলাদেশ সংবিধান ও সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষনার চরম লংঘন।
উক্ত শিকদ্বয় যে অপমান আমাদের করেছে তা মানুষ হিসাবে আমাদের মানবাধিকার লংঘন করেছে। এ ধরনের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির ফলে ক্রমশ: আমাদের মত পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মানুষরা আরও পিছিয়ে পড়ছি। এবং সমাজের মূলস্রোতধারার মানুষদের সঙ্গে শিাসহ অন্যান্য েেত্র এগিয়ে যেতে পারছি না। এহেন অবস্থায় উক্ত গ্রামের বাসিন্দারা গ্রামের ছেলেমেয়েদের প্রতি এই সকল শ্রেণী, বর্ণ বৈষম্যের আশু বিলোপ সাধনে নিম্মোক্ত দাবি করেন।
১।
অবিলম্বে বর্ণ বৈষম্যকারী শ্রীকান্ত সরদার ও কৈলাষী রানীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে।
২। আমাদের ছেলেমেয়েরা যাতে সমমর্যাদা নিয়ে স্কুলে ভর্তি ও শিা গ্রহণ করতে পারে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৩। অত্র দলিতদের মর্যাদা ও মানবাধিকার রায় এগিয়ে আসতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।