আবারও পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি পেলেন রাজশাহীর সেই সাহসী কন্যা ঝরনা বেগম। ঝরনাকে এবার রাজশাহীর পুলিশ লাইনস স্কুলে পাঁচ হাজার টাকা বেতনে পাঁচ বছরের চুক্তিভিত্তিক চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে পুলিশ কল্যাণ তহবিল থেকে দেওয়া হবে দুই হাজার টাকা, আর স্কুল থেকে দেওয়া হবে বাকি তিন হাজার টাকা। গতকাল বুধবার সকালে রাজশাহী মহানগর পুলিশ কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে পুলিশের কমিশনার আবু সালেহ মো. গোলাম মাহমুদ এই আশ্বাস দেন। তবে ঝরনাকে কোনো ধরনের যোগদানপত্র দেওয়া হয়নি।
শুধু তাঁকে ১ সেপ্টেম্বর পুলিশ লাইনস স্কুলে পিয়ন (এমএলএসএস) পদে কাজের জন্য যোগ দিতে বলা হয়েছে। আবু সালেহ মো. গোলাম মাহমুদ গতকাল প্রথম আলোকে জানান, ঝরনাকে পুলিশ লাইনস কোয়ার্টারে থাকার জায়গাও করে দেওয়া হবে। বাচ্চারা ওই স্কুলে পড়তে পারবে। এর আগে গতকাল সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ঝরনাকে চাকরি দেওয়ার কথা টেলিফোনে প্রথম আলোকে জানিয়ে বলেন, এ-সংক্রান্ত নথিতে সই করা হয়েছে। তবে অস্থায়ী বা চুক্তিভিত্তিক চাকরিতে আগ্রহী নন ঝরনা বেগম।
তিনি চান স্থায়ী চাকরি। প্রথম আলোকে তিনি জানান, ‘চাকরি পাওয়ার জন্য সেদিন পুলিশ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমকে উদ্ধার করতে যাইনি। মানবতার খাতিরে এবং বিবেকের তাগিদেই সাহায্য করতে এগিয়ে গিয়েছিলাম। এর জন্য আমি কোনো প্রতিদান চাইনি। কিন্তু ওই ঘটনার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ কর্মকর্তারা নিজ উদ্যোগে আমাকে সরকারি চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন।
’ ঝরনা আরও বলেন, ‘আমাদের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো নয়, আমি পার্লারে তিন হাজার টাকা পেতাম। আমি তাঁদের কাছে নিজে থেকে চাকরি চাইনি। তাঁরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বলেই আমি এগিয়েছি। কিন্তু অস্থায়ী চাকরি দিলে তো সরকার বদলের সাথে সাথে আমার চাকরিও থাকবে না। এর আগে সিটি করপোরেশন থেকেও চার হাজার টাকা বেতনে আস্থায়ী ভিত্তিতে পিয়নের চাকরি দেওয়ার কথা হয়েছিল।
কিন্তু একটি স্থায়ী চাকরির জন্যই আমি এত দিন ঘুরেছি। ’ প্রসঙ্গত, ‘সাহসী ঝরনার সঙ্গে এমন আচরণ কেন!’—এ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন গতকাল বুধবার প্রথম আলোায় প্রকাশিত হয়। এরপর গতকাল অসংখ্য পাঠক প্রথম আলোর অফিসে যোগাযোগ করে ঝরনাকে আর্থিক ও চাকরি দিয়ে সহায়তা করতে চান বলে জানিয়েছেন। ঝরনাকেও অনেকে টেলিফোন করেছেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।