আমি আমার স্বল্প জ্ঞান থেকে আপনাদেরকে কিছু শেয়ার করতে চাই এবং আপনাদের কাছ থেকে মূল্যবান কিছু নিতে চাই।
'বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম'
খিলাফতের প্রাথমিক ইতিহাসে খলিফার পরেই খালিদ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে আছেন। তিনি ছিলেন একজন তেজস্বী সৈনিক, অসম সাহসী, তাঁর সাহসিকতার সঙ্গে অবিমিশ্র ছিল সুচিন্তিত এবং সদা প্রস্তুত সিদ্ধান্ত। যুদ্ধক্ষেত্রে তাঁর সে আচরন সিরিয়ার বাইজান্টাইনের শাসন এবং পারস্য সম্রাজ্যের ভাগ্য নির্ধারন করে দিয়েছিল, তাই তাঁকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ জেনারেলদের মধ্যে স্থান করে দিয়েছে।
অধিকন্তু বিপদের সময় যখন পরাজয় মানে ইসলাম ধ্বংসের সম্মুখীন হতো সেখানে সর্বদাই তিনি এমন সুকৌশল ও সাহসিকতার সঙ্গে
গুটি চালাতেন যা বিজয় এনে দিত এবং এজন্য তাঁকে আল্লাহর তরবারি উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
ভন্ডনবী তোলায়হাকে দমন করার জন্য মদীনার শ্রেষ্ঠ সেনাবাহিনী
নিয়ে অগ্রসর হন। পথিমধ্যে তিনি বনী তায় উপজাতিকে বশ করেন, যারা বনী গাফতান ও বনী আসাদের মত তোলায়হাকে সমর্থন জানিয়েছিল। তাদের মধ্যে কেউ কেউ যেমন আদী তখনও অনুগত ছিল এবং উপজাতির সাথে খালিদের দূত হিসাবে কাজ করছিল, পুরো গোত্রটাই খালিদের বশ্যতা স্বীকার করে । এই অতিরিক্ত সৈন্য বাহিনী নিয়ে খালিদ বোযাখায়
তোলায়হার বাহিনীর মোকাবেলা করেন। তোলায়হার সাথে ওয়েনার নেতৃত্বে বনী গাফতান উপজাতির সাত শত যোদ্ধা এবং বনী আসাদের বিদ্রোহীরা যোগ দিয়েছিল।
একদিন তীব্র যুদ্ধের পরে ওয়েনা তার লোকজন নিয়ে সরে পড়েন এবং তোলায়হার পূর্ণ বাহিনী পালিয়ে যায়। তোলায়হা নিজে ও তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে সিরিয়ায় পলিয়ে যায়। ওয়েনা ধৃত হয় এবং আরও দু'জন গো্ত্র প্রধানের সাথে তাকে খলীফার নিকট মদীনায় প্রেরন করা হয়। সেখানে তারা অনুতপ্ত হওয়ায় এবং সদাচারনের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় তাদেরকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। পরে যখন বনী আসাদকে মাফ করা হয়, তখন তোলায়হা তাদের নিকট ফিরে আসে এবং ইসলাম গ্রহন করে।
আরও কয়েকটি দোদুল্যমান উপজাতি যাকাত প্রদানসহ ইসলামের অন্যান্য ফরযসমুহ পালনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পুনরায় ইসলাম গ্রহন করে। শুরু হয় খালীদ ইবন ওয়ালিদের বিজয়ের ইতিহাস।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।