কায়ছার
যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে প্রেমিকাকে বিদায়ী চুম্বন দিতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন হেইসং জিয়াং নামের এক যুবক। নিউ জার্সির রাটগার্টস ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি করছেন চীনা ছাত্র জিয়াং (২৮)। লস অ্যাঞ্জেলেসগামী প্রেমিকাকে বিদায় জানাতে গত ৩ ডিসেম্বর রোববার নুয়ার্ক বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন। নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রেমিকাকে দেওয়া তাঁর বিদায় চুম্বন নিয়ে ঘটে গেছে তুলকালাম কাণ্ড।
অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রবেশের ঘটনা ধরা পড়ে বিমানবন্দরের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায়।
হঠাত্ করে বিষয়টি নজরে আসে নিরাপত্তা বিভাগের। সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয় বিমানবন্দরের টার্মিনাল। কয়েক হাজার যাত্রীকে পুনঃ তল্লাশি করা হয়। রাতভর বিমানবন্দরে আটকা পড়ে অসংখ্য যাত্রী। জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় সর্বত্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
‘ব্রেকিং নিউজ’ হিসেবে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো নিউইয়র্ক বিমানবন্দর থেকে সংবাদ পরিবেশন শুরু করে।
অবশ্য এমন তোলপাড় শুরুর আগেই প্রেমিকাকে বিদায়ী চুম্বন দিয়ে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন জিয়াং। ব্যাপক তল্লাশি করেও নিরাপত্তাকর্মীরা ভিডিও চিত্রের সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়। পার্কিংলটে রাখা গাড়ির ভিডিও চিত্র অনুসরণ করে ঘটনার পাঁচ দিন পর পুলিশ জিয়াংকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। নিউজার্সির পিসকাটওয়ে শহরে জিয়াংয়ের ঘরে শুক্রবার রাতে পুলিশ হানা দেয়।
এ সময় তিনি শরীরচর্চায় ব্যস্ত ছিলেন।
জিয়াংকে গ্রেপ্তারের পর বিমানবন্দরের ভিডিও চিত্রটি ব্যাপকভাবে প্রচারিত হচ্ছে। দেখা যায়, নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রেমিকাকে চুম্বন দেওয়ার জন্য জিয়াংয়ের প্রথম দফা উদ্যোগ ব্যর্থ হয় নিরাপত্তাকর্মীর বাধার মুখে। একপর্যায়ে কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মী সরে দাঁড়ালে জিয়াং দ্রুত প্রবেশ করেন নিয়ন্ত্রিত এলাকায়। বাহুবন্ধনে জড়িয়ে প্রেমিকাকে চুম্বন দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
জিয়াংয়ের বিরুদ্ধে গত শনিবার অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগ আনা হয়েছে। বিচারে তাঁর ৫০০ ডলারের জরিমানা এবং কারাবাসের দণ্ড হতে পারে। পুরো ঘটনায় ক্ষুব্ধ নিউজার্সি থেকে নির্বাচিত সিনেটর ফ্রাঙ্ক লুথেনবাগ। তবে পুরো ঘটনা নিয়ে বিব্রত জিয়াং সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। জিয়াংয়ের সহপাঠীরা তাঁর এমন আচরণকে খেয়ালি প্রেমিকের কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণ বলে মন্তব্য করেছেন।
সূত্র প্রথম আলো.
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।