বাংলাদেশে আজকাল ভারতীয় হিন্দি সিরিয়ালের বিজ্ঞাপন সম্বলিত ব বড় বিলবোর্ড দেখা যাচ্ছে। গুলিস্তান মোড়ে বিদায়ী, সিআইডি আর একটা কি যেন সিরিয়ালের বিলবোর্ড চোখে পড়ে প্রায়ই। শুনছি তেঁজগাও এবং আরো কয়েক জায়গায় এ বিলবোর্ডগুলো লাগানো হইসে। আমার কাছে আজব লাগে দেশের কোম্পানী এই বিজ্ঞাপনগুলা লাগানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করলো কেন? টাকাই কি মূল কারণ?
তাহলে এসব বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো চাইলে কি এদেশটাকে কিনে নিতে পারবে না? আর আমাদের দেশের অর্থলোভী লোকগুলা কি তাদের কাছে দেশটা বিক্রি করে দিতে পারবে না? এর মানে কি এই নয় যে দেশের সাথে বেঈমানী করা হচ্ছে? যেমনটা ৭১ সালে রাজাকার, আল-বদররা করেছিলো? তখনকার প্রেক্ষাপটে মানুষ হত্যা ছিলো জঘন্য কাজ আর এখনকার প্রেক্ষাপটে সংস্কৃতি হত্যাও কি একটা সম পর্যায়ের জঘন্য কাজ না? বিদেশী বিলবোর্ডগুলা লাগায়ে সংস্কৃতির একেবারে পায়ের ওর কুড়াল যে মারা হয়েছে সেটা কি কেউ বুঝতে পেরেছে? এদেশে ওইসব সিরিয়ালের যত দর্শকই থাকুক, তারা কেউই বোধহয় চাইবে না যে দেশের মধ্যে বিদেশী এ বিলবোর্ডগুলা লাগানো থাকুক। পণ্যসামগ্রী বিজ্ঞাপন আলাদা বিষয়, কেননা সেগুলা শুধু বাংলাদেশেই নয়।
রেভলন, জর্ডানা এসব কোম্পানীর পণ্যের বিজ্ঞাপন অনেক দেশে দেয়া হয়-কারণ এগুলো আর্ন্তজাতিক মানের পণ্য, সারা বিশ্বে এর ব্যবহারকারী আছে।
কিন্তু ভারতের ওইসব বস্তাপচাঁ সিরিয়াল যেখানে মানুষ মরে যাওয়ার পর আবার বেঁচে ওঠে, একজনের বিয়ে হয় সাত জনের সাথে, ঘুম থেকে উঠে আসা কিশেঅরীকে দেখানো হয় হেভি মেকাপ আর সুড়সুড়ি উদ্রেককারী পোষাক পড়ে রুম থেকে বের হতে-এসব সিরিয়ালের বিজ্ঞাপন আমাদের দেশে কেন?
গ্লোবালাইজেশনের প্রভাব? মোটেও না। এটা আসলে কয়েকজন দেশী ব্যবসায়ী ধান্দাপানি মিলায়ে এ দেশের সংষ্কৃতির মূলে কুঠারাঘাত হানছে। তারা হয়তো জানেও না এতে কি সর্বনাশ ঘটছে এবং ঘটতে পারে, কিন্তু আজ যেমন নিজামী-মুজাহিদরা দেশ বিক্রির চক্রান্তকারী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে তেমনি একদিন এই সব ব্যবসায়ীরা না আবার দেশের সংস্কৃতি বিক্রির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়।
শালা মাদারচোতেরা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।