আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইডেনে মহানায়কের বিদায়ী ম্যাচ

সাধনায় সিদ্ধি লাভ হয়! সেই ২৪ বছর আগে ক্রিকেট দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন ১৭ বছরের এক বিস্ময় বালক। দীর্ঘ দুই যুগের সাধনায় সেদিনের সেই ছোট্ট বালকটি আজ সিদ্ধ! ক্রিকেট 'ঈশ্বর' শচীন রমেশ টেন্ডুলকার। ক্রিকেটের বরপুত্র নামেই যিনি পরিচিত। দীর্ঘ ক্রিকেট ক্যারিয়ারে শচীন রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়েছেন। লিটল মাস্টারের অর্জনের পাল্লাটা এতোই ভারী যে, 'কিংবদন্তি' উপাধিও যেন তার নামের পাশে বেমানান লাগে!

ক্রিকেটের এই অবিস্মরণীয় মহানায়ক ইডেনে আজ বিদায়ী ম্যাচ খেলতে মাঠে নামছেন।

এটি শচীনের টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৯৯তম ম্যাচ। তবে মাস্টার ব্লাস্টার ব্যাটসম্যান ক্রিকেটকে চির বিদায় জানাবেন পরের ম্যাচে। মুম্বাইয়ে ২০০তম টেস্টে মাঠে নামার মধ্য দিয়ে। ঐতিহাসিক ইডেন গার্ডেনে শুরু হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে এই ম্যাচটির নাম কলকাতাবাসী দিয়েছে, 'ইডেনে ঈশ্বরের শেষ টেস্ট'। ক্রিকেট রূপকথার রাজকুমারের বিদায়ী অভর্্যথনা জানাতে পুরো কলকাতাকেই যেন সাজানো হয়েছে বর্নিল সাজে।

চারদিকেই উৎসব উৎসব ভাব। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ভারত যে টেস্ট লড়াইয়ে নামছে সে কথা যেন কারো মাথাতেই নেই! সবার চিন্তা ও চেতনায় একটাই নাম 'শচীন টেন্ডুলকার'। ক্রিকেট দুনিয়ায় হয়তো প্রথমবারের মতোই এমন ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে -মাঠের লড়াইকে ছাপিয়ে ম্যাচের পুরো আলো টেনে নিচ্ছেন এক ক্রিকেটার। ব্যাট হাতে শচীন শূন্য করুক বা সেঞ্চুরি -তা নিয়ে যেন কারো এতটুকুও আগ্রহ নেই। ছক্কা-চার হাঁকাতে পারুক বা না পারুক তা একেবারেই গৌণ!

ঠিক এই জায়গাতেই শচীন যেন আলাদা।

তার কাছে ক্রিকেট মানে শুধুই ক্রিকেট। সেটা বিদায়ী ম্যাচ হোক কিংবা অভিষেক ম্যাচ। উৎসবকে কোনো ক্রমেই গুরুত্ব দিচ্ছেন না ক্রিকেট ঈশ্বর। গত পরশু এক ফটো সাংবাদিক ছবি তোলার জন্য অনুরোধ করলে, প্রতিউত্তরে শচীন বলেছেন, 'আমি এখানে ছবি তুলতে নয়, এসেছি ক্রিকেট খেলতে। ' বিদায়ের সন্ধিক্ষণেও শচীনের নিবিড় সাধনা তো তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য বড় অনুপ্রেরণা।

দল থেকে বাদ পড়ার ভয় নেই কিংবা খারাপ করলে ক্যারিয়ার হুমকিতেও পড়বে না -তারপরেও কঠোর অনুশীলন করেছেন লিটল মাস্টার। বিদায়ের বেদনা তো দূরের কথা, তার মুখ থেকে বের হয়েছে বড় ইনিংস খেলার আক্ষেপ, 'আমি বড় ইনিংস খেলেই ক্যারিয়ার শেষ করতে চাই। '

ইডেন গার্ডেনের সঙ্গে টেন্ডুলকারের কত স্মৃতিই না জড়িয়ে! এই মাঠে ১২টি টেস্ট খেলেছেন তিনি (ওয়ানডেসহ ২৫টি)। রেকর্ড মোটেই ভালো নয়। টেস্ট ক্যারিয়ারে শচীনের গড় যেখানে ৫৪.৬৮ রান, ইডেনে তার গড় মাত্র ৩৫.৮৮।

টেস্টের ৫১টি সেঞ্চুরির মধ্যে কলকাতায় মাত্র ২টি সেঞ্চুরি করেছেন ক্রিকেট ঈশ্বর। তবে ২০০২ সালের অক্টোবরে এই মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ১৭৬ রানের ইনিংসটি যেন এখনো কলকাতাবাসীর চোখে ভাসছে। টেন্ডুলকারের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন টেস্ট ও ওয়ানডে মিলে সেঞ্চুরির 'সেঞ্চুরি'। তবে এই ইডেনে সব মিলে মাত্র ৩টি সেঞ্চুরি করেছেন তিনি।

 

 

 



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.