আনাড়ী রন্ধন শিল্পীর ব্লগ B-)। ব্লগের বাজে-মানহীন লেখাগুলোর মাস্টার পিস দেখতে চাইলে এই ব্লগারের পোষ্ট গুলো পড়ে দেখতে পারেন। কথা দিচ্ছি, নিরাশ হবেন না। B-)
আমার নানা ভাই খুব মজার মানুষ। আমি ছোট থাকতে শীতের দিনে আমাকে উনার চাদরের মধ্যে জড়িয়ে কোলে নিয়ে মজার মজার ছড়া বলতেন, জিকির করতেন।
আমি নাহয় বড় হয়ে গেছি কিন্তু উনার আরেক নাতনী ত আছে। কিছু দিন আগে বাড়ীতে গেলাম তখন দেখি রাতের বেলা হানিয়া( আমার মামাত বোন) কে কম্বলের নিচে নিয়ে দুই দাদা-নাতনী মজা করে ছড়া বলছে। হানিয়া বাড়ীতে গেলে নানা ভাই এই ছড়াটা বলে আর ও শিখে যায়। ঢাকায় আসলে আবার ভুলে যায়। দেখেন দাদা-নাতনী কি ছড়া পড়ে......
আল্লাহ্ বলো আল্লাহ্ বলো,
সকাল বিকাল তালিম করো।
তিন ফরজে গোসল করো,
চার ফরজে ওযু করো।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ো,
ছয় উসুলে বয়ান করো।
সাত দোজখ ভয়ংকর,
আর বেহেস্ত সোনার ঘর।
যে যাবি তো আমল কর।
যদি চাও বাঁচতে,
চলে যঅ গাস্তে।
আসিবার আগে আজরাইল,
চলে যাও কাকরাইল।
যাইয়া দেখো টংগী,
করে কত ভংগী।
প্রত্যেকটা লাইন নানা ভাই বলে আর হানিয়া সাথে সাথে বলে। শেষ দুটি লাইনে এসে নানা ভাই রহস্য করার জন্য আর বলেনা। হানিয়াও লাইন দুটি ভুলে যায়।
তখন একবার আমাকে জিজ্ঞেস করে একবার নানা ভাইকে জিজ্ঞেস করে।
এবার দেখেন নানা ভাই আমাকে কোলে নিয়ে কি ছড়া বলতেন....
ওওওওও রসের নাতীনলোওওওও....
বাহির হইসনা আলতা দিয়া পায়...
কলির কালের পোলাপান কুতকুতাইয়া চায়।
কাজল দিবোনা চোখে,
চোখে থাকবো আর চাইয়া।
লাল শাড়ীডা পিনবো না,
লইয়া যাইবো ধইরা।
এই ছড়াটার মানে আমি এখনও জানিনা।
আর কি কারনে জানিনা ছড়া বললেই আমি খুব রেগে যেতাম।
বয়স হয়েছে। নানা ভাই এখন প্রায় সময়ই অসুস্থ থাকেন। আপনারা আমার নানা ভাইর জন্য দোয়া করবেন যাতে উনি সুস্থ থাকেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।