এই ব্লগে জামাত-শিবির শুয়োরের বাচ্চারা ভুলেও নাক ডুবানোর চেষ্টা করবি না
সরকারের জাতীয় স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে হরতাল, অবরোধসহ যেকোনও কর্মসূচি দিতে বিএনপি প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আসম হান্নান শাহ। অন্যদিকে, বিরোধীদলের যেকোনও ধরনের আন্দোলন কর্মসূচি মোকাবেলা করতে সরকার প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন।
চাঁদপুর জাতীয়তাবাদী ফোরামের ১৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিএনপি নেতারা শনিবার দলের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে যান। জাতীয় স্বার্থবিরোধী কোনও পদক্ষেপ নেয়া হলে আন্দোলনে যাবে বিএনপি—দলের চেয়ারপারসনের এমন ঘোষণার পরদিনই বিএনপি নেতারা জানান, তারা আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত।
২০১০ সাল বিএনপি’র জন্য এসিড টেস্টের বছর—এ মন্তব্য করে হান্নান শাহ বলেন, সরকার জাতীয় স্বার্থবিরোধী যেকোনও কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে হরতাল, অবরোধ সহ যেকোনও ধরনের কর্মসূচির জন্য প্রস্তুত বিএনপি।
তিনি বলেন, “২০১০ সাল বিএনপির জন্য একটি এসিড টেস্ট বা কঠিন পরীক্ষার সময়। হামলা-মামলা নির্যাতনসহ বাংলাদেশবিরোধী, বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কোনও চুক্তি যাতে সরকার না করতে পারে সেজন্য আমরা প্রস্তুত আছি। ”
আর রাজনৈতিক মামলাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করার জন্য সরকারকে সতর্ক করেন স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া।
আওয়ামী লীগের জন্য একরকম আইন আর বিএনপির জন্য অন্যরকম আইন প্রয়োগ করা হয়—এ মন্তব্য করে তিনি বলেন,“যদি বিএনপির বিরুদ্ধে এই দায়েরকৃত মিথ্যা মামলাগুলি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা হিসেবে প্রত্যাহার না করে এবং বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে যে আঘাত করা হচ্ছে এগুলো যদি অনতিবিলম্বে আওয়ামী লীগ বন্ধ না করে তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বেগম খালেদা জিয়া দুর্বার আন্দোলন শুরু করবে। ”
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারে সরকারের ‘দ্বৈত নীতি’ই দেশকে অস্থিতীশীল করে তুলতে পারে।
পরে জাতীয়তাবাদী চাঁদপুর ফোরামের নেতারা জেলায়, ক্ষমতাসীন দলের অত্যাচার নির্যাতন প্রতিহত করার ঘোষণা দেন।
তথ্যসূত্রঃ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।