রামপালে বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর সরকারের দেশবিরোধী দলিল হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন তেল-গ্যাস-খনিজ-সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য-সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, সরকার লংমার্চে গণজাগরণ দেখে ভিত হয়ে তড়িঘড়ি করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ পদক্ষেপের জন্য দেশের মানুষ এই সরকারকে কোনো দিন ক্ষমা করবে না।
বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে চলমান লংমার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর যশোরে পৌঁছালে সেখানে টাউন হল মাঠে আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। যশোরে রাত্রীযাপনের পর লংমার্চ খুলনা হয়ে বাগেরহাটের রামপালে যাত্রা করবে।
জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, জনমত উপেক্ষা করে রামপালে পরিবেশ বিধ্বংসী বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলে জনগণ তা উপড়ে ফেলবে। সুন্দরবনের অস্তিত্ব না থাকলে উপকূলীয় বিপুল জনগোষ্ঠী ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। ভারতীয় কোম্পানির স্বার্থে সরকার সুন্দরবনকে বলি দিতে উঠেপড়ে লেগেছে। তিনি বলেন, সুন্দরবনকে ধ্বংস করে যারা ব্যবসা করতে চাইছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে লড়ছি। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বিতর্কিত এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর সরকারের ভিত নড়িয়ে দেবে।
টাউন হল মাঠে আয়োজিত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির জেলা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আফসার আলী। সুন্দরবনের কাছে রামপালে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার রাজধানী থেকে রামপালের উদ্দেশে লংমার্চ শুরু করেছে জাতীয় কমিটি। এর পরদিন বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে আগামী ২২ অক্টোবর রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিই ই ইলাহী চৌধুরী।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।