লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে গভীর রাতে পুলিশ, গ্রামবাসী ও ডাকাতদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গণপিটুনিতে ২ ডাকাত নিহত ও দুই পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ১৫ জন গ্রামবাসী গুলিবদ্ধি হয়ে আহত হয়েছেন। উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের কাজীর চর এলাকার মিজান ও শরিফুদ্দিনের ঘরে ডাকাতি কালে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি বন্দুক ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করলেও ডাকাতদলের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। নিহত ২ ডাকাতের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আহতদের রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল ও ঢাকার হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- রায়পুর থানার এসআই আব্দুর রহিম ও পুলিশ সদস্য নীল কমল ডালি, গ্রামবাসী মিজান, শরীফ, আলাউদ্দিন, হুমায়ুন কবির, কামাল মহিশাল, সাদ্দাম, কামাল হোসেনসহ কমপক্ষে ১৫ জন।
পুলিশ ও গ্রামবাসীরা জানান, গতকাল রাত ২টার দিকে স্থানীয় মিজান ও শরিফুদ্দিনের ঘরে ১০/১২ জনের ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে ডাকাতিকালে শরিফুদ্দিনের ঘরে প্রতিরোধ হয়। এসময় ডাকাতরা তাদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে শরিফ ও মিজান গুলিবদ্ধি হয়ে চিৎকার করলে গ্রামবাসী এগিয়ে আসলে ডাকাতরা গুলি করতে করতে পালাতে শুরু করে।
খবর পেয়ে রায়পুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পথে স্থানীয় দেবীপুর নামক স্থানে ডাকাতের সাথে পুলিশ সদস্যদের অন্তত ৫০ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। এসময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে ২ ডাকাত ঘটনাস্থলেই মারা যান। তবে অপর ডাকাতরা পালিয়ে যান।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রূপক কুমার সাহা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পুলিশ ৬ রাউন্ড গুলি ছুঁড়েছে, গণপিটুনিতে অজ্ঞাত ২ ডাকাত নিহত হয়েছে আর ১০/১২ জন আহত হয়েছেন। লাশ ২টি ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।