জেলার কমলনগরের তোরাবগঞ্জ বাজারে আজ সোমবার দুপুরে আওয়ামী লীগ ও অবরোধ সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির ও ৪ পুলিশ সদস্যসহ উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন । এ ঘটনার সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়, ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসহ ১৮/২০টি দোকান ভাঙচুর ও ৩টি মোটর সাইকেলে অগ্নি সংযোগ করেছে অবরোধ সমর্থকরা।
আহতদের স্থানীয় করইতোলা ও নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিত্সা দেয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ প্রায় অর্ধশত টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছঁুড়ে বলে জানা যায়।
ঘটনাস্থলে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে বিজিবি ও বিপুল পরিমান পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, রবিবার রাতে ছাত্রদল ও যুবদলের দু'কর্মীকে মারধর করে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার জের ধরে আজ সোমবার দুপুরে অবরোধ সমর্থকরা একটি বিক্ষোভ মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এসময় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান নেন। হঠাৎ ১৮ দলের নেতাকর্মীরা স্থানীয় তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়, ইসমাইল মেম্বারের হার্ডওয়ার দোকান, জসীমের কীটনাশক ও ফার্মেসিসহ ১৮-২০ টি দোকানে ভাঙচুর করে ৩টি মোটর সাইকেল পুড়িয়ে স্থানীয় যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে।
এসময় দুপক্ষের সংঘর্ষ বেধে যায়।
এতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, পুলিশ সদস্য আবুল কাশেম, গ্রাম পুলিশ মনির হোসেন আওয়ামী লীগ দলীয় আলমগীর, কামরুল, ইসমাইল, শামীমসহ ২০ জন ও অবরোধ সমর্থিত গোলাম কাদের, সাব্বির আহমদ, রহমত উল্লাহ, কাশেম, সুমন.জাফরসহ আরো ১০ জন আহত হয়।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৪৫ রাউন্ড টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।