আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কূটনৈতিক পর্যুদস্ততার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ।।

This is my duty to expose the truth to all.

জলবায়ূ সম্মেলন শেষ। প্রাপ্তির খাতায় মোটামুটি অশ্বডিম্বই জুটেছে। সারাবিশ্বে এ পর্যন্ত এত দীর্ঘ সময় জুড়ে কোন সম্মেলন হয় নি। ধনী দেশগুলো নিজেরাই কামড়া-কামড়ি করল, আর আমরা যারা গরীব, বসে বসে দেখা ছাড়া কোন উপায় ছিলো না। তাতে কি? হাসিনা ম্যাডাম ৮০ জনের ও বেশী একটি দল পাঠিয়েছেন এই সম্মেলনে।

পরবর্তীতে স্বয়ং নিজেই হাজির হয়েছেন। খেলা যাই হোক না কেন, স্টেডিয়াম ভরপুর থাকা চাই। । জলবায়ূর পরিবর্তন শুধু বাংলাদেশের উপরই প্রভাব ফেলবে না, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তা সারাবিশ্বের জন্যই ক্ষতিকর। ক্ষমতাধর দেশগুলো নিজেদের স্বার্থেই তা প্রতিহত করার চেষ্টা করবে।

আর জলবায়ূর পরিবর্তন আমাদের ক্ষতিসাধন করবে ৭০-১০০ বছর পর। টিপাইমুখ বাধ যদি দিয়ে দেয়া হয়, তাহলে বাংলাদেশ এর একটি বিরাট অঞ্চল মরূভূমিতে পরিনত হতে ২০-৩০ বছর এর বেশী সময় লাগার কথা নয়। আর এটা নিয়ে ধনী দেশরাও মাথা ঘামাবে না। আমাদেরকেই ভাবতে হবে। ট্রানজিট ইস্যুতে যা চলছে, তা রীতিমতো হাস্যকর।

আসলেই কি এটা ট্রানজিট, না অন্যকিছু? ভারতের কূটনৈতিক চালে বারবার পর্যুদস্ত হচ্ছে বাংলাদেশ। একটু ব্যাখ্যা করা যাক--- আসাম এমন একটি জাতি, যারা তাদের ইতিহাসে সরাসরি কারো অধীনে কখনো থাকেনি। তাই স্বভাবতই তারা স্বাধীনচেতা। দিল্লী কখনোই আসাম শাষন করতে পারেনি। ইংরেজরা উপমহাদেশে আসার পর আরাকান রাজ্য দখল করে নেয়।

আর যাবার সময় সেই সূত্রে জোরপূর্বক ভারতবর্ষের সাথে এই অঞ্চলকে জুড়ে দিয়ে যায়। ফলাফলে যা হবার তাই হল। শুরু হল দিল্লীর শাষন ও শোষন। যা আজও থামেনি। পশ্চিম পাকিস্তানের শোষনের মুখে আমরা যে রকম রুখে দাড়িয়েছিলাম, তারাও তাই করছে।

নীতিগতভাবে তাদের বিরুদ্ধাচরন করা আমাদের অন্তত শোভা পায় না। ট্রানজিটের আদলে যে করিডোর ভারত থেকে বাংলাদেশ হয়ে আবার ভারতের সেভেন সিস্টার্সে যাবে, তা মূলত ব্যবহ্রত হবে এই বিদ্রোহীদের দমন করার জন্যই। কারন ভারতের ঝাড়খন্ড, ছত্তিশগড় এই সকল অঞ্চলে মাওবাদীদের উত্থান কংগ্রেসের যথেষ্ট মাথাব্যাথার কারন হয়ে দাড়িয়েছে। এমন অবস্থায় উলফা যদি তাদের শক্তি বৃদ্ধি করতে থাকে, তাহলে আসামকে ধরে রাখা কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে। উলফার পক্ষ থেকে গনভোট আয়োজনের প্রস্তাবও দেয়া হয়েছে।

দিল্লী তা মেনে নেয়নি। কখনো নেবেও না। এই করিডোরের মধ্য দিয়ে যে সমরাস্ত্র যাবে, ভারত নিজেই তার নিরাপত্তা দেয়ার দাবি করেছে। অর্থাৎ বাংলাদেশী ভূ-খন্ডে ভারতীয় সৈন্যের অনুপ্রবেশ। তাছাড়া উলফার আক্রমনের মূল লক্ষ্য হবে এই করিডোর।

ফলে ভারতের আভ্যন্তরীন অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়বে বাংলাদেশেও। আর এটা আমাদের কুটনৈতিক ব্যর্থতার ফলেই হতে পারে......(চলবে...) -সাদী

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.